আগরতলা, ত্রিপুরা ২১শে ডিসেম্বর : বাঙালী বিদ্বেষী ও সামাজিক বিভাজনের কালাকানুন নাগরিক সংশোধনের আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ২১শে ডিসেম্বর আগরতলায় ‘আমরা বাঙালী’-র ডাকে এক বিশাল মিছিল বের হয়৷
মিছিল ‘আমরা বাঙালী’ আগরতলা রাজ্য কার্যালয় থেকে বের হয়ে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে৷ ‘আমরা বাঙালী’ ত্রিপুরা রাজ্য সচিব শ্রী হরিগোপাল দেবনাথ বলেন---এই আইন বাঙালী বিদ্বেষী ও কেন্দ্রের বাঙালী জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রহীন করার স্থায়ী ব্যবস্থা৷ বাঙালী জনগোষ্ঠীকে বিনাশ করার যে পরিকল্পনা নেহেরু সরকার নিয়েছিল সেই পরিকল্পনা সম্পন্ন করার কাজে হাত লাগিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ যে সব হিন্দুবাঙালী নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় নাচছে তারা ভুল করছে৷ নাগরিক সংশোধিত আইন নাগরিকত্ব নয়, বাঙালীকে বাঙলাদেশী প্রমাণ করার ফাঁদ৷ এক শ্রেণীর হিন্দু বাঙালী সেই ফাঁদে পা দিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন এই আইন যাতে যাতে ত্রিপুরায় বলবৎ না হয় তার জন্যে আমরা বাঙালী সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে৷ আগামী দিনে এই কালাকানুনের প্রতিবাদে ও বাঙালীর ন্যায্য অধিকারর্জনের জন্যে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে৷
শ্রী দেবনাথ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন দেশভাগের বলি হয়ে যাঁরাই ভারতে আসবেন তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভারত সরকার৷ কিন্তু পঞ্জাবের ক্ষেত্রে সেই প্রতিশ্রুতি পালন করলেও বাঙালী জাতিরসঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে৷ তিনি দাবী করেন ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ সহ পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বাঙলার অংশ ফিরিয়ে নিয়ে ঐব্যবস্দধ বাঙলা বাঙালীস্তান গড়তে হবে৷ তাতে বাঙলা যেমন বাঁচবে, দেশও বাঁচবে, ভারতও বাঁচবে৷
ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই মিছিলে পা মেলান৷ বহু উৎসুক মানুষ রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে হাত তুলে মিছিলকে সমর্থন জানান৷ বহুদিন বাদে আগরতলা বাসী ‘আমরা বাঙালী’ দলের এই বিশাল প্রতিবাদ মিছিল দেখল৷ শুধু তাই নয়, তারা ধীরে ধীরে এই মহামিছিলের সঙ্গে পা মেলাতে শুরু করল৷