ত্রিপুরায় অভিশপ্ত ৯০ এর আতঙ্ক

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রাজ্যে আবার ফিরে এল নববই এর দশকের  উগ্রপন্থীদের মাধ্যমে বাঙালী অপহরণ, খুন ও মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল তথা এডিসি এলাকাকে বাঙালী শূন্য করার ষড়যন্ত্রের খেলা৷ কারণ গত ২৭ শে নভেম্বর গভীর রাতে উত্তর জেলার দাম ছাড়া থানাধীন জয়রাম পাড়া থেকে লিটননাথ নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে তার বাড়ীঘর, দোকানপাট লুটের পর দেড়লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে উগ্রবাদীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাম আমলে ১৯৮০-এর জুনের গণহত্যার পর থেকে ত্রিপুরাতে যে বাঙালী খুন, অপহরণ, নারীধর্ষন ও সম্পদ লুট করে  বাঙালীশূন্য এডিসি  করার চক্রান্ত করা হয়েছিল, তা আশি, নববইএর দশক পেরিয়ে এখন ২০২০ সালে নূতন উদ্যমে শুরু হয়েছে-ভিনরাজ্য মিজোরাম থেকে আসা রিয়াং শরণার্থীদের এ রাজ্যে পুনর্বাসনের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে৷ অতীতে এ রাজ্যের স্থায়ী অধিবাসী বাঙালীরা উগ্রবাদী আক্রমনের শিকার হয়ে অনেক স্বজনহারা, সম্পদ হারা হয়েছে৷ আর নয়৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে আমরা বাঙালীর দাবী (১) অনতিবিলম্বে অপহৃত লিটন নাথকে অক্ষত অবস্থায় উগ্রবাদীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে হবে৷ (২) লিটন নাথের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যসহ পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে৷ (৩) ত্রিপুরার সমস্ত প্রত্যন্ত স্পর্শকাতর অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যে অবিলম্বে টি.এস.আর বাহিনী৷ ক্যাম্প মোতায়েন করতে হবে৷ (৪) ১৯৮০ সালের জুন মাসের গণহত্যার পর থেকে এ পর্যন্ত উগ্রবাদী আক্রমনে এডিসি এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত বাঙালী পরিবারগুলিকে  স্বস্থানে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ (৫) বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন ঘটন করে সম্প্রতি পানিসাগরে  নিহত শ্রীকান্ত দাসের হত্যাকারীর গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত শাস্তিসহ সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে৷ অন্যথায় ‘আমরা বাঙালী’ দল রাজ্যজুড়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তুলবে৷