টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাটের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারী বৃষ্টিতে আওরঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় গুজরাতে আবার তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ আসন্ন বন্যার আশঙ্কায় দ্রুত তৎপর হয়েছে প্রশাসন৷তিন শতাধিক বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে৷

গত রবিবার মধুবন বাঁধ থেকে ছাড়া হয়েছিল প্রায় ১৪.৬২ লক্ষ কিউসেক জল৷ সোমবারও ৪৭,৭৬২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে৷ এতেই জলস্তর বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গুজরাতে৷

জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের ক্যান্টনমেন্ট এলাকা এবং ভালসাদ জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে বিপজ্জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মধুবন বাঁধের জলস্তর৷ রবিবারও ১.১১ লক্ষ ঘনমিটার পর্যন্ত জলপ্রবাহের রেকর্ড করা হয়েছে৷ ফলত, বাঁধের জলস্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬.৬০ মিটারের কোঠায়, যা বিপদসীমা ৮০ মিটারের কাছাকাছি৷

এমনিতেই টানা বৃষ্টিতে বেহাল দশা গুজরাতের৷ এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও মৃত্যুর খবর আসছে ওই রাজ্য থেকে৷ এঁদের মধ্যে কেউ বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন, কারও মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টিতে বাড়ির ভেঙে পড়া দেওয়াল চাপা পড়ে৷ রাস্তায় জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে কারও কারও৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও৷ বৃষ্টিতে গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত৷ বহু মানুষ ঘরছাড়া৷ পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ৷

তবে এখনই বৃষ্টি থামার কোনও নাম নেই, বলছে আবহাওয়া অফিস৷ মৌসম ভবন জানিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত ভালসাদ জেলার বিভিন্ন তালুকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ ভালসাদে ১৬৩ মিমি, ধরমপুরে ১০৩ মিমি, কাপরাদায় ১১৯ মিমি এবং পারডিতে ৭০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ গত সোম ও মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ভালসাদ জেলায়৷ ধরমপুর এবং কাপরাদাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ সোমবার এই দুই তালুকে বন্ধ রাখা হয়েছে যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান৷