১৯৭৯ সালের ১৬ই জানুয়ারী হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া শহরে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ধর্ম মহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে পদার্পণ করেছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে হাওড়া জেলার মার্গীভাইবোনেরা প্রতিবছর এইদিনটি উলুবেড়িয়া শহরে পদার্পণ দিবস পালন করেন৷
এই বছর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বর্ষব্যাপী কর্মসূচী নিয়েছে হাওড়া ভুক্তি কমিটি৷ গত ১৬ই জানুয়ারী, উলুবেড়িয়া ইন্সটিটিউট হলে জেলার মার্গী ভাইবোনেরা সমবেত হয়েছিলেন৷ অনুষ্ঠানের সূচনায় প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর পদার্পণ দিবস অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ঐ দিন যে প্রবচন দিয়েছিলেন তা পাঠ করে শোনান জেলার ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷ প্রবচনের বিষয় ছিল নিদ্রা,তন্দ্রা, ভয়, ক্রোধ, আলস্য ও দীর্ঘ সূত্রতা৷ মানুষের ব্যষ্টিগত ও সামুহিক জীবনে সার্বিক কল্যাণ করতে হলে, এই ষোড়দোষ থেকে মানুষকে দূরে থাকবে হবে৷
এরপর প্রভাতসঙ্গীত পরিবেশন করেন মালবিকা পাল৷ আদর্শ সমাজ ঘটনে আনন্দমূর্ত্তিজী বহুমুখী অবদানের বিষয় আলোচনা করেন জেলার বিশিষ্ট মার্গী শ্রী তপন কুমার ভৌমিক৷ এরপর বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে বলেন বর্তমান আধ্যাত্মিক,সামাজিক, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা আনন্দমার্গেই আছে৷ এরপর সৌমিলী সাহা একটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ ওই পবিত্র দিনের বিষয় আলোচনা করেন শ্রী বকুলচন্দ্র রায়৷ প্রসঙ্গত তিনি ১৯৭৯ সালের ১৬ই জানুয়ারীতে তিনি মার্গগুরুদেবের পদার্পণে উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিপ্লব শীল ও গুণাতীতা দত্ত৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানের শেষে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরনও করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভুত্তিপ্রধান শ্রী সুব্রত সাহা৷
বাহিনী মিছিল ঃ ওই দিন অপরাহ্ণে বাঙালী বাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বাঙালী বাহিনী ও বাঙালী নারীবাহিনীর স্বেচ্ছাসেবকদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উলবেড়িয়া শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে বি.টি. কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়৷ সেখানে প্রাউট প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্য অর্পণ করেন অর্ণব কুণ্ডু চৌধুরী ও বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিবাদন জানানো হয়৷ বাঙালী বাহিনীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয় বক্তব্য রাখেন শ্রী বকুল রায়৷