সরকারী প্রতিবেদনেই মূল্যবৃদ্ধির পাল্লা ভারী গ্রামে অগ্ণিমূল্যে জ্বলছে গৃহস্থের হেঁসেল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিভিত্তিক সর্বভারতীয় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গ্রাম ও শহরের মূল্যবৃদ্ধি সমহারে হলেও গত দু’মাসে গ্রামের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা শহর অপেক্ষা বেশী কারণ হিসেবে বলা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও ব্যবহার্য জিনিস যেমন আটা, ডাল সবজি, পেঁয়াজ, দুধ, কাঁচা হলুদ আদা পানের পাতা, মাছ, শাড়ি, জুতো জামাকাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে৷ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যেখানে শহরে মূল্যবৃদ্ধির সূচক ১২৬৯ পয়েন্ট সেখানে গ্রামীন ভারতে মূল্যবৃদ্ধি সূচক ১২৮১ পয়েন্ট৷ মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্তের ঘাড়ে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা ঔষধের মূল্যবৃদ্ধি৷ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় শতাধিক ঔষধের দাম ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণেরবাইরে--- বার বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার সমীক্ষায় সেই তথ্য পাওয়া গেছে৷ আর এর কারণ খাদ্যশস্যের আকাশ ছোঁয়া দাস৷ সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্র্ধরণ কমিটির বৈঠকের প্রতিবেদনে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাধারণ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার গড়ে ৪.৭৫ শতাংশ সেখানে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ৷ শহরাঞ্চলে ৮.৮৩ শতাংশ আর গ্রামাঞ্চলে ৮.৬২ শতাংশ৷

গত তিন মাসে গ্রামীন ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার শহর অপেক্ষা অনেক বেশী৷ শহরাঞ্চলে যেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.১৫ শতাংশ সেখানে গ্রামীন ভারতে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৩ শতাংশ৷

গত ২১শে জুন প্রকাশিত কৃষিভিত্তিক মূল্যসূচকে দেখা যাচ্ছে গ্রামে মূল্যবৃদ্ধির পাল্লা ভারী৷ অথচ গ্রাম থেকে শহরে সব্‌জি আসে৷ তবে রাজ্য অনুযায়ী মূল্যবৃদ্ধির হারে পশ্চিমবঙ্গ সব থেকে কম৷ উড়িশা ও কর্ণাটকে মূল্যবৃদ্ধির হার সবথেকে বেশী ৬ শতাংশ উপর৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৪ শতাংশ৷ তৃতীয় মোদী সরকার এখনও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কোন আশার বাণী শোণায়নি৷