March 2017

সদ্বিপ্র সমাজকে ঠেকাতে পুঁজিপতিদের নয়া কৌশল

সুকুমার সরকার

যোগী মহারাজ যোগের উচ্চাসন ছেড়ে উত্তরপ্রদেশে রাজ-সিংহাসনে বসেছেন৷ এ নিয়ে ভারতীয় সমাজ-রাজনীতি আজ দ্বিধা বিভক্ত হিন্দুত্ববাদীরা মহা উল্লাসিত ৷ তারা ভাবছেন, এবার উত্তরপ্রদেশে ধর্মের ধবজা পত্পত্ করে উড়বে৷ অহিন্দুত্ববাদী বা সেকুলারবাদীরা ক্ষুব্ধ তারা ভাবছেন এবার ভারতীয় মিলন-সংসৃকতিতে সংকীর্ণতার বীজ বপন হবে ৷

ভারতে আই এসের থাবা - এই অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে সকল ভারতীয়কে সরতাজের মত দৃঢ়চেতা হতে হবে

মুশাফির

গত ৮ই মার্চ ভারতের প্রায় সব সংবাদপত্রের শিরোনামে একটা সংবাদ আসে৷ তা হল লক্ষ্নৌয়ের সন্নিকটে ভূপাল-উজ্জয়িনী প্যাসেঞ্জারে ৭ই মার্চ যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটা আই এসের জঙ্গীরা ঘটায়৷ এখানে পুলিশের সঙ্গে যে লড়াই হয় তাতে মারা পডে সইফুল্লাহ নামে ২০ বছরের এক যুবক৷ টানা ১২ ঘণ্টার লড়াইয়ের পর জঙ্গীটি মারা যায়৷

দেশে ভ্রষ্টাচারের ঘূর্ণিপাকে রাজনীতি খাবি খাচ্ছে

হরিগোপাল দেবনাথ

আধুনিক গণতন্ত্রের যুগে, সাম্য, মৈত্রী স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব ইত্যাদি নিয়ে পৃথিবীর কোণায় কোণায় জনসভা, আলোচনা চক্র, সামিট, কনগ্রিগেশন, বোঝাপড়া, সালিশী কত কিছু চলেছে৷ জি-গোষ্ঠীর উপদেশ, হিতৈষণা, কমনওয়েলথ বা জেনেভায় প্রভাবশালীদের নেতৃত্ব ও মানবমুক্তির কথা, বলতে গেলে, এখন হালে পানি পাচ্ছে না৷ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের হাউইবাজি এখন ব্যাঙ-বাজির ভূমিকায় ব্যাসার্ধহীন কেন্দ্র-পরিক্রমা করে চলেছে৷ পৃথিবীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমেত তাবড় দার্শনিক প্রবরকুল ও চিন্তানায়কেরাই অস্থির৷ কীভাবে একটা সুস্থ ও সুষ্ঠু পথ বের করা যায়, যাতে করে দুনিয়ার মানবসমাজটার একট

মহান আত্মত্যাগ ও বীরত্বের এক জ্বলন্ত নিদর্শন মাষ্টারদা সূর্য সেন

অম্বর‌ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের স্বাধীনতা বিপ্লবের এক জ্বলন্ত নিদর্শন মাষ্টারদা সূর্য সেন৷ মাষ্টারদা সূর্য সেনের অকল্পনীয় আত্মত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম যে কোনো আদর্শবাদী মানুষের কাছে প্রেরণার প্রজ্জ্বলন্ত অগ্ণিশিখা ৷

১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল, তিনি চট্টগ্রামে ৬৫জন সঙ্গী নিয়ে ব্রিটিশদের দুটি অস্ত্রাগার, পুলিশ লাইন, ডাক ও তার অফিসের সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে ব্রিটিশদের পরাস্ত করেন৷ ওই সব অফিসে ব্রিটিশ পতাকা ইয়ূনিয়ন জ্যাক নামিয়ে ভারতের পতাকা উড়িয়ে দেন ও নিজেকে স্বাধীন ভারতের চট্টগ্রাম শাখার প্রধান রূপে ঘোষণা করেন৷

প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ মানে না, কোনরকম অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারও মানে না

সত্যসন্ধ দেব‌

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

দূষিত রাজনীতি

সাংসদ কেডিসিংকে নিয়ে অনেক রহস্য ধীরে ধীরে উদ্ঘাটিত হচ্ছে ও বর্তমান রাজনীতির কুৎসিৎ চেহারাটাও ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে৷ প্রথমে নারদা ষ্টিং অপারেশন মারফৎ জনসাধারণ দেখল, কীভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে লেনদেন হচ্ছে, যাতে বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতারা জড়িত৷ তারপরআবার বিস্ময়ের সঙ্গে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের স্বীকারোক্তি শোনা গেল, সে যে দলের নেতাদের দুর্নীতি তুলে ধরতে চায় সেই দলেরই এক সাংসদের কাছ থেকে সে ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই ষ্টিং অপারেশনে ব্যবহার করেছে৷ জিনিসটা ধাধাঁর মতই মনে হল ! রাজনীতিতে তবে সবই চলে !

নারদা কাণ্ডের তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে

গত ২১শে মার্চ দেশের শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করে নারদ স্টিং অপারেশনের তদন্ত ভার সিবিআইয়ের ওপর ন্যস্ত করল৷

বেঙ্গালুরুতে কি ভারত ঘুরে দাঁড়াবে?

ক্রীড়া সংবাদদাতা ঃ ঘূর্ণী পিচ বানিয়ে ফাঁদে ফেলার পরিবর্তে নিজেরাই সেই ফাঁদে পড়ে লজ্জাজনক হার হজম করতে হয়েছে৷ পুনে টেষ্টে অসিদের বিরুদ্ধে তাই বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী ষ্টেডিয়ামে স্পোর্টিং উইকেট বানানোর দিকেই নজর দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড৷

আর্থিক দুরবস্থায় পদক বেচতে হল অ্যাথলিটকে

ক্রীড়া প্রতিনিধি , ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫০০ পাউণ্ডের বিনিময়ে ওলিম্পিকে পাওয়া দুটি সোনার পদক ও একটি রূপার পদক বেচতে বাধ্য হলেন সোভিয়েত রাশিয়ার প্রাক্তন জিমন্যাষ্ট ওলমা কোয়াবাট৷ উল্লেখ্য আমেরিকা ওলিম্পিকে তিনি ওই সোনা ও রৌপ্য পদক দুটি জিতেছিলেন৷ ভাগ্যের এমনই পরিহাস যে জীবনের অধ্যাবসায়ের সবচেয়ে বড় সম্পদ বেচতে হল৷