আর্মড কনফ্লিক্ট অন চিল্ড্রেন শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে বাদ গেল ভারতের নাম৷ অর্থাৎ ভারতে শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংগ্রামের কোন প্রভাব পড়ছে না৷ ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তান,ফিলিপিন্স নাইজেরিয়া ও আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতেরও নাম ছিল রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় যে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রভাব শিশুদের ওপর পড়ছে৷ ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মূলত জন্মু-কশ্মীরকে কেন্দ্র করেই ছিল৷ জম্মু-কশ্মীরের সশস্ত্র জঙ্গী গোষ্ঠী বাচ্চা ছেলেদের জঙ্গী কাজকর্মে নিয়োগ করে৷ তাদের অনেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হয়৷
তবে রাষ্ট্রসংঘের তালিকা থেকে ভারত যে বাদ যাচ্ছে তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গেছিল৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারত যে সহযোগিতা করছে তা প্রশংসনীয়৷ ২০২৩-এর আর্মড কনফ্লিক্ট অন চিল্ড্রেন প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে বাচ্চাদের সুরক্ষায় ভারত সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা খতিয়ে দেখেই ভারতের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জম্মু-কশ্মীর সরকার শিশু সুরক্ষায় একটা ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিল৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরাও সেই ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েছিল৷ ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এই ওয়ার্কশপের উল্লেখ আছে৷ ২০১০ সালের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত শিশু সুরক্ষায় সফল হল৷ আর্মড কনফ্লিক্ট অন চিল্ড্রেন-এর সেক্রেটারী জেনারেলের বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গাম্বারের মতে গত দু’বছর ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে এটা তারই ফল৷