শক্তির স্পর্ধা পতনের পথ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

চল্লিশ বছর অতিক্রান্ত৷ বিংশ শতাব্দীর পৈশাচিকতম ঘটনাটি ঘটেছিল সভ্যতা ও সংসৃকতির পীঠস্থান কলিকাতা মহানগরীর বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে বিজন সেতুর উপর৷ বিজন সেতু কোন বিজন উপবন নয়৷ শহরের মাঝে ঠিক বালিগঞ্জ স্টেশনের পাশেই রেল লাইনের ওপর দিয়ে ব্রীজটি একপাশে ব্যস্ততম গড়িয়াহাট ওপর দিকে কসবা ই.এম বাইপাস সংযোগ৷ যা আজকের মত এতটা জমজমাট ছিল না৷ তবে সেতুর দুইপাশে জনবসতি, দোকান বাজার, কাঁচা সবজির বাজার---সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষের  আসা-যাওয়া শুরু হয়ে যায়৷ এই জনবহুল স্থানকেই বেছে নিয়েছিল সেদিনের শাসক দলের ঘাতক বাহিনী আনন্দমার্গকে নিশ্চিহ্ণ করতে৷

জনমানসে প্রশ্ণ আসা স্বাভাবিক---আনন্দমার্গের ওপর এত আক্রোশ কেন সিপিএমের৷ উত্তর খুব সহজ আনন্দমার্গের জীবন দর্শন৷ কম্যুনিষ্ট মতাদর্শে ধর্ম আফিম৷ আনন্দমার্গ দর্শন যুক্তি ও বিজ্ঞান সমস্ত ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রকৃত মানব ধর্ম কি৷ সেইসঙ্গে এও বুঝিয়ে দিয়েছে ধর্মবিহীন মানব জীবন পশুর চেয়ে অধম জীবন৷ মানুষের আর্থিক মুক্তির ক্ষেত্রেও কম্যুনিজমের ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণ করে সুষ্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট পথ নির্দেশনা দিয়েছে আনন্দমার্গ দর্শনের প্রাউট তত্ত্ব  প্রতিটি মানুষের জীবনধারণের নূ্যনতম প্রয়োজনের পূর্ত্তির নিশ্চিততা ও সমাজের সকল মানুষের, সব শ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণের  বাস্তব সম্মত পথ নির্দেশনা দিয়েছে৷ অর্থনীতিকে আধ্যাত্মিক ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে সর্বাঙ্গ সুন্দর আদর্শ সমাজ গড়ে মানুষকে প্রকৃত প্রগতির পথ নির্দেশনা দিয়েছে প্রাউট তত্ত্ব৷ তাই আনন্দমার্গের অভ্যুত্থানে সমাজতন্ত্রের অসার বুলি সর্বস্ব কম্যুনিজমের অকাল মৃত্যুর ঘন্টা ধবনি বেজে গিয়েছিল৷ তাই আনন্দমার্গের আত্মপ্রকাশে আতঙ্কিত সিপিএম আনন্দমার্গকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল৷ শাসন ক্ষমতা দখল করেই রাষ্ট্রশক্তির স্পর্ধায় স্পর্ধিত সিপিএম শুধু বিজন সেতু নয় তার আগে পরেও আনন্দমার্গের ওপর আক্রমন করেছে, সন্ন্যাসী হত্যা করেছে সিপিএম৷

কিন্তু সেদিন রাষ্ট্রশক্তির ক্ষমতায় অন্ধ শাসক বুঝেনে  কয়েক জন সন্ন্যাসীকে হত্যা করে আদর্শকে শেষ করা যায়নে৷

চল্লিশ বছর আগে যে ক্ষমতায় দম্ভ সি.পি.এম আনন্দমার্গকে শেষ করার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছিল সেই ঔদ্ধত্যই সিপিএম কে বিনাশের পথে ঠেলে দিয়েছে৷ আনন্দমার্গ আজও এগিয়ে চলেছে তার সুমহান আদর্শকে অবলম্বন করে দুর্বার গতিতে৷