স্মরণসভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩ই জানুয়ারী সোমবার বিকাল ৩ টায় তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ আশ্রমে একটি  শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ২১শে ডিসেম্বর রাত্রি ১২টা ৫৮ মিনিটে টাটানগরে একটি নার্সিহোমে আনন্দমার্গের আইনবিভাগের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত প্রয়াত হয়ে পরমপুরুষের স্নেয়ময় ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন৷  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৫৫ বছর৷ ১৯৮৯ সালে তিনি আনন্দমার্গ সংঘটনে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন ও দীর্ঘদায়িত্বের সঙ্গে ভারতবর্ষ তথা বহিঃভারতের বিভিন্ন দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন৷

অত্যন্ত  দুঃখের মাত্র ২২ দিনের মাথায় গত ১১ই জানুয়ারী, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে আচার্য লীলাভাষানন্দ অবধূত মাত্র ৪৮ বছর বয়সে কলকাতার এক নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে  পরমপুরুষের স্নেহময় ক্রোড়ে আশ্রয় নেন৷  ১৯৯২ সালে তিনি আনন্দমার্গ সংঘটনের সর্বক্ষণের কর্মী  হিসেবে (সন্ন্যাসী) নিজেকে উৎসর্গ করেন৷ আন্দামানসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে তিনি নীরলসভাবে সমাজের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে সবার মনের মণিকোঠায় স্থান কবে নেন৷

 দাদাদের এই আকস্মিক প্রয়াণে আনন্দমার্গ সংঘটনে তথা সমাজের বহু ক্ষতি হয়ে গেল৷ তাদের শূন্যস্থান কখনই পূরণ করা যাবে না৷

এই দুই অমর আত্মার শান্তি কামনায়  আনন্দমার্গের কয়েক শত ভক্ত ও সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসীনি বেদনা বিধুর চিত্তে এই শ্রদ্ধাঞ্জলী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন৷

 প্রভাতসংগীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন মিলিত সাধনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়,

উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ও সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী সকলেই অশ্রুসজল নেত্রে তাদের প্রতিকৃতিতে মাল্য অর্পন করেন৷ অনুষ্ঠানে সমাজজীবনে তাদের অবদান নিয়ে বক্তব্য রাখেন আনন্দমার্গ সংঘটনের বিশিষ্ট সন্ন্যাসীবৃন্দ  আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত, আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত, আচার্য বোধিসত্তানন্দ অবধূত, আচার্য অরিন্দমানন্দ অবধূত, ডাঃ বিশ্বজিৎ ভৌমিক প্রমুখ৷