March 2017

মুর্শিদাবাদে সেমিনার

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মুর্শিদাবাদের কান্দি আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গের এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় ৷এখানে প্রশিক্ষকরূপে আচার্য রবীশানন্দ অবধূত সমবেত আনন্দমার্গীদের সামনে আনন্দমার্গের আদর্শের বিভিন্ন দিক সম্বন্দে আলোচনা করেন৷
নীলকণ্ঠ দিবস উদ্যাপন

হুগলীর গোবরআড়া গ্রামে কীর্ত্তন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পুঁইনান ঃ গত ২৬শে জানুয়ারী হুগলী জেলার ধনেখালি ও পুঁইনানের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত গোবরআড়া গ্রামে প্রশান্ত নন্দীর গৃহে তিন ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড বাবা নাম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ নিকটস্থ আনন্দমার্গের সকল সাধক-সাধিকা ও জেলার অন্যান্য স্থানের সাধক-সাধিকাদের উপস্থিতিতে কীর্ত্তনস্থলে এক ভক্তিপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়৷ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন দিলীপ সাঁতরা, কনক সাউ, বিন্দু মণ্ডল, চন্দনা সেন ও দেবাশীষ ধর৷ কীর্ত্তন সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন ব্রহ্মচারিণী অনিন্দা আচার্যা ও অসীম ঘোষ৷ কীর্ত্তন শেষে দুঃস্থ গ্রামবাসীর হাতে বস্ত্র ও কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৮ই ফেব্রুয়ারী বীরভূম জেলার সিউড়ি ১ নং ব্লকের কচুরজোরের কাছে মহবনা গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রদ্ধেয়া অর্চনা দাসের বাসভবনে বাবা নাম কেবলম্ মহামন্ত্রের অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন মানবেন্দ্র ঘোষাল, কেশব চন্দ্র সিন্হা, রবি ঘোড়াই প্রমুখ৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর কীর্ত্তন মহিমা ও আনন্দমার্গের আদর্শ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ তন্ময়া আচার্যা৷

মার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরায় আনন্দমার্গীয় বিধিতে একটি বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হল৷ আনন্দমার্গীয় বিবাহ ব্যবস্থা পণপ্রথা, জাতিভেদ প্রথা সহ সর্বপ্রকার কুসংস্কার থেকে মুক্ত এই বিবাহে পাত্রী ছিলেন কল্যাণীয়া সীমা দাস---পিতা মতিলাল দাস ও মাতা রীণা দাস নিবাস পশ্চিম মালা, গোমতী, ত্রিপুরা আর পাত্র ছিলেন রঞ্জন দেব---পিতা নীরেণ দেব, মাতা দিপালী দেব, নিবাস ডিএসকলোনী, তেলিয়ামুড়া৷ এই বিবাহ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ সুচীতা আচার্যা৷
আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ আনন্দমার্গী জহরলাল সাহা৷

মার্গীয বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ৩রা ফেব্রুয়ারী ময়নাগুড়ির আনন্দনগর এলাকায় প্রয়াতা অনিকা দাসের (৪৫) শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে সুসম্পন্ন হয়৷ প্রয়াতার স্বামী শ্রী দুলাল দাস (ত্রিপুরা) ও মাতৃদেবী শ্রীমতী অঞ্জলী দত্ত (ময়নাগুড়ি)৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ব্রহ্মচারিণী দেবলীনা আচার্যা৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর প্রয়াতা অনিকা দাসের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আচার্য শুভমিত্রানন্দ অবধূত প্রয়াতা অনিকা দাসের কর্তব্য নিষ্ঠা, ভক্তি ও সেবাপরায়ণতার বর্ণনা দেন৷ খুশী মণ্ডল, মহিম সরকার, নীতীশ সাহা প্রমুখ প্রয়াতার স্মৃতিচারণ করেন৷

ভাষার সমস্যা ও সমাধান

যান্ত্রিক প্রগতির সঙ্গে সঙ্গে দেশকালের ওপর মানুষের আধিপত্য ক্রমশই বেড়ে যেতে থাকে আর তাই একটি বিশ্বরাষ্ট্রের প্রয়োজনও মানুষ মর্মে মর্মে অনুভব করবে ৷ ক্রমশ মানুষকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে বেশী পরিমাণ মেলামেশা করতে হবে ও এই মেলা-মেশার খাতিরে একে-অন্যকে ভালভাবে বুঝবার চেষ্টাও করতে হবে ৷ মানুষজাতের অজস্র ভাষা৷ প্রতিটিই আমাদের ভাষা---আমাদের সকলকার ভাষা৷ এখানে আমার ভাষা---তোমার ভাষা বা দেশী-ভাষা বিদেশীভাষা --- এ জাতীয় মনোভাব অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ৷ এতটুকু মাত্র বলা যেতে পারে যে আমাদের অনেকগুলি ভাষা আছে, তবে তার মধ্যে মাত্র একটি বা কয়েকটি ভাষায় আমি নিজেকে ব্যক্ত করতে পারি৷

কয়েকজন স্মরণীয়া মহিলা ও সতী নারী গান্ধারী

গান্ধারী ছিলেন আফগান মহিলা৷ কান্দাহার (সংস্কৃতে ‘গান্ধার’) নামে এক দেশ ছিল ও গান্ধারী ছিলেন সেই দেশের কন্যা৷ তৎকালীন ভারতীয়রা কান্দাহারকে বলতেন ‘প্রত্যন্ত দেশ’ – সুদূর সীমান্তবর্তী দেশ৷ খাঁটি ভারতবর্র্ষ বলতে যা’ বোঝায় তা’ নয়৷

পুষ্টিকর খাদ্য ও জন্মনিয়ন্ত্রণ

সাধারণতঃ দেখা যায় যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল, বিশেষ করে যাঁরা ভাল ও পুষ্টিকর খাদ্য খান, তাঁদের বংশ বৃদ্ধি হয় না৷ তাঁদের বংশবৃদ্ধির হার আশ্চর্যজনক ভাবে কমে যায়৷ মা ষষ্ঠীর কৃপা গরীবের ঘরে আর্থিক স্বচ্ছলতার দরুন কয়েকটি বিশেষ বর্গের ঘরে সন্তানের সংখ্যা খুব কম হয়ে থাকে৷ আর তাই পোষ্যপুত্র তাঁরাই গ্রহণ করেন৷ তোমরা খোঁজ নিলেই জানবে যে বড় বড় ধনীদের, রাজা–রাজড়াদের অনেকেই ছিলেন অপুত্রক৷ পোষ্য নিয়েই তাঁদের বংশধারা বজায় রাখতে হয়েছিল৷ যেকালে কায়স্থদের অবস্থা ভাল ছিল, সেকালে তাঁদের সংখ্যাক্ষৃদ্ধি ঘটত খুব কম৷ বণিকদের সংখ্যা ক্ষৃদ্ধি এখনও খুব কমই ঘটে থাকে৷ বড় বড় চাষীদেরও পুত্রকন্যার সংখ্যা কম৷ প

ছীতল অইয়া জায়

গুপ্তযুগের সবচেয়ে বড় রাজা ছিলেন সমুদ্রগুপ্ত৷ কিন্তু গুপ্তযুগের কথা বলতে গিয়ে যে নামটি প্রথমেই ভেসে ওঠে তিনি চন্দ্রগুপ্ত৷ যদিও সমুদ্রগুপ্ত দিগ্বিজয়ী বীর হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন, ....ভারতে এক অতি ক্ষৃহৎ সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন....সাংস্কৃতিক জীবনে বিরাট পরিবর্ত্তন এনেছিলেন কিন্তু গুপ্তযুগের অনল–পুরুষ ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত৷ তাঁর প্রজা–প্রীতি ছিল ইতিহাসপ্রসিদ্ধ৷ তাঁর প্রেরণা ও প্রচেষ্টাতেই সংস্কৃত ভাষা নবজীবন লাভ করেছিল৷ 

পুঁজিবাদী আগ্রাসনের অবসান কোন্ পথে

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আজ সমাজের সর্বক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে অবক্ষয়, শোষণ, নির্যাতন একজনকে বঞ্চিত করে আর একজন তার কাঙ্খিত দ্রব্য পেতে চায় ফলে শুরু হয়েছে অবাধ প্রতিযোগিতা সমাজের অধিকাংশ মানুষের প্রতি বঞ্চনার ওপর তৈরী হচ্ছে মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণীর প্রাচুর্যের ইমারত ফলে স্বাভাবিকভাবে জমছে ক্ষোভ সমাজের বৃহত্তম অংশের এই ক্ষোভকে যতই প্রশাসনিক শৃঙ্খলার নামে শাসক শ্রেণী সংযত রাখার চেষ্টা করুক না কেন, তা একদিন বিস্ফোরণের রূপ নেবেই নেবে আর সেই বিস্ফোরণে ধবংস হয়ে যাবে আজকের সভ্যতার এই চাকচিক্যময় ইমারত তখন কেউ বাঁচবে না পুঁজিপতি ধনিক গোষ্ঠী তো বাঁচবেই না, কিন্তু পাল্টা আক্রমণে পুরো সমাজটাই ধবংসস্তুপে পরিণত হবে