লক্ষণ ঃ সকালে সন্ধ্যায় গলা ঘর ঘড় করা, স্বরভঙ্গ, শুকনো কাশি অথবা শ্লেষ্মায় লাল রক্তের ছিট থাকা বা রক্ত বমন হওয়া, সন্ধ্যার দিক থেকে ঘুসঘুসে জ্বর হওয়া, বুকে পিঠে বেদনা, দুর্বলতা বোধ ও নৈশ ঘর্ম, বিশেষ করে মাথা ঘেমে যাওয়া–এইগুলি যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ৷
কারণ ঃ যক্ষ্মার বীজাণু প্রায় সকল মানব দেহেই কম–বেশী পরিমাণে আছে৷ মানুষের রক্তের তেজ তথা জীবনীশক্তি যতক্ষণ বেশী স্বাভাবিক থাকে ততক্ষণ এই জীবাণু শরীরের কোন ক্ষতি করতে পারে না বা রোগ সৃষ্টি করতে পারে না, কতকগুলি বিশেষ কারণে রক্তের তেজস্বিতা তথা বিশুদ্ধি নষ্ট হয়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থিতে বা সন্ধিতে এই রোগের বীজাণু বাসা বাঁধবার সুযোগ পায়৷
রক্ত যার বিশুদ্ধ সাধারণতঃ ফুস্ফুসের সবলতা তার থাকেই৷ তাই সে অবস্থায় রোগবীজাণুর পক্ষে শরীরকে আক্রমণ করা সম্ভব হয় না৷ কিন্তু রক্তের দুর্বলতার ফলে ফুসফুস কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লে রোগবীজাণু সেখানে আশ্রয় নিতে অরম্ভ করে৷ এই অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখবার জন্যে ফুসফুল রোগবীজাণু সমূহকে ঝেড়ে ফেলে দিতে চায়৷ এই ঝেড়ে ফেলবার প্রয়াসই কাশি রূপে আত্মপ্রকাশ করে৷ দেহাভ্যন্তরকে কফমুক্ত রাখবার জন্যে প্রাকৃতিক নিয়মে যে কাশির উদ্রেক হয় তা’ মোটেই ক্ষতিকর নয় ও এইরূপ নির্দোষ কাশিকে চেনবার উপায় হচ্ছে এই যে এই ধরণের কাশির সঙ্গে কম বেশী শ্লেষ্মা মিশ্রিত থাকে কিন্তু যেখানে কাশি শুষ্ক আর তা’ দিনের পর দিন ধরে চলতে থাকে, তখনই বুঝতে হবে দেহাভ্যন্তরে কোন বড় রকমের গোলযোগ উপস্থিত হয়েছে৷ হয়তো বা যক্ষ্মা–বীজাণু সর্বশক্তি নিয়ে ফুসফুসে বাসা বাধবার চেষ্টা করছে৷ এইটাই হ’ল যক্ষ্মার প্রারম্ভিক অবস্থা৷ এই অবস্থায় সাধারণতঃ দুর্বলতা বোধ, নৈশ ঘর্ম–এই দু’টি লক্ষণই থাকে, অন্য লক্ষণগুলি ঠিক মত ফুটে ওঠে না৷
রোগের পরবর্ত্তী অবস্থায় দেহাভ্যন্তরকে সবল ও ক্রিয়াশীল রাখবার জন্যে প্রকৃতি রোগগ্রস্ত অংশের সন্নিহিত অঞ্চলে কফ সৃষ্টি করতে আরম্ভ করে তাই কাশির সঙ্গে কিছুটা করে কফও নির্গত হয়৷ রোগবীজাণু ফুসফুসে বাসা বাধবার সুযোগ পেয়ে যাবার পর থেকে কফের সঙ্গে কিছুটা করে রক্তের ছিটও দেখা দেয়৷ বুকে পিঠে রোগী ব্যথা অনুভব করে৷ শরীরের রস–পদার্থের স্বাভাবিক গতি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় গলার ঘড়্ ঘড়্ শব্দ ও স্বরভঙ্গ দেখা দেয়৷ সন্ধ্যার দিকে ৯৯/১০০ ডিগ্রি জ্বরও হয়৷ রোগীর কখনও কখনও রক্তবমনও হতে থাকে৷
‘‘বেগ রোধাৎ ক্ষয়াচ্চৈব সাহসাদ্বিষমাশনাৎ’’–অর্থাৎ দেহের রসধাতু বা বায়ুর স্বাভাবিক গতি যদি ক্ষাধাপ্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে মানবদেহ যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়৷ এই বেগরোধের ফলে যে সকল ক্ষেত্রে যক্ষ্মা উৎপন্ন হয় সাধারণতঃ সেই সকল ক্ষেত্রে রোগী খুব অল্প সময়ের মধ্যে অস্তিচর্মসার হয়ে যায় ও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের মনোবল নষ্ট হয়ে যায়৷
দেহের সার ধাতু শুক্র৷ দুগ্ধ মন্থন করে যেভাবে মাখন উৎপন্ন হয় রক্তের সারাংশও তদ্রুপ শুক্রে পরিণত হয়৷ এই সার ধাতু শুক্রের অত্যধিক অপচয়ের ফলে রক্ত প্রাণহীন হয়ে পড়ে, জীবনীশক্তি হ্রাস পায় ও তার ফলে যক্ষ্মাক্ষীজাণু সহজেই দেহে বাসা বাঁধবার সুযোগ পেয়ে যায়৷
যার যতখনি কাজ করবার শক্তি বা সামর্থ্য আছে, সে যদি ঝোঁকের বশে, অর্থের লোভে বা প্রশংসা কুড়োবার মনোবৃত্তির দ্বারা চালিত হয়ে নিজের শক্তি–সামর্থ্যের চাইতেও বেশী পরিশ্রম করে, সেক্ষেত্রেও তার জীবনীশক্তির অপচয় হেতু যক্ষ্মা রোগ ফুটে ওঠে৷
কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে বিষম আহার করে অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি তামসিক খাদ্যের পূর্বে বা পরে দুধ, ক্ষীর প্রভৃতি সাত্ত্বিক খাদ্য গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে ওই সকল খাদ্য দেহাভ্যন্তরে যক্ষ্মা রোগের অনুকূল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে৷
অথবা, কেউ যদি দিনের পর দিন অক্ষুধায় বা অল্প ক্ষুধায় প্রয়োজনাতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করে সেটাকেও বলা হয় বিষম আহার ও তার ফলেও যক্ষ্মাবীজাণু উৎসাহিত হয়৷
অথবা, দিনের পর দিন ধরে কেউ যদি প্রয়োজনমত আহার্য না পায় বা অসার খাদ্য গ্রহণ করে তাকেও বলা হয় বিষম আহার৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এইটাই যক্ষ্মা রোগের প্রধান কারণ৷
এ ছাড়াও যক্ষ্মারোগের বহু কারণ রয়েছে৷ যেমন, অতিরিক্ত মাদক দ্রব্য ব্যবহার করে রক্তকে অম্লবিষে জর্জরিত করে ফেলা, অতিরিক্ত আমিষ গ্রহণ করে যকৃৎ, রক্ত ও পাক্যন্ত্র সমূহকে দুর্বল করে ফেলা, অতিমৈথুনের ফলে বস্তিপ্রদেশের স্নায়ু, শিরা, ধমনী তথা গ্রন্থিসমূহকে দুর্বল করে ফেলা প্রভৃতি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, একত্রে বহু মানুষের বাস, যক্ষ্মারোগীর সংস্পর্শ, যক্ষ্মারোগগ্রস্ত জন্তুর দুগ্ধ পান বা যক্ষ্মারোগগ্রস্ত গৃহপালিত পশু–পক্ষীর অণ্ড ও মাংসভক্ষণ প্রভৃতি৷ এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে যে সকল পশু–পক্ষী সম্পূর্ণ রূপে আরণ্য জীবন যাপন করে এই রোগ তাদের ক্বচিৎ দেখা যায় কিন্তু গৃহপালিত গোরু, ঘোড়া, হাঁস, মুরগী প্রভৃতির মধ্যে যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাব খুবই দেখা যায়৷ ওই সকল গৃহপালিত জন্তুর দুগ্ধ বা মাংস দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহার করেও যারা যক্ষ্মা রোগগ্রস্ত হয় না, বুঝতে হবে তাদের জীবনীশক্তি খুবই বেশী৷ গৃহপালিত জীব–জন্তুর মধ্যে ছাগল, ভেড়া, কুকুর, বিড়াল ও খরগোসের মধ্যে এর প্রকোপ বড় একটা দেখা যায় না, আর এই জন্যেই প্রাচীনকালে লোকে যক্ষ্মারোগীকে খরগোসের সান্নিধ্যে থাকবার নির্দেশ দিতেন৷ হিন্দুদের পুরাণে আছে যে চন্দ্রেরও নাকি একবার যক্ষ্মা হয়েছিল আর সেই সময় তিনি রোগমুক্তির জন্যে একটি খরগোসকে নিজের ক্রোড়ে ধারণ করে রয়েছেন ও এই জন্যে পুরাণে চন্দ্রের আরেকটা নাম হচ্ছে ‘শশাঙ্ক’৷
অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ, জীবন সম্বন্ধে হতাশাও মানুষের জীবনীশক্তিকে নষ্ট করে দেয়৷ তাই তার ফলে রক্ষ্মারোগ দেখা দিতে পারে৷ ফুসফুসের যক্ষ্মা জীবনীশক্তিকে দ্রুত বিনষ্ট করে দেয় বলে একেই সব চেয়ে ভীষণ ব্যাধি রূপে ধরা হয়, কিন্তু যক্ষ্মা দেহের যে কোন অংশে হতে পারে আর সব ক্ষেত্রেই কারণ একই৷
যার কোষ্ঠকাঠিন্য নেই অথবা শুক্রধাতুর অপচয় হয়নি, তার পক্ষে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম, কারণ একদিকে যেমন তার দেহে অজীর্ণ খাদ্য, মল বা অজীর্ণ পাচক রস পচে দূষিত বায়ু তথা রোগবীজাণু সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকে না, অন্য দিকে তেমনই যথেষ্ট শুক্রের উপস্থিতি নিবন্ধন রক্ত সবল থাকায় জীবনীশক্তিও অটুট থাকে৷ মনে রাখা দরকার, ‘‘মলায়ত্তং বলং পুংসাং শুক্রায়ত্তং চ জীবিতং৷’’
চিকিৎসা ঃ
প্রতূ্যষে ঃ উৎক্ষেপমুদ্রা, কর্মাসন, অগ্ণিসার, মৎস্যেন্দ্রাসন, দীর্ঘপ্রণাম, যোগমুদ্রা, ভুজঙ্গাসন, বায়বী মুদ্রা বা বায়বী প্রাণায়াম৷
সন্ধ্যায় ঃ সর্বাঙ্গাসন, মৎস্যমুদ্রা, নৌকাসন, উৎকট পশ্চিমোত্তানাসন ও অগ্ণিসার৷
পথ্য ঃ রস–রক্তাদির ক্ষয় হেতু যক্ষ্মারোগী অল্পকালের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর অথচ লঘুপাচ্য খাদ্য গ্রহণ করতে হবে৷ কখনও এক সঙ্গে বেশী পরিমাণ খাদ্যগ্রহণ করাই উচিত নয়৷ যে সকল খাদ্যে কোষ্ঠবদ্ধতা দেখা দিতে পারে সেগুলি সযত্নে পরিহার করতে হবে৷ যকৃতের অবস্থা বুঝে যথেষ্ট পরিমাণ গোদুগ্ধ বা ছাগদুগ্ধ অথবা বাদামের দুগ্ধ বা নারিকেলের দুগ্ধ পান করা বিধেয়৷ মশলা, মাংস, ডিম, ঘি, আতপচাল প্রভৃতি খাদ্য কোষ্ঠবদ্ধতা রোগ সৃষ্টির সহায়ক৷ তাই রোগমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সেগুলি বর্জন করতে হবে৷ অন্যান্য অধিকাংশ রোগের মত এই রোগেও অম্লধর্মী খাদ্য পরিহার করে ক্ষারধর্মী খাদ্য অর্থাৎ সব রকমের টক–মিষ্টি ফল–মূল ও শাক–সব্জীর ঝোল এই রোগে সুপথ্য৷ রোগের বাড়াবাড়ি অবস্থায় নেবু ও ফলের রস ব্যতিরেকে কোন কিছুই খাওয়া উচিত নয়৷ অতঃপর রোগের প্রকোপ মন্দীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে পুষ্টিকর অথচ লঘুপাচ্য (যতদূর সম্ভব ক্ষারধর্মী)৷ খাদ্যগ্রহণ করতে হবে৷ আমিষ–ভোজী অল্প মশলা দিয়ে তৈরী ক্ষুদ্র মৎস্যের ঝোল খেতে পারেন৷ যক্ষ্মা রোগীর পক্ষে চীনী বা গুড়ের পরিবর্ত্তে মধু ব্যবহার করা অধিকতর সঙ্গত৷ রোগীর পক্ষে রাতে ভাত না খেয়ে রুটি ব্যবহার করাই ভাল৷ দৈনিক প্রায় আড়াই থেকে তিন সের জল যক্ষ্মারোগীর পান করা উচিত৷ তবে কখনও এক সঙ্গে আধপোয়া র অধিক নয়৷ যক্ষ্মা রোগীর পক্ষে নিরম্বু উপবাস কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ৷
বিধিনিষেধ ঃ যক্ষ্মা রোগীর পক্ষে শারীরিক পরিশ্রম বর্জনীয়৷ অবশ্য খোলা মন নিয়ে উন্মুক্ত প্রান্তরে নিজের সামর্থ্য মত ভ্রমণ করা হিতকর৷ রোগীর পক্ষে ব্যাপক স্নান আর শীত ও গ্রীষ্মকালে উপযুক্ত সময়ে আতপস্নানও রোগমুক্তির সহায়ক৷ এই আতপস্নান যত দূর সম্ভব নগ্ণ দেহে সম্পূর্ণ শরীরে হওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ আতপস্নানের পর সম্পূর্ণ শরীর ভিজে তোয়ালে বা গামছায় মুছে নেওয়া উচিত৷ যক্ষ্মা রোগীকে সব সময়েই নিজের মনোবল ঠিক রাখতে হবে, কিছুতেই রোগ সম্বন্ধে হতাশার ভাব পোষণ করা চলবে না৷ রোগীর শয়নকক্ষ ও বিছানা বেশ শুষ্ক্ থাকা দরকার৷ ঘরের মধ্যে আলোক–বাতাসের যথেষ্ট ব্যবস্থা থাকাও চাই৷ মোটের ওপর রোগীকে যত বেশী প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখা যায় ততই মঙ্গল, কেবল দম্কা হাওয়া বা ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রোগীকে রক্ষা করবার জন্যে সর্বাঙ্গে চাদর মুড়ে রাখলেই চলবে৷ ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে রোগীকে স্নান বন্ধ করে দিলে বা ঘরে বাইরে যেতে না দিলে রোগীর ক্ষতিই হবে, কারণ তাতে করে তার রোগ–প্রতিরোধ শক্তি দ্রুত কমে যেতে থাকবে৷ যক্ষ্মা রোগীর পক্ষে অতিকথন, স্ত্রী–সংসর্গ, সুস্থ ব্যষ্টির সঙ্গে একত্রে ভোজন প্রভৃতি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ৷ দেহের লোমচ্ছেদনও না করাই ভাল৷ তবে শরীরকে সর্বদাই পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে৷
রাত্রি জাগরণ, দেশ–বিদেশে ভ্রমণ, মানসিক পরিশ্রম প্রভৃতিও রোগীকে বর্জন করতে হবে৷ রোগীর রক্তবমন হলে ভীতিগ্রস্ত না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক শৌচক্রিয়া করে নিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে ও সুস্থতা না আসা পযন্ত বুকের ওপর একটি ভিজে তোয়ালে রাকতে হবে৷ ওই তোয়ালে মধ্যে মধ্যে শীতল জলে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে বুকের উপর রেখে দিতে হবে৷
কয়েকটি ব্যবস্থা ঃ
১) বেড়েলা, গাম্ভারী, শতমূলী, অশ্বগন্ধা ও পুনর্নবা সম পরিমাণে একত্রে শুষ্ক্ ও চুর্ণ করে দু’বেলা মধু সহ সেব্য৷ সেবনান্তে কিছুটা পরে এক বলকের মত ছাগদুগ্ধ পান করলে এই এই রোগে দ্রুত ফল পাওয়া যায়৷
২) খোসা সহ বড় এলাচ–চূর্ণ ও দারুচিনী–চূর্ণ সমান ভাবে মিশিয়ে মধু সহ এক চামচ পরিমাণ সন্ধ্যায় সেব্য ও সকালে বেলপাতার রস, শিউলি পাতার রস ও কয়েৎবেল পাতার রস সম ভাবে মিশিয়ে এক তোলা পরিমাণ সেব্য৷
(‘যৌগিক চিকিৎসা ও দ্রব্যগুণ’, বই থেকে প্রাপ্ত)
- Log in to post comments