প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ সবকা বিকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ কেন্দ্রীয় শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা প্রায়ই মোদি জমানায় আর্থিক বিকাশের প্রচার করে পূর্বতন শাসকের সমালোচনা করেন৷ সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে বিশ্বে সবথেকে বেশি গরীব মানুষের বাস ভারতবর্ষে৷ যদিও তা সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশ্বের পাঁচটি দেশে সবথেকে বেশী গরীব মানুষ বাস করেন৷ এই পাঁচটি দেশ হলো ভারত পাকিস্তান কম্বো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র৷ ইথিপিয়া ও নাইজেরিয়া৷ এই পাঁচটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরীব মানুষ ভারতবর্ষে৷ যদিও অন্য চারটি দেশের তুলনায় ভারতবর্ষের জনসংখ্যা অনেকগুণ বেশী৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায় সারা পৃথিবীতে ১১০ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করে৷ এদের অর্ধেকেরও বেশী এই পাঁচটি দেশে৷ ভারতবর্ষে অত্যন্ত গরীব মানুষের সংখ্যা ২৩কোটি ৪০লক্ষ৷ পাকিস্তানে তীব্র দারিদ্রে থাকা মানুষ ৯ কোটি ৩০ লক্ষ৷
রাষ্ট্রপুঞ্জের এই প্রতিবেদন তৈরী করতে ২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সময় নিয়েছে৷ অক্সফোর্ড পভার্টি এ্যাণ্ড হিউম্যান ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ ও ইউ.এন.ডিপি ১৭ই অক্টোবর ১০ বছরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ তীব্র গরীব ১১০ কোটি মানুষের অর্ধেকের বেশী ১৮ বছরের কম বয়সী৷ বিশ্বের প্রাপ্ত বয়স্কদের ১৩.৫ শতাংশ তীব্র গরীব৷ শিশুদের সংখ্যা ২৭.৯ শতাংশ৷ রাষ্ট্র সংঘের এই প্রতিবেদনেই মোদি সরকারের অর্থনীতি বেহাল দশা প্রকাশ হয়ে পড়েছে৷ এমনকি ক্ষুধা সূচকেও ভারতের অবস্থান খুবই হতাশাজনক৷ সেখানে ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের থেকেও পিছনে অবস্থান করছে৷ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতবর্ষের স্থান ১০৫ নম্বরে৷
প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন--- বিশ্বে খাদ্যের অভাব নেই৷ বর্তমান উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মুখে তুলে দেওয়ার মতো খাদ্য উৎপাদন সক্ষম৷ কিন্তু পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শোষকরা কখনও চায় না সাধারণ মানুষ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকুক৷ তাই তারা কৃত্রিমভাবে অভাব সৃষ্টি করে মানুষকে সমস্যায় জর্জরিত করে রাখে, যাতে তাদের শোষনের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা না থাকে৷ একমাত্র প্রাউটের পথেই প্রাউটের বাস্তব সম্মত আর্থিক পরিকল্পনা রূপায়ণের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মানুষের আর্থিক বিকাশ সম্ভব৷