‘‘তমসাবৃত নিশীথে আলোর আমেজ শুধু কি মানুষই চায়, সবাই চায়৷ তিমিরাছন্ন আস্তিত্বিক বিস্মৃতির ভিতর দিয়ে উত্তরণের উত্তাপ বেঁচে থাকার বেড়ে ওঠার আকুতির পরিপূর্ত্তি সবাই চায়৷ সবাইকার এই চাওয়াটা পাওয়ার মাধুর্যে পূর্ণত্বের দিকে এগিয়ে চলার প্রথম সুযোগ যে মহাসম্ভুতির মাধ্যমে পৃথিবী পেয়েছিল তার সম্পর্কে যথাযথ আলোচনা মানুষ করেনি৷’’ ---শিব সম্পর্কে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি
যথাযথ আলোচনা হয়নি বলেই মানব সভ্যতার জনক শিবকে ভাঙখোর, গাঁজাখোর বলা হয়েছে৷ তাঁর সম্পর্কে জনৈক কবি লিখলেন---
‘‘আর কি ভারতে আছে সে যন্ত্র!
আর কি আছে সে মোহন মন্ত্র!
আর কি আছে সে মধুর কণ্ঠ!
আর কি আছে সে প্রাণ!
সেখানে আমি কি গাহিব গান৷’’
পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বললেন---‘‘যদি শিবের অনুগামীরা শিবের পথ ধরে শতকরা এক ভাগও চলে তাহলে ভারতে, পৃথিবীতে, মহাবিশ্বে সেই মোহন মন্ত্র আর মধুর কণ্ঠ আবার ফিরে আসবে৷’’
তাই শিব শুধু মন্দিরের বিগ্রহ নন, শিব আমাদের জীবন দেবতা, জীবনাদর্শ, জীবন দর্শন, শিবের স্বরূপ জানতে হলে, শিবের যথাযথ পরিচয় পেতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি রচিত ‘‘নম শিবায় শান্তায়’’ গ্রন্থটি৷