বিগত ১৩০ বছর আগে প্রথম ধর্মমহাসভায় স্বামীজি যা বলেছিলেন সেই বক্তব্যই আবার আসছে শিকাগোর বিশ্বধর্মমহাসভায়৷ তিনি বলেছিলেন ---‘ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার রক্ষার কথা৷’ সেই কথাই আবার তুলে ধরেন বিশ্ব ধর্ম মহাসভার তরুণতম ট্রাস্টি কেহকাশন বসু৷ ‘‘কোনও বিশেষ ধর্মের হয়ে ঢাক পেটানো নয়, মানবধর্ম হিসেবে এক নিরাপদ, সুস্থায়ী ধরিত্রী গড়ার দায়বদ্ধতার কথাই আমরা বলছি৷’’ তিনি বাঙালি-কানাডিয়ান কেহকাশনের মা-বাবা টরেন্টোবাসী৷ ঠাকুমা, দিদিমা পশ্চিমবঙ্গের টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জে বসবাস করেন৷
ধর্মাচারণের সঙ্গে পরিবেশ, পৃথিবীকে বাঁচানোর কাজ আলাদা করে দেখতে রাজি নন কেহকাশন৷ বেশির ভাগ ধর্মই পৃথিবীকে মায়ের মতো ভালবাসার শিক্ষা দেয়, এটাই মনে করাতে চান তিনি৷
আজকের পৃথিবীতে ‘ভেক ধর্মের ধবজাধারীদের’ থেকেও নিজেদের আলাদা করছেন বিশ্ব মহসভার উদ্যোক্তারা৷ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কোনওরকম ঘৃণাতন্ত্র, ইসলাম বিদ্বেষ, নারী বিদ্বেষের সঙ্গে আমাদের যোগ নেই৷’ ৮০টি দেশের ২০০ রকমের ধর্ম, লোকবিশ্বাস, সাংসৃকতিক পরম্পরার মিলনকেন্দ্র এই আসরকে ‘একটি আন্তঃধর্ম সমন্বয় মঞ্চ’ হিসেবে দেখছেন কেহকাশনও৷ ধর্ম মহাসভায় চারদিন বক্তব্য অংশ নেবেন তিনি সেজন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত৷
কেহকাশনের ‘সাধন গুরু’ আসলে সাধরণ মানুষ৷ তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরে প্রতিটি দেশের সামাজিক রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক অবনতি ও উন্নতির দিকটি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন--- ‘‘বৈষম্য, ঘৃণা, অসাম্যের পরিস্থিতি থাকলে পরিবেশ রক্ষার কাজও পিছিয়ে থাকবে৷ সমাজের যারা পিছিয়ে থাকেন প্রকৃতির পরিবর্তনে তারই বিপদে পড়েন!’’