June 2017

আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

আনন্দমার্গের প্রবক্তা ও প্রবর্তক শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৭তম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষ্যে ২৬শে মে থেকে ২৮শে মে পর্যন্ত পুরুলিয়ার আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ মার্গগুরুদেবের প্রতিনিধি রূপে ধর্মমহা–সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংঘের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ও অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, বিহার সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আনন্দমার্গীরা যোগ দিয়েছিলেন৷ বহির্ভারতের বেশ কিছু দেশ থেকেও আনন্দমার্গের অনুগামীরা এই ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন৷ বর্তমানে সমাজের সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে মান

গোরু নিয়ে রাজনীতি এখন তুঙ্গে

বাজারে গবাদি পশু বেচাকেনার ওপর মোদী সরকারের ফরমান জারীর প্রথম বিরোধিতা করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এর বিরুদ্ধে সরব হতে চিঠি লিখেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ইতোপূর্বেই এই ফরমানের বিরোধিতা করেছেন মমতা বক্তব্য, এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক। তাছাড়া এ বিষয়টি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ফলে এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় রীতি লঙ্ঘিত হচ্ছে।

নেতাজীর মৃত্যু বিমান দুর্ঘটনাতেইঃ কেন্দ্রের কংগ্রেসের মতো বিজেপিরও একই বক্তব্য

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও বলতে চায়, তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছে। নেতাজী জীবিত আছেন কি না,--- এর উত্তর জানতে চেয়ে ওপেন প্লার্টফর্ম-ফর নেতাজী-র মুখপাত্র সায়ক সেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এক আবেদন করেছিলেন। এর উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, শাহনওয়াজ কমিটি, বিচারপতি, জিডি খোসলা কমিশন ও মুখার্জী কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট বিবেচনা করার পর কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্তেই এসেছে যে, ১৯৪৫ সালে তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছিল। ৩১শে মে কেন্দ্রের এই জবাব একটি সর্বভারতীয় ইংরেজী দৈনিক প্রকাশিত হয়েছে

কাবুলে ভয়ঙ্কর জঙ্গীহানা

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দূতাবাস এলাকায় বিষ্ফোরক ভর্তি-এক ট্রাক হঠাৎ ঢুকে পড়ে ও বিষ্ফোরণ ঘটায়।

এই ভয়াবহ জঙ্গী হানার ফলে নিহত অন্তত ৯০ জন ও আহত ৪০০ জন। এই বিষ্ফোরণের ফলে বিভিন্ন দূতাবাসের ভালই ক্ষতি হয়েছে। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মি, দূরে ভারতীয় দূতাবাসের অবশ্য বিশেষ কোনো ক্ষতি হয়ে নি। তবে দূতাবাসের দরজা জানালার কাঁচ ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্র সংঘে আমন্ত্রিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

আগামী ২২শে ও ২৩ শে জুন আন্তর্জাতিক জনসেবা পরিষেবা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় যোগদান করার জন্যে রাষ্ট্র সংঘ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

মমতা জানালেন, ৩১শে মে তিনি আমন্ত্রণ পত্র পেয়েছেন এ আমন্ত্রণ সম্মানের বহুদেশের মন্ত্রী ও বহু বিশিষ্ট মানুষ এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

জাত কি কারো আছে

প্রাচীনকালে পৃথিবীর সব দেশে কিছু এমন সংখ্যক দুঃস্থ লোক ছিলেন বা থাকতেন যাঁদের জীবিকা ছিল সন্তান বিক্রী করা৷ পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান দুই–ই তাঁরা বিক্রয় করতেন৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের অর্থ তাই কেনা পুত্র বা ক্রীত পুত্র অর্থাৎ পোষ্যপুত্রও হয়৷ তেমনি আবার ক্রীতদাসও (গোলাম, ইংরেজীতে slave) হয়৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গরূপ ‘ক্রীতকী’৷ ‘ক্রীতক’ শব্দের অর্থ নিজের কন্যার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া নিজ–জামাতা বা ঘরজামাইও হয়৷ বলা বাহুল্য এই সকল ঘরজামাই–এর অবস্থা ছিল ক্রীতদাসেরও অধম৷ রাঢ়ের প্রাচীন গানে আছে–‘‘ঘরজামাইয়ে শ্বশুরবাড়ী মেগের লাথি খায়’’, অথবা–

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

সত্যাসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা (potentiality) ।

পশ্চিম রাঢ়ের মানুষদের জীবন–যন্ত্রণা

সমীর সিংহ

 রাঢ় বলতে কোন্ অঞ্চলকে বোঝায় ?

সমগ্র বাংলা বা গৌড়দেশ হ’ল প্রকৃপক্ষে বাঙালীদের নিজস্ব বাসভূমি৷ মহান্ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন, ‘‘আমাদের এই গৌড়দেশকে সামগ্রিক ভাবে গৌড়দেশ অথবা পঞ্চগৌড় অথবা বাংলাদেশ–যে কোন একটি নাম দেওয়া যেতে পারে৷ বাঙালীস্তানও বলা যেতে পারে কারণ যে অর্থে তামিলনাড়, রাজস্থান, নাগাল্যাণ্ড, মিজোরাম নামগুলি চলছে হুবহু সেই অর্থেই গৌড়দেশকে ‘বাঙালীস্তান’ বললেও মহাভারত অশুদ্ধ হবে না৷ ওতে আঁতকে ওঠার কী আছে বরং ওই নাম এই পরিচিতিই বহন করবে যে দেশটা বাঙালীদের মাতৃভূমি৷’’ (বাঙলা ও বাঙালী)

Tags

বর্ত্তমান যুগে বহুবিবাহ ও তিন তালাক নারী সমাজের চরম অবমাননা!

প্রবীর সরকার

বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী ও সমাজসেবী শাবানা আজমি গত ২১শে মে লুধিয়ানায় পিটিআইয়ের প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন যে, তিন-তালাক অমানবিক। এমনকি কোরাণে এর উল্লেখ নেই। এতে মেয়েদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। তিনি দাবী করেন সরকারের উচিত তিন-তালাক নিয়ম তুলে দেওয়া। এ বিষয়ে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না।

দেশপ্রেমিকের প্রতি

ব্রিটিশি-বিরোধী সেন্টিমেন্টের ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীতে যখন প্রথম ভারতীয় নেশন গড়ে উঠল, ভারতবর্ষের নেতাদের উচিত ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রাম না করে অর্থনৈতিক সংগ্রাম করা। অর্থনৈতিক সংগ্রামে হিন্দু-মসলমান-পাঞ্জাবী-মারাঠি ভেদ না থাকায় সকল ভারতবাসীই একযোগে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারত ও সেই সংগ্রামের ফলে সারা ভারতবর্ষে দেখা দিত একটা শোষণ বিরোধী সেন্টিমেন্ট। সেই সেন্টিমেন্ট ভারতবাসীকে নেশন হিসাবে আরও মজবুত করে গড়ে তুলতে পারত। সংগ্রাম রাজনৈতিক স্বাধীনতায় না হওয়ায় ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে হিন্দুদের প্রজা হিসেবে আমাদের থাকতে হবে---মুসলমানদের মনে এরূপ হিন্দু-আতঙ্ক বা হিন্দু-ফোবিয়া উৎপন্ন হবার কোনো সুযোগ