গত ৬ই আগষ্ট অসমের তেজপুরে এক আলোচনা সভায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের দিল্লী সেক্টরের চীফ সেক্রেটারী আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত বলেন ---বর্তমানে গোটা ভারতবর্ষে একচরম সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় ভ্রান্তনীতির ফলে---দেশে আজ কোটি কোটি বেকার৷ শুধু লক্ডাউনের মধ্যেই দেশে ২কোটি নতুন বেকারের জন্ম হয়েছে৷ পেট্রোল, ডিজেলের আকাশ ছোঁয়া দরের সঙ্গে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপরেও জি.এস.টি লাগু করার ফলে বাজারে জিনিসপত্রের আগুন দামে ক্রেতাদের হাতে ছ্যাঁকা লাগছে৷ যা এর আগে কখনও হয়নি তাহল নিম্নবিত্ত ও গরীব সাধারণ দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জলখাবার মুড়ি চিড়ের ওপরেও জি.এস.টি লাগু৷ অপর দিকে কেন্দ্রের বেচারাম সরকার পূর্ববর্ত্তী সরকারগুলির আন্তরিক প্রচেষ্টায় তৈরী হওয়া বহু লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো একে একে বেচে দিচ্ছে৷ ব্যাঙ্ক, এয়ার ইন্ডিয়া থেকে বিভিন্ন লাভজনক নবরত্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে একের পর এক বেচে দিচ্ছে পুঁজিপতিদের কাছে৷ ‘ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতির’ পুঁজিপতি তোষণ নীতির ফলে ও প্রশ্রয়ে নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী ইত্যাদির মতো প্রায় ৬৩ জন গুজরাটি ব্যবসায়ী ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে গেছে৷ সমীক্ষায় প্রকাশ লকডাউনের পর থেকে নিম্নবিত্ত মানুষ গরিব হয়েছে৷ গরীব হয়েছে আরও গরীব৷ অপরদিকে বিজেপি সরকারের অসহিষ্ণুতার রাজনীতি ও স্বৈরাচারী নীতির ফলে দেশে আজ বিপন্ন গণতন্ত্র৷ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই দেশদ্রোহী বা সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করে তাদের জেলে পচানো হচ্ছে৷ সে দল বা রাজ্য সরকার মোদী সরকারের বিরোধীতা করছে তাদের পিছনে দুর্নীতি দমনের নাম করে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ ইডি ও সিবিআইকে৷ অথচ দেখা যাচ্ছে-বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের পাহাড় প্রমান দুর্নীতির পরও সেখানে কোন ইডি বা সিবিআই-এর তদন্ত হচ্ছে না৷
আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত বলেন---কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার গুলি দুর্নীতিতে আকন্ঠ ডুবে আছে৷ হিমশৈলের চূড়ার মতো এক আধটা ফাঁস হচ্ছে৷ এই অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে তিনি বলেন--- সমাজে পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ ও আদর্শ নেতৃত্বের অভাব৷ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের বিকেন্দ্রীত অর্থনীতি প্রাউটের আদর্শে কঠোর নীতিবাদ ও আধ্যাত্মিকতায় প্রতিষ্ঠিত সদবিপ্রদের নেতৃত্বই পারে দুর্নীতি ও শোষণের মূলোৎপাটন করে আদর্শ ও সমৃদ্ধ নোতুন ভারত গড়তে৷