সব শাসকই পুঁজিপতি শাসনের আওতায় = ‘আত্মনির্ভরতা’ কপট রাজনীতির সংলাপ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

বিশিষ্ট প্রাউটতাত্ত্বিক শ্রী গৌরাঙ্গরুদ্র পাল আগরতলায় এক আলোচনায় বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে আত্মনির্ভরতার কথা বলেন৷ কিন্তু পুঁজিপতি শাসনের আওতায় থেকে আত্মনির্ভরতার কথা আর প্রলাপ বকা একই জিনিস৷ শ্রী পাল বলেন স্বাধীনতার পর দেশে যতগুলি সরকার এসেছে সকলেই পুঁজিপতি শাসনের অধীন৷ তাই সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে নয়, পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষা করতেই অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরী হয়৷ পুঁজিপতি শাসিত কেন্দ্রিত অর্থনীতির পক্ষে আত্মনির্ভর দেশগড়া সম্ভব নয়৷

তিনি বলেন একমাত্র প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনীতির বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আত্মনির্ভর দেশ গড়া সম্ভব৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বেশ কয়েকবার শাসক দলের পরিবর্তন হয়েছে৷ কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নে৷ করোনাকালেও যখন গরীব আরও গরীব হয়েছে, পুঁজিপতিরা শত শত কোটি টাকা মুনাফা লুটেছে৷ তাই দেশের মাত্র ৬৫-৭০ জন মানুষের হাতে সিংহভাগ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে৷ এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার কথা বলেন কিভাবে! এই পরিস্থিতিতে প্রাউটিষ্টদের সামাজিক-অর্থনৈতিক আন্দোলনে নামাছাড়া কোন পথ নেই৷ তিনি বলেন এই সমাজ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হবে প্রতিটি বেকারের কর্মসংস্থান ও প্রতিটি মানুষের জীবনধারণের জন্যে নূ্যনতম প্রয়োজন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার  সুব্যবস্থা করা৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক পরিকল্পনায়  ভারতবর্ষে ৪৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরী হবে৷ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি শুধুমাত্র ভৌগোলিক সীমানাই নয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে  গড়ে উঠবে৷ ধর্মমত বা সম্প্রদায় গত বিষয় গুরুত্ব পাবে না৷ পরিকল্পনা রূপায়নের দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় সরকারের হাতে, ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান হবে স্থানীয় বেকারদের৷  পরিকল্পনা অবশ্যই সর্বনিম্নস্তরের প্রয়োজনের দিকে তাকিয়ে গড়ে উঠবে৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে সর্বনিম্ন পরিকল্পনা তৈরী হবে ব্লকস্তর থেকে৷ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক বিষয় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির উন্নয়নের পরিকল্পনাও থাকবে৷ এইভাবে গড়ে ওঠা সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ইত্যাদি৷ বিশ্বের প্রতিটি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে তিনি প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে সামিল হবার আহ্বান জানান৷অর্থনৈতিক পরিকল্পনায়  ভারতবর্ষে ৪৪টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরী হবে৷ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলি শুধুমাত্র ভৌগোলিক সীমানাই নয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে  গড়ে উঠবে৷ ধর্মমত বা সম্প্রদায় গত বিষয় গুরুত্ব পাবে না৷ পরিকল্পনা রূপায়নের দায়িত্ব থাকবে স্থানীয় সরকারের হাতে, ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান হবে স্থানীয় বেকারদের৷ পরিকল্পনা অবশ্যই সর্বনিম্নস্তরের প্রয়োজনের দিকে তাকিয়ে গড়ে উঠবে৷ প্রাউটের দৃষ্টিতে সর্বনিম্ন পরিকল্পনা তৈরী হবে ব্লকস্তর থেকে৷ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক বিষয় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির উন্নয়নের পরিকল্পনাও থাকবে৷ এইভাবে গড়ে ওঠা সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ইত্যাদি৷ বিশ্বের প্রতিটি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে তিনি প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে সামিল হবার আহ্বান জানান৷