কলকাতা ঃ গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ বিকট শব্দে চারদিক কাঁপিয়ে যানবাহন নিয়ে ধসে পড়ল মাঝেরহাট সেতু৷ ব্রীজের ওপর তখন ছিল একটি চার চাকা গাড়ী, একটি মিনিবাস ও কয়েকটি মোটর সাইকেল৷ ব্রীজের নীচেও কয়েকজন চাপা পড়ে গেছে৷ দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আহত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তার মধ্যে ১ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ বাকীদের চিকিৎসা চলছে৷ ২ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয়েছে৷ এর আগে এ রাজ্যে ২০১৩ সালের ৩রা মার্চ উল্টাডাঙ্গা ফ্লাই ওভার ভেঙ্গে পড়েছিল, তখন কেউ হতাহত হয়নি৷ ২০১৩ সালের ৩১শে মার্চ কলকাতার পোস্তায় নির্মিয়মান ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়েছিল৷ সেই সময় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ এর পরেই মাঝেরহাটে যে সেতু ভেঙ্গে পড়ল এর নীচে একটা ঝুপড়ি ছিল৷ সেখানেও জনা পাঁচ শ্রমিক ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ কিন্তু তাদের এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি৷ তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷
প্রায় ৫০ বছরের বেশী পুরানো সেতুটির ২০ মিটারের কিছু বেশী অংশ যেভাবে বাস, বাইক প্রভৃতি নিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে, তাতে অনেক বেশী হতাহত হতে পারত৷ কিন্তু আপাতত একজনেরই এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে৷ ব্রীজের তলায় যারা আছে তাদের কী অবস্থা ওখানে ক’জন চাপা পড়ে আছে পরদিন দুপুর পর্যন্ত উদ্ধারকারী দমকল বাহিনী বা সেনারা জানতে পারেনি৷
দমকল অফিসাররা জানাচ্ছেন, ব্রীজের নীচে চাপা পড়ে থাকা মানুষের গলার স্বর পাওয়া গেছে৷ স্তুপীকৃত চাঙড় ছিত্র করে ওর মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে নীচে কেউ চাপা পড়ে থাকলে তিনি অক্সিজেন পান৷ দমকল বাহিনী প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছে চাপা পড়া হতভাগ্যদের উদ্ধার করতে৷
পোস্তার বিবেকানন্দ উড়াল পুল ভাঙ্গবার পর কলকাতা ও শহরতলীর সমস্ত সেতুগুলি উপযুক্ত সংরক্ষণের দাবী উঠেছিল৷ সরকার সেইমত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশও দিয়েছিলেন কিন্তু যেভাবে কাজ হওয়া উচিত ছিল সেভাবে কাজ হয়নি৷ তাই আবার এক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হ’ল৷ কলকাতার ও শহরতলীর আরও বহু সেতুর অবস্থাই কিন্তু সঙ্কটজনক৷