লক্ষ্নৌ থেকে ১৫০ কি.মি. দূরে বুলন্দশহরের কিছু দূরে খোলা মাঠে বেশ কয়েকটি গোরুর মৃতদেহ পড়েছিল৷ এই খবর পেয়ে বেশ কয়েকটি গোঁড়া উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংঘটনের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান৷ তাঁরা একটি ট্রাক্টরে করে ওই মৃতদেহগুলিকে তুলে নিয়ে চলে যান চিংরাবতী পুলিশ চৌকির সামনে৷ সেখাবানে গো-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ তাঁরা দাবী করেন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক৷ এতদূর পর্যন্ত ঠিক চলছিল৷ তারপর পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তারা শুণতে নারাজ৷ বিক্ষোভকারীরা সায়না রোড্ অবরোধ করে৷ অবরোধ তুলে দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী আসে৷
বিক্ষোভ কারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা চলে৷ এরপর শুরু হয় পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়া ৷ পুলিশের একাধিক গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ বিক্ষোভাকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত হন সায়না থানার ষ্টেশন হাউস অফিসার ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিং সহ দু’জন৷
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের অন্যতম আধিকারিক রামু কুমার ভাস্কর বলেন, সম্ভবতঃ হিংসার পরিবেশ তৈরীর উদ্দেশ্যেই ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠের মধ্যে গোরুর মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল৷ তাঁর যুক্তি, গোরুর ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা নিশ্চয়ই গোরু মেরে মাঠের মধ্যে এগুলোকে ফেলে যাবে না৷
বলা বাহুল্য, এদিন বুলন্দ শহরে বিশেষ এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্যে প্রায় ১০ লক্ষ সংখ্যা লঘু জড়ো হয়েছিল৷ তাদেরই গন্তব্যে যাওয়ার পথেই অবরোধ করা হয়েছিল৷
অবরোধ সৃষ্টিকারীরা তথা যারা পাথর ছুড়েছিল --- তারা প্রায় সবাই বজরং দলের বা বিজেপি মোর্র্চর লোক৷
এটা পুলিশেরই রিপোর্ট, বিভিন্ন মহল থেকে এমন কি পুলিশের একমহল থেকেই অভিযোগ উঠেছে, সুবোধ সিংকে হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত৷ কারণ, ইতোপূর্বে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দলের লোকদের বিরুদ্ধে এক খুনের অভিযোগে তদন্ত করেছিলেন নিহত পুলিশ অফিসার সুবোধ সিং৷