বাংলাকে সাত বছর পরে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করেও কোচ সঞ্জয় সেনের গলায় আতিশয্য নেই৷ বরং রয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা হতদরিদ্র ছেলেগুলির জন্য সাফল্যের শুভকামনা৷ কল্যাণীতে প্রস্তুতি থেকে শুরু করে যোগ্যতা অর্জন পর্ব পেরিয়ে দীর্ঘ আড়াই মাসের কঠিন লড়াইয়ের পরে এসেছে কাঙ্খিত সাফল্য৷ শুরুর দিনগুলিতেও যা বলেছেন, ট্রফি নিয়ে শহরে আসার পরেও সেই সুরে বিন্দুমাত্র বদল নেই৷ ফোনে আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘সব কৃতিত্ব ছেলেদের৷ আমি শুধুমাত্র ওদের পরামর্শ দিয়েছি৷ বাকি কাজ মাঠে নেমে ওরাই করেছে৷ ছেলেদের এটা প্রাপ্য৷’’ আর আপনার প্রাপ্য নয়? এ বারেও সেই একই উত্তর, ‘‘শুধু ছেলেদের, আমার নয়৷’’ আইএসএলের ভরা বাজারে সন্তোষ ট্রফি নিয়েও যে লোকের আগ্রহ রয়েছে, তা দেখে যেন কিছুটা বিস্ময় প্রকাশ করছেন বঙ্গকোচ৷ বাংলার ফুটবল যখন শুধুই সত্তর-আশির সোনালি দিনের স্মৃতিচারণায় মগ্ণ, তখন যেন রবি হাঁসদা, নরহরি শ্রেষ্ঠ, চাকু মান্ডিদের ভারত জয় তাঁদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে৷ আবার সেই বাঙলা, যারা গত বছর সন্তোষ ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি৷ যা নিয়ে ঘরে বাইরে প্রচুর কথাও শুনতে হয়েছে৷ অনেক লড়াইয়ের পরে যখন সঞ্জয় সেনকে কোচ করা হল, এক কথাতেই রাজি হয়ে যান৷ কেন রাজি হয়েছিলেন? তাৎক্ষণিক জবাব, ‘‘বাঙলার দায়িত্ব নেওয়া তো গর্বের ব্যাপার৷ নিজেকে নতুন পরীক্ষার মুখে না ফেললে কি ভিতরের আসল মানুষটাকে চেনা যায়? তাই ফুল মার্কস পেয়ে পাস করার পরের অনুভূতিও আমার কাছে বিশেষ৷’’ সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার সামনে এক একটি প্রতিপক্ষ এসেছে এবং খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে৷ কখন বিশ্বাস করতে শুরু করলেন যে সন্তোষ ট্রফি বাংলার ঘরে আসছে? হেসে উত্তর, ‘‘একটা সময়ের পরে বিশ্বাস এসে গিয়েছিল৷ ফল পাওয়ার আগে পর্যন্ত এই বিশ্বাসের কথা কাউকে জানাই না৷ কারণ তাতে আত্মতুষ্ট হওয়ার ন্যূনতম সম্ভাবনাও থেকে যায়৷’’
সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়