গত ৭ই অক্টোবর মেঘালয়ে, বাঙালী জনগোষ্ঠীর ওপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’ অসম রাজ্য কমিটি শিলচর শহরে শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্ত্তির পাদদেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ বেলা সাড়ে বারটা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবী ওঠে--- অবিলম্বে মেঘালয়ে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে ও নির্যাতনকারী দুষৃকতিদের শাস্তি দিতে হবে৷ নতুবা অসম মেঘালয় সীমান্তে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি দেন ‘আমরা বাঙালী’রনেতৃবৃন্দ৷ আমরা বাঙালীর অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন, মেঘালয়ে ইস্ট খাসি হিলস জেলার সোহরা সাব-ডিভিশনের শেল্লা থানার ইছামতি ভোলাগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে বাঙালীরা অমানবিক নির্যাতনে শিকার হচ্ছে৷ বাঙালীর ব্যবসা, বাণিজ্য, উপার্জনের সবপথ বন্ধ হয়ে গেছে৷ নারী শিশু সহ বহু মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে৷
শ্রী পুরকায়স্থ বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার, মেঘালয়ে বিজেপি জোট সরকার, রাজ্যে বাঙালীর ওপর শারীরিক মানসিক অর্থনৈতিক অত্যাচার চলছে ৷ অথচ বিজেপি সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা পালন করছে৷ সরকার যদি এই নির্যাতন বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা না নেয় পরিস্থিতি অগ্ণিগর্ভ হবে৷
সাধন পুরকায়স্থ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বাঙালী জনগোষ্ঠী অনেক অত্যাচার সহ্য করেছে, এবার প্রতিরোধে নামার পালা৷ প্রয়োজনে অগ্ণিযুগের আন্দোলন শুরু হবে৷ বাঙালীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন বন্ধ না হলে অপ্রত্যাশিত সংঘাত শুরু হবে পাহাড় সমতলের৷ আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি হবে৷ ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্যে মেঘালয় সরকার দায়ী থাকবে৷ ‘আমরা বাঙালী’ খুব শীঘ্র অসম-মেঘালয় সীমান্তে দিগর খাল ও মালি শহরে বাঙালী নির্র্যতনের প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে৷
এই বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন--- কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেত্রী অনিতাচন্দ, আজমল হুসেন চৌধুরী,পান্না রায়, দেবাশিষ রায় চৌধুরী, বাঙালী ছাত্রযুব সমাজের আহ্বায়ক পার্থপ্রতিম দেব, নিত্যানন্দ দাশ, অর্চনা ধর,সমরপাল,স্বপ্ণা রায়, মণিপুরের জিজিরামের আহমেদ আলি প্রমুখ৷