শান্তিনিকেতনে নব্য মানবতাবাদী সাহিত্য উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শান্তিনিকেতন,বীরভূম ঃ গত ৩০শে সেপ্ঢেম্বর রেণেশাঁ ইউনিবার্র্সল, শান্তিনিকেতন শাখার উদ্যোগে সোনাঝুরি , খোয়াইয়ে অবস্থিত ‘ভালোবাসা সিনিয়র সিটিজেনসি’-তে নব্যমানবতাবাদী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পগুরু শ্রী অনন্ত মালাকার, প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায়, বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নীরদবরণ মণ্ডল ও শিক্ষক অরুণ কুমার রায়৷ নব্যমানবতাবাদের প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ স্বাগত ভাষণ দেন শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন৷ গতবারের সাহিত্যসভার শ্রেষ্ঠ কবি, প্রাবন্ধিক ও গল্পকারকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করা হয়৷ সাহিত্য পত্রিকা ‘আনন্দ লহরী’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন সভাপতি৷ সাক্ষীগোপাল দেবের একটি গ্রন্থও প্রকাশ করা হয়৷ অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায় আলোচনা করেন পরিবর্তনশীল সমাজ জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে নব্যমানবতাবাদের প্রয়োজন ও গুরুত্ব বিষয়ে৷ অরুণবাবু বলিষ্ঠ ভঙ্গীমার তুলে ধরেন নব্যমানবতাবাদের নোতুনত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব৷ নীরদবাবু আলোচনা করেন বুদ্ধির মুক্তি ও নব্যমানবতাবাদ-এর ওপর৷ অনন্ত মালাকার আলোচনা করেন শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের নন্দনতত্ত্বের ওপর৷ অনুষ্ঠানের আর একটি আকর্ষণ ছিল সবুজকলি নৃত্য গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি নৃত্য৷

সভার মূল আকর্ষণ কবিতাপাঠের আসর৷ পাঁচজন করে কবি-সাহিত্যিক মঞ্চে বসে তাঁদের রচনা পাঠ করেন৷ প্রায় ৪০ জন কবি-সাহিত্যিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘জয়-জয়ন্তী’-র শিল্প গোষ্ঠীর শিল্পীরা৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন৷ প্রধান উদ্যোক্তা শ্রী কেশব চন্দ্র সিন্হা সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷