কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের ঋতুমতী মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি নেই৷ মন্দিরের এই ট্র্যাডিসন ভেঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সব বয়সের মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার দান করলেও গোঁড়া ভক্তরা ও তাদের সঙ্গে বিজেপি ও কংগ্রেসও ডগমার প্রাচীর ভেঙ্গে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে থাকে৷ আয়াপ্পা ভক্তদের ব্যাপক বিক্ষোভ অবরোধের কারণে মহিলারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে নি৷ পুলিশও শত চেষ্টা করে গোঁড়া ভক্তদের অবরোধ ভাঙ্গতে পারেনি৷
শেষ পর্যন্ত বহু সংগ্রামের পর গত ২রা জানুয়ারী মধ্যরাত্রিতে বিন্দু ও কনকদূর্র্গ নামে দুই মহিলাকে ভক্তদের বাধা ভেঙ্গে কর্ডন করে নিয়ে যায় কয়েকজন পুলিশ৷ অবশেষে ভোর ৪ টা নাগাদ দুই মহিলা মন্দিরে প্রবেশ করে মন্দিরে প্রার্থনা করে৷ ওই দুই মহিলার একজন কলেজের লেকচারার ও অন্যজন সিভিল সাপ্লাই কর্মী৷ এইভাবে ডগ্মার প্রাচীর ভেঙ্গে শবরীমালা মন্দিরে নূতন ইতিহাস রচিত হয়৷ যদিও গোঁড়া ভক্তরা এটা সহজে মেনে নেয়নি৷ তাঁরা সারা রাজ্যজুড়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে চলেছে৷