গত ১১ই জুলাই শিলচরে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের জন্মদিন পালন করা হয়৷
মঙ্গল পাণ্ডে উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার নাগওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৮২৭ সালের ১৯শে জুলাই৷ ১৮৫৯ সালে বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন৷ ১৮৫৭ সালে মার্চ মাসে মঙ্গল পাণ্ডে বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রির সৈনিক ছিলেন৷ ১৮৫৭ সালের ২৯শে মার্চ মঙ্গল পাণ্ডে ব্রিটিশ বিরোধী মহা বিদ্রোহের সূচনা করেন বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রির সহকারী লেফটেন্যান্ট যৌগকে আক্রমণ করে৷ স্থানটা ছিল তৎকালীন অবিভক্ত ২৪ পরগণা জেলার ব্যারাকপুর সেনা নিবাস৷ পাণ্ডের যৌগকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেও তার গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়৷ পরে পাণ্ডের তরবারির আঘাতে যৌগ আহত হয়৷ এরপর অন্যসেনাদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় পাণ্ডে আহত হয়৷ আহত অবস্থায় পাণ্ডে ও তার সঙ্গী ঈশ্বরী প্রসাদের বিচার হয়৷ বিচারে দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷ তবে নিকৃষ্ট সময়ের আগেই ৮ই এপ্রিল, মঙ্গল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়৷ ঈশ্বরী প্রসাদের ফাঁসী হয় ২১শে এপ্রিল৷ ব্যারাকপুর সেনা নিবাসে বিদ্রোহের ঘটনা স্থলে নির্মিত হয়েছে মঙ্গল পাণ্ডে উদ্যান৷
১৯শে জুলাই শহীদ মঙ্গল পাণ্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপাহী বিদ্রোহের ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিষ রায় চৌধুরী, আজমল হোসেন চৌধুরী, পাপাই দাশ, সমর পাল, রাজেশ ভট্টাচার্য, পুলক সোম, তপোময় পুরকায়স্থ অভিদেব প্রমুখ৷