উদ্দীপনাপূর্ণ আধ্যাত্মিক পরিবেশে পালিত হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব আনন্দপূর্ণিমা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই মে ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা৷ বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই দিনটি আনন্দপূর্ণিমা হিসেবে পরিচিত৷ ১৯২১ সালের এই বৈশাখী পূর্ণিমাতে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷ যিনি লৌকিক জীবনে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত৷ বিশ্বের প্রতিটি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে এই দিনটি আনন্দপূর্ণিমা তিথি হিসেবে পরমভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন আনন্দমার্গীরা৷

এদিন বিশ্বের আনন্দমার্গীদের প্রাণকেন্দ্র কলিকাতা ভি আইপি নগর আশ্রমে ভক্তিপূর্ণ আধ্যাত্মিক পরিবেশে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ ১৫ই মে সন্ধ্যা সকাল ৬টায় অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন শুরু হয়,১৬ই মে ৬টা ৭মিনিটে কীর্ত্তন শেষ হয়৷ এরপর মিলিত সাধনা, বাণীপাঠ ও নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল৷ বাণীটি ছিল ---‘‘অভিস্ফূরণের গোড়ার ও শেষের কথা হচ্ছে চলমানতা......গতিশীলতা৷ চলায় যেমন বিরতি নেই, চলার পথেও তেমনই যতিচিহ্ণ নেই৷ এই চলাতেই থেকে যাচ্ছে শ্বাশ্বতী নীতি চেতসার সঙ্গে  কালঞ্জয়ী ইন্দ্রিয়োত্তর অনুভূতির মণিকাঞ্চন সমাহার, থেকে যাচ্ছে তাদের সমকেন্দ্রিকতা৷

একথা শুধু নিজে জানলেই বা মেনে চললেই চলৰে না৷ সকল জীবের বৈবহারিক জীবনেও এর উত্তরণ ঘটাতে হৰে৷ প্রতিটি জীবনকে সার্থকতার ফুলে-ফলে কোরকে-কলিতে ভাস্বর করে তুলতে হৰে৷তাদের ৰুঝিয়ে দিতে হৰে চলার পথের চরিতার্থতার সার কথা৷’’

বাণীর ব্যাখ্যা করেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ এরপর আলোচনা সভায় গুণীজনেরা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী  অবদানের ওপর বক্তব্য রাখেন৷ সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়, স্থানীয় মহিলাদের মধ্যে শাড়ি বিতরণ করা হয় ও চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করেছিল আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের মহিলা শাখা, সেখানে প্রায় ২০০জন রোগীর চিকিৎসা করা হয়৷

এই দিন আনন্দনগরে মহাসমারোহে আনন্দ পূর্ণিমা উৎসব পালিত হয়৷ বাঙলা দেশের বিভিন্ন ইয়ূনিটে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ ত্রিপুরা, খোয়াই, তেলিয়ামুড়া কাঞ্চনপুর, আগরতলা সহ প্রতিটি ইয়ূনিটেই দিনটি পালন করা হয় ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে৷

বাঁকুড়া দূর্লভপুরে আনন্দমার্গস্কুলে এদিন ভোর থেকেই উৎসব শুরু হয়৷ ভোর ৪-৩০ মিনিট থেকে প্রভাত ফেরী, পাঞ্চজন্য,অখণ্ডকীর্ত্তন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতহয়৷ আলোচনা সভায় মানব কল্যাণে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অবদানের ওপর বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজ সেবক নিশাকর পাণ্ডা, গঙ্গা জল ঘাটি থানার আই.সি অসীম সরকার, আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে সম্পন্ন করেন আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সাহায্য করেন স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাই বোনেরা৷