সূর্যে বিরাট গহ্বরের ফলে সৌরঝড়

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সূর্যের বুকে তৈরী হয়েছে বিশাল এক খাদ বা গর্ত৷ সেই খাদ পৃথিবীর থেকে অন্তত কুড়িগুণ বড়! একে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় করোনাল হোল৷ সূর্যপৃষ্ঠের ওই গহ্বরের তাপমাত্রা অন্য জায়গার তুলনায় কম হওয়ায় তাদের কালো দেখায়, মনে হয় বুঝি সূর্যে গর্ত হয়েছে৷ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র তথ্য অনুসারে সাত দিনের মধ্যে (৩১শে মার্চ) এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এমন গর্ত্ত তৈরী হলো বলে জানা গেছে৷ সূর্যের বুকে এত বিশাল গহ্বর তৈরী হওয়ার ফলে গত শুক্রবার (৩১শে মার্চ) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল প্রবল সৌরঝড় যার গতি ঘন্টায় ২৯ লক্ষ কিলোমিটার৷ তার আগেও বৃহস্পতিবারই দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যাণ্ডের  একাধিক জায়গায় সৌরঝড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রেডিয়ো ও মোবাইল যোগাযোগ৷

সৌর ঝড় কাকে বলে? সৌর ঝড়কে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় জিও ম্যাগনেটিক স্টর্ম৷ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের প্রভাবে সূর্যপৃষ্ঠের করোনাল হোল থেকে যখন অসংখ্য আয়নিত করা প্রচুর  শক্তি নিয়ে সুতীব্র গতিবেগ নির্গত হয়৷ তখন তাকেই বিজ্ঞানীরা সৌরঝড় বলেন৷  সৌরঝড়ের  ফলে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র থেকে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ও আয়নোস্ফিয়ারও প্রভাবিত হতে পারে৷ এই ম্যাগনেটোস্ফিয়ারই প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীকে সৌরজড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে৷ তা সত্ত্বেও সৌর ঝড়ের ফলে যে যে পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে--- *স্পেস শাটলের সব কাজ  * কৃত্রিম উপগ্রহের যাবতীয় কাজ * ইন্টারনেট * বিদ্যুৎসরবরাহ * জি.পি.এস ট্র্যাকিং * মোবাইল ও রেডিও যোগাযোগ৷ এর আগে ১৯১৯ সালে এই সৌরঝড় পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে ছিল৷ ৯ ঘন্টা ধরে  এই সৌর ঝড়ে কানাডা ও ইংল্যাণ্ডের পাওয়ার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ পাওয়ার গ্রীডে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে ট্রান্সফার্র্মর গলে যায়৷ বদলে যেতে পারে মেরুজ্যোতির সময় ও স্থান৷

পৃথিবীর বাসিন্দাদের ওপর প্রভাব---আমাদের বায়ুমণ্ডল যথেষ্ট পুরু হওয়ায় সৌরঝড়ের শক্তিকে শুষে নিতে পারে৷ তাই তার প্রভাব খুব বেশী আমরা বুঝতে পারি না৷ ফলে প্রাণীদের বিপদের আশংকা তেমন থাকবে না৷