June 2017

পুঞ্জীভূত সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখে বলছেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবার উন্নয়নই তাঁর তথা তাঁর পার্টির লক্ষ্য। এই শ্লোগান দিয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। জনগণ তাঁর কথার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ছিল জনগণ সেই অতীতের ঘটনাকে আমল দেননি।

আর নয় দেশের জনগণ এবার আরো সজাগও সচেতন হোক

প্রভাত খাঁ

১৯০৫ সালে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ (স্যারেন্ডার নট) এর মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ নেতারা স্বদেশী আন্দোলন করে ও সঙ্গে সঙ্গে অরবিন্দ-বারিন্দ্র-ক্ষুদিরাম-প্রফুল্ল চাকীরা সহিংস আন্দোলন সংঘটিত করে ব্রিটিশের বাংলাভাগের চক্রান্তকে রুখে দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট আমরা যে স্বাধীনতা পেলুম সেটা যে কতখানি অভিশপ্ত সেটা বোঝার মতো কি একটাও নেতা ছিল না। চিরকালের মতো আমাদের অখন্ড বাংলা ভাগ হলো। আর লক্ষ লক্ষ বাঙালী হিন্দু ভাই বোন উদ্বাস্তু হয়ে এদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আজও অনেকেরই বরাত ফেরেনি। দীনহীন হয়ে ভাগ্যের বিড়ম্বনা সহ্য করতে হচ্ছে। একে কি স্বাধীনতা বলে?

আনন্দনগরে ত্রি-দিবস ব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তন

আনন্দনগরঃ আনন্দনগরে ত্রি-দিবসব্যাপী ধর্মমহাসম্মেলন শুরু হয় গত ২৬শে মে। তার আগের দিন বিকেল ৩টে থেকে আনন্দনগরে কীর্ত্তনমঞ্চে শুরু হয় ৩দিন ব্যাপী অখন্ড 'বাবা নাম কেবলম'  কীর্ত্তন। এই কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য পরিতোষানন্দ অবধূত, আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত প্রমুখ।

৩দিন অবিরাম কীর্ত্তনের সুরে গোটা আনন্দনগর মুখরিত হতে থাকে। পাশাপাশি হরিপরিমন্ডল গোষ্ঠীর উদ্যোগে পুরো তিন দিন নারায়ণ সেবাও চালু রাখা হয়।

ফোটো রে মন ফোটো

বিভাংশু মাইতি

 

 ফোটো রে মন ফোটো
অনুধ্যানে সেই চরণে
কমল হয়ে ফোটো।

অনুরাগে সিক্ত কর
শতদলের দলগুলি
কোরকে দাও ঢেলে দাও
ভালবাসার অঞ্জলি।

গ্রীষ্মের দহন দাহে
সেই চরণ চিতচন্দন
বরষার বজ্রপাতে
সে যে দেয় অভয় শরণ।

শরতের স্নিগ্দাকাশে
সে যে মোর বিভা বিধুর
হেমন্তে হিমেল রাতে
অনুপম পরাণ বধু।

সৃষ্টি করে বিশ্বটাকে

সাক্ষী গোপাল দেব

সৃষ্টি করে বিশ্বটাকে
রইলে সবার অলখে
সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়খেলা
করছ তুমি পলকে।।


সাজিয়ে দিলে আলোক মেলায়
মাতছো কত রঙের খেলায়
করছো লীলা সবার সাথে
উঠছো চিতে ঝলকে।।


তোমার লীলায় তুমি হারা
নেইকো কিছুই তুমি ছাড়া
সৃষ্টি থেকেই খুঁজছো তুমি
সৃষ্টি ছাড়া তোমাকে।।

সংযমের ফলে রিপু সমঝে চলে

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে ভাই,
ছয় রিপুকে বশে রাখার উপায় জানা চাই।


চেষ্টার মূলে অমূল্য ধন মন তো সবার আছে,
সৎভাবনা সৎচিন্তা রাখা চাই তার কাছে।


সুস্থ শরীর ব্যস্ত করে কাম ক্রোধ আর লোভে,
মদ-মোহ-মাৎসর্যও এরাও সাথে শোভে।


কোন ভাবের কোন রিপুর ধবংস করা নয়,
সংযমেতে ষড়রিপু স্বাস্থ্যের সহায় হয়।


ধ্যান-আসন-প্রাণায়াম আর সাত্ত্বিক খাদ্যে,
সব রিপুর নুইয়ে মাথা মনই পারে বাঁধতে।

ভারতীয় ক্রিকেটের মর্যাদাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে কোচ ক্যাপ্তেন বিবাদকে সামনে টেনে আনতে চান না গাভাসকার

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও কোচের মধ্যে বিবাদ নিয়ে মিডিয়াগুলো খুব মুখরোচক কথাবার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। আসলে কিছু সংবাদপত্র এ ধরণের খবর করতেই বেশী আগ্রহী। ভারতীয় ক্রিকেট কেমন পারফরম্যান্স করছে, কোথায় আরও উন্নতি দরকার সেসব চুলচেরা বিশ্লেষণ না করে খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার বাইরে কার কী সম্পর্ক---এসব প্রচার করতেই বেশী আগ্রহী---কথাগুলো বললেন প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকার। অনিল কুম্বলে ও বিরাটের মধ্যে প্রচার হওয়া ঝামেলা নিয়ে তিনি বলেছেন---আদৌ বিরাট কুম্বলের মধ্যে কোনও বিবাদ আছে কি না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। অধিনায়ক বা কোচ সকলেই দলের ভালর জন্যে পরিকল্পনা করেন, পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করেন। তবে একটা

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত শেষ চারে থাকবে

ইংল্যাণ্ডে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে শেষ চারে দেখা অবাক হওয়ার মত ঘটনা হবে না---বলে মনে করেন অনেকেই। যেমন সাঙ্গাকারা, গাভাসকার, গ্লেন ম্যাকগ্রাথ কিংবদন্তী এই অসি পেসার মনে করেন ইংল্যাণ্ডের আবহাওয়ায় ভারতীয় পেসাররা ভাল বল করবে। ম্যাকগ্রা মনে করেন---পেস এ্যাটাকে ভারত এখন বেশ সাবলীল। ভারতের উমেশ যাদব, জসপ্রীত বুমরা, ভূবনেশ্বর কুমার ও মহম্মদ শামি---এই চারজনই ভাল বল করছেন। উইকেট তুলে নিচ্ছেন শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের। পাশাপাশি এই জোরে বোলাররাই অন্যান্য দল থেকে ভারতকে আলাদা করে দেবে।

আত্মোপলব্ধি

গড়পড়তা বৌদ্ধিক মাপের একজন মানুষের কাছে জল ও বরফ দু’টি পৃথক সত্তা কিন্তু যারা সত্য সম্পর্কে অল্পকিছু জানে তারা বোঝে জলের ঘনীভূত রূপই বরফ৷ একইভাবে সাধারণ মানের মানুষ যখন একটা পাত্র ও কুম্ভকারের (যে পাত্রটি তৈরী করেছে) মধ্যে একটা বিরাট পার্থক্য দেখে

পরিবেশ দিবসের ভাবনা

আমাদের চারপাশের জলবায়ু, গাছপালা, মাটি, অন্যান্য প্রাণী, মানুষ, জৈব ও অজৈব সমস্ত কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ৷ পৃথিবীর পরিবেশ জীব বিকাশের পক্ষে অনুকূল বলেই এই পৃথিবীতে মানুষের বাস৷ অথচ সৌরজগতের আর কোথাও বা বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও এখন মানুষ জীবের সন্ধান পাচ্ছে না৷ হয়তো বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও না কোথাও জীব আছে৷ হয়তো, দূরবর্তী কোনো নক্ষত্রের সংসারে৷ যেমন এ সূর্যের সংসারে পৃথিবী--- এমনি কোনো পৃথিবী আছে সেখানে হয়তো মানুষ আছে, কিন্তু এখনো আমাদের বিজ্ঞানীদের জানার বাহিরে৷ তাই এখন আমরা বলতে পারি, এ সুবিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে একমাত্র পৃথিবীর পরিবেশ মনুষ্য বসবাসপোযোগী৷ এর বাইরে মানুষের বাঁচবার বেড়ে ওঠবার ক