১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর বিংশ শতাব্দীর ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন৷ আনন্দমার্গীয় সমাজের সমস্ত ভক্তবৃন্দের কাছে ওই দিনটি একটি স্মরণীয় দিন৷ কারণ তৎকালীন বিহার বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার আমঝরিয়া ফরেষ্ট বাংলোয় ১৯৭০ সালের ৮ই অক্টোবর জগদগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অষ্টাক্ষর সিদ্ধমন্ত্র ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম’’ এর প্রথম প্রবর্তন করেন, ‘ৰাৰা নাম কেবলম্’কে তিনি কীর্ত্তন মহামন্ত্র হিসাবে ঘোষনা করেন৷ বলেন ‘একবার ‘ৰাৰা নাম যত পাপ হরে, পাপীর সাধ্য নেই তত পাপ করে’’৷ তাছাড়া তিনি এই কীর্তনের শারীরিক মানসিক ও আত্মিক বহুমুখী উপকারিতার কথা বলেন৷ বিশ্বের সমস্ত আনন্দমার্গীদের কাছে এই দিনটি এক পবিত্র দিন হিসাবে প্রতি বছর পালিত হয়৷ কলকাতার তিলজলাস্থ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ভাবগম্ভীর পরিবেশে কীর্ত্তন দিবস উদ্যাপিত হয়৷ তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পর কীর্ত্তন দিবসে ৰাৰা কিভাবে আমঝরিয়ায় কীর্ত্তন দিলেন তার প্রেক্ষাপট স্মৃতিচারণ করেন সংঘের নবতিপর সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তনের তাৎপর্য সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় ধর্মপ্রচার সচিব, আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত৷
সবশেষে সবাই মিলিত আহার করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত, আচার্য শুভধ্যানানন্দ অবধূত ও আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত ও আচার্য চিরঞ্জয়ানন্দ অবধূত৷
ঠাকুরনগর ঃ গত ৮ই অক্টোবর উঃ২৪ পরগণা জেলার ঠাকুর নগর রামচন্দ্রপুরে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী নিত্যানন্দ বিশ্বাসের বাস গৃহে কীর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ছয় ঘন্টা অখণ্ড কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৬টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশিত হয়৷ সঙ্গীত পরিবেশন করেন---তনিমা বৈরাগী, চিরস্মিতা বিশ্বাস, রূপা বিশ্বাস প্রমুখ৷ এরপর ৬-৩০-১২-৩০ মিনিট পর্যন্ত কীর্তন পরিবেশিত হয়৷ কীর্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দপূর্ণপ্রাণা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ বিভুকণা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অন্বেষা আচার্যা, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, কুমুদ দাস, শুভদীপ হাজারী প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানের শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আচার্য প্রমোথেশানন্দ অবধূত৷