গত ৪ঠা ডিসেম্বর ত্রিপুরার প্রতিটি জেলার সদরে আমরা বাঙালীর কর্মী সমর্থকরা এন আর সি-র অজুহাতে বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১২ দফা দাবী নিয়ে গণ অবস্থান, পথসভা, বিক্ষোভ মিছিল করেন৷
উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে গণ অবস্থানে বক্তব্য রাখেন গোপাল কৃষ্ণ দেব, বিভাস দাস, দানেশ পাল, শেখর সরকার, জ্যোতিষ নাথ, সাত্তার মিঞা প্রমুখ৷
ঊণকোটি জেলার কুমারঘাটে অবস্থানে বক্তব্য রাখেন সুবল দেব, কেশব মজুমদার, শীতল দেবনাথ, রুপন বড়ুয়া প্রমুখ৷
ধলাই জেলার আমবাসাতে বক্তব্য রাখেন তন্ময় নাথ, প্রেমতোষ দেব, সুভাষ দেবনাথ, রঞ্জিত বিশ্বাস, মণিলাল শর্মা প্রমুখ৷
খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়ায় বক্তব্য রাখেন গৌতম ঘোষ, গৌতম দেব, কানু দেবনাথ, গোপাল সরকার, সুশীল দাস, নারায়ণ দেবনাথ, জহরলাল সাহা প্রমুখ৷
রাজধানী শহর আগরতলার কামান চউমুহনীতে বক্তব্য রাখেন প্রবীর দেবনাথ, হরলাল দেবনাথ, গীতাঞ্জলী দাস, রামকৃষ্ণ দাস, গৌরাঙ্গ সরকার, বিপ্লব দাস প্রমুখ৷
গোমতী জেলার অমরপুরে ছিলেন তপন দেবনাথ, গৌরাঙ্গরুদ্র পাল, রাসমোহন দাস, বিজয় দাস, বেনুলাল দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷
দক্ষিণ ত্রিপুরার বাইখোয়ায় নেতৃত্ব দেন মদন বৈদ্য, গোবিন্দ মজুমদার, কৃষ্ণ মজুমদার, গৌরীশঙ্কর নন্দী৷
৩রা ডিসেম্বর বিশালগড়ে গণ অবস্থানে নেতৃত্ব দেন গোবিন্দ মজুমদার, রঞ্জিত বিশ্বাস, শেখর সরকার, ভজন দেব, গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল, প্রবীর দেবনাথ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷
গণ অবস্থানের দাবীসমূহ ঃ---
l এন.আর.সি.-র অজুহাতে বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্ত বাতিল করতে হবে৷
l অবিলম্বে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী সমস্ত বাঙালীকে মুক্তি দিতে হবে৷
l অসম ও পশ্চিমবঙ্গে এন.আর.সি.-র আতঙ্কে ও ডিটেনশন ক্যাম্পে নিহতদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা ও পরিবার প্রতি একজনকে চাকুরী দিতে হবে৷
l ’৫১ বা ’৭১ কোন সালকেই ভিত্তি বৎসর ধরে ভারতের মাটিতে একটি বাঙাণ্ডলীকেও বিদেশী চিহ্ণিত করা যাবে না৷ ইত্যাদি৷