ঋণ খেলাপীদের সঙ্গে রফা---ব্যাঙ্ককিং সংঘটনের বিরোধিতা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

দেশের টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঋণ খেলাপীদের সঙ্গে আপোষ রফার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশের তীব্র বিরোধিতা করেন বিশিষ্ট প্রাউটতাত্ত্বিক  শ্রীপ্রভাত খাঁ৷ তিনি বলেন ইডি সিবিআই-এর কর্র্তরা  পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসে কয়েকশো কোটি টাকা উদ্ধার করে দেশময় প্রচার করে বেড়ালো টাকার পাহাড় উদ্ধার৷ অপরদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া পুঁজিপতিদের ব্যাপারে সিবিআই ও সরকার নীরব৷ ওই পুঁজিপতিরা কেউ বাঙলাদেশী ঘুষপেটিয়া নয়৷ তারা কেউ বাঁশবাগান, কলাবাগান দিয়ে দেশ ছাড়েনি৷ পাসপোর্ট ভিসার সাহায্যে বুক ফুলিয়ে দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে৷

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এক নির্দেশে ব্যাঙ্কগুলিকে জানিয়েছে, ঋণখেলাপী ও জালিয়াত ব্যক্তি ও সংস্থার টাকা আদায়ের জন্য তাদের সঙ্গে আপোষ রফায় বসতে৷ শ্রী খাঁ বলেন---এই ঋণ খেলাপীদের অধিকাংশই গুজরাটের বাসিন্দা৷ যাদের অন্যতম প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বন্ধু মেহুল চোকসি৷ গত কয়েক বছরে নির্বাচনের পূর্বে এদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদি সরকার৷ কিন্তু এখন তারা উল্টোপথে হাঁটছে৷

ঋণের নামে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, তাদের সঙ্গে আপোষ করতে বলছে সরকার৷ ২০২৪ সালে লোকসভার নির্বাচন, তারপূর্বে ঋণ খেলাপীদের এই ছাড়পত্র দেওয়ার পেছনে অন্য কারণ নেই তো! নীরব মোদিদের অপরাধ ক্ষমা করে দিতে চাইছে না তো সরকার! শুধু ঋণ খেলাপীদের অপরাধ মাপ নয়, বোঝা পড়ার একবছর পর ওই আর্থিক প্রতারকরা আবার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের জন্যে আবেদন করতে পারবে৷ শ্রী খাঁ বলেন যে সরকার কৃষকদের কয়েক হাজার টাকা ঋণ মুকুব করতে অস্বীকার করে তারাই আবার কর্র্পেরেট জগতের ধনকুবেরদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুব করে দেয়৷ তিনি বলেন সরকার কি ভুলে যাচ্ছে এই টাকাটা সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট থেকে নেওয়া৷ ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা  মধ্যবিত্তের টাকাই ধনকুবেরদের ঋণ দেওয়া হয়৷

বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং সংঘটনগুলিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নির্দেশের চরম বিরোধিতা করছে৷ অল.ইন্ডিয়া.ব্যাঙ্ক অফিসার কনফেডারেশন ও অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ এ্যাসোশিয়েশন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা তলানীতে এসে ঠেকবে৷ এমনকি সৎ ঋণগ্রহীতাদের কাছে বিরূপ বার্তা যাবে৷