ত্রিপুরায় বাঙালীর অস্তিত্ব ধবংসকারী গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড বিল ও পশ্চিমবঙ্গের অসাংবিধানিক গোর্র্খল্যাণ্ড টোরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্টেশন বা সংক্ষেপে জিটিএ বাতিলের দাবীতে গত ২০ জুলাই ২০২১, শ্যামনগর রেলস্টেশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল ‘‘আমরা বাঙালী’’ সংগঠন৷ উপস্থিত ছিলেন---কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্র সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অরূপ মজুমদার, মোহন অধিকারী, শেখর সাহা, সাগরিকা পাল সব জনা ২৫ কর্মী সমর্থকবৃন্দ৷ বিক্ষোভ সভায় জয়ন্ত দাশ বলেন বাঙালীর অস্তিত্ব ধবংস করতেই হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের এই চক্রান্ত৷ সকল স্তরের বাঙালীদের কাছে আহ্বান রাখছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগঠিত করতে৷ ছাত্রনেতা তপোময় বিশ্বাস বলেন--- জাতীয় স্তরে বাঙালীকে পায়ের তলায় দাবিয়ে রাখতেই হিন্দী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দালালরা এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত৷ ইতিহাস সাক্ষী আছে ত্রিপুরায় বাঙালীররাই ভূমিপুত্র৷ হালে পানি পাবার জন্য ৮০র দশকে মার্কসবাদী কমিউনিষ্ট পার্টি পশ্চিমবঙ্গে ও ত্রিপুরায় বাঙালী ও পাহাড়বাসীদের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি শুরু করেছে৷ সেই আগুন এখনো দাও দাও করে জ্বলছে, বর্তমানে সেই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ জন বার্র্ল, নিশীথ প্রামাণিকের মতো সাংসদ যারা প্রকাশ্যে বাঙলা ভাঙার উস্কানিমূলক প্ররোচনা দিচ্ছেন, পুরস্কার স্বরূপ তাদের কে কেন্দ্রীয় সরকারের বড় বড় মন্ত্রীত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ঘৃণ্য চক্রান্ত আজ পরিস্কার ৷ সর্বস্তরের বাঙালীদের কাছে বাঙালী বিদ্বেষী সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করার আহ্বান জানায় আমরা বাঙালী৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়