June 2017

‘বিশ্ব যোগ দিবস’ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ যোগ মানব সমাজের সুদৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

যোগ মানব সমাজের সুদৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর৷ অনেকেই এই কথাটি শুণে হাসবেন৷ পাণ্ডিত্যের অহংকারে মত্ত হয়ে এই কথাটির মূল্যায়নের কোনো প্রয়াসই করবেন না৷ তাদেরও বলি, দয়া করে ধৈর্য্য ধরে এই বক্তব্যটির অন্তর্নিহিত অর্থ উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন৷ কেন এতবড় কথা বেশ জোরের সঙ্গে বলছি, তাই আমি সংক্ষেপে ব্যক্ত করছি৷

‘সমাজ’ শব্দের তাৎপর্য হচ্ছে সবাইকে নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে চলা৷  কবির ভাষার --- ‘সকলের তরে সকলে আমরা,/প্রত্যেকে মোর পরের তরে’৷

যম নিয়ম---যোগের প্রথম পাঠ

বিভাংশু মাইতি

সাম্প্রতিক কালে ‘যোগে’র প্রতি মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে৷ গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর সর্বত্র৷ আনন্দের কথা৷ তবে একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায় যোগের নিখাদ মর্মকথা এখনও আমরা ঠিকবাবে আত্মস্থ করে উঠতে পারিনি৷ যোগ বলতে আমরা সাধারণতঃ এখন যা বুঝি তা কিন্তু কিছু আসন-প্রাণায়াম বা শারীরিক ব্যায়ামেই সীমাবদ্ধ৷ এমন কি কেউ কেউ এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে তো কেবল প্রকাম্পিত কপালভাতি ও কুঞ্চিত নাসিকা প্রক্ষালনেই নামিয়ে এনেছেন৷

দাবানলে মৃত্যু ৬২ জনের

বিশালাকায় দানবের মত চতুর্দিক থেকে এগিয়ে আসছে দাবানল---জঙ্গলের আগুন৷ ইয়ূরোপের পর্তুগালের ঘটনা৷ বনে কিভাবে যেন আগুন লেগেছে আর সেই আগুন গ্রাস করতে এগিয়ে আসছে জঙ্গল সংলগ্ণ জনপদকে৷ অনেকে গাড়ীতে করে পালানোর চেষ্টা করছিলেন কিন্তু আগুন গাড়ীগুলোকে গ্রাস করেছে৷ অগ্ণিদগ্দ হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরোহীদের৷ এখন পর্য ৬২ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে ৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে বিবাহানুষ্ঠান

মেদিনীপুর ঃ গত ১০ই জুন সবং-এর রাখিল্লা গ্রামে আনন্দমার্গীয় সমাজ শাস্ত্রানুসারে এক বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান হয়৷ এই বিবাহে পাত্রী ছিলেন এই গ্রামের শ্রী শিবরাম রায়  ও শ্রীমতি রীনা রায়-এর-কন্যা কল্যাণীয়া পিঙ্কি রায়৷ আর পাত্র হলেন কলকাতার গড়িয়া নিবাসী শ্রী অংশুমান চৌধুরী  ও শ্রীমতী লক্ষ্মী চৌধুরীর পুত্র রামকৃষ্ণ চৌধুরী৷ পণপ্রথাসহ সমস্ত কুসংস্কারমুক্ত এই বিবাহানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য দেবাত্মানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷

আনন্দমার্গের তত্ত্বসভা 

গত ১৮ই জুন হুগলি জেলার উত্তরপাড়াতে অধ্যাপক শুভমানস ঘোষের বাড়ীতে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের  স্থানীয় শাখার পক্ষ থেকে  কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা ও তত্ত্বসভার  আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানের  শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত  পরিবেশন  ও কীর্ত্তন  পরিচালনা করেন অবধূতিকা  আনন্দ নিরুক্তা, অবধূতিকা আনন্দ বিষ্ণুপ্রিয়া আচার্যা, শুভদীপ হাজারী প্রমুখ৷ কীর্ত্তনের পর মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর প্রবচন পাঠ করে শোনান আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ এরপর মার্গগুরু শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর কথা ও তাঁর আদর্শের ওপর আলোকপাত করেন অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা, আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত ও আচার্য সত্যশিবানন

এইচ.আই.ভি  আক্রান্তদের অনুষ্ঠান

গত ১৭ই জুন কলকাতা নেটওয়ার্ক HIV +সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসে মাদার টেরেজা সেবা কেন্দ্রে  (শিয়ালদাহ) সারাদিন ব্যাপী  অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হয়৷ শতাধিক HIV আক্রান্ত শিশু-কিশোর কিশোরীদের নৃত্য, গীত , কবিতা পরিবেশনায় ‘প্রেক্ষাগৃহ’ মুখরিত হয়ে ওঠে৷

মানবজীবন আদর্শের প্রবাহ

শিবরাম চক্রবত্তী

মানুষের জীবন হলে

আদর্শের এক প্রবাহ

সেই প্রবাহের দিব্যলোকে

মনের দূষণ করে দাহ৷

ভাবাদর্শের প্রণিপাতে

জীবনের যা চাওয়া

অস্তি ভাতি আনন্দেতে

সফলকামী হওয়া৷

অশুভ শক্তির বাধা এলে

শুভশক্তির দ্বারা

পূর্ণোদ্যমে লড়াই করে

তারে দমন করা৷

জীবনযুদ্ধে পরমপুরুষকে

লক্ষ্যবিন্দু করবে

সব অশুভ যাবে হটে

জীবন সফল হবে৷

কুম্বলে সরলেন না তাঁকে সরতে বাধ্য করা হ’ল

চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফিতে ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর ভারতীয় ক্রিকেট শিবিরে অশান্তির কথা ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যত দিন যাচ্ছে নানা মহল থেকে নানারকম খবর শোণা যাচ্ছে৷ তবে খবর যাইহোক না কেন, এটা সত্যি যে দলের ক্যাপ্ঢেন ও কোচের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল তাতে ড্রেসিংরুমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ছিলই৷ হয়তো বা খেলোয়াড়দের পারফরমেন্সেও তার ছাপ পড়েছে৷ ফলস্বরূপ পাকিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়নস্ ট্রফিতে ভারতের হার---এই ভারতীয় দলই লীগ ম্যাচে পাকিস্তানকে এমনভাবে হারিয়েছিল যাতে বোঝা গিয়েছিল যে ভারত ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব বিভাগেই পাকিস্তানের থেকে অনেক অনেক এগিয়ে, অনেক ব্যালান্সড্৷

ওয়েস্ট ইণ্ডিজ দলের সমস্যা মিটছেই না

একসময় সারা বিশ্বক্রিকেটে যে দল অপ্রতিরোধ্য ছিল, দলে ছিল দক্ষ ক্রিকেটার, নিজেদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া আর সর্বোপরি বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সুসম্পর্ক৷ সেই ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ দলটির সেরা খেলোয়াড়রা বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতের জেরে টেষ্ট বা একদিনের ম্যাচে খেলতেই পারছেন না৷ দলেই জায়গা হচ্ছে না তাদের৷ ২০১৪ সালে ভারত সফরের মাঝপথেই ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে যান বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতের জেরে৷ বেতন ও ভাতা নিয়ে এই সমস্যা এখনও মেটেনি৷ ওয়েষ্ট ইণ্ডিজের সি ডব্লু আই ক্রিকেটার নির্বাচিত করে জাতীয় দল তৈরী করে৷ সি ডব্লু আইয়ের হর্তাকর্তারা নিয়ম করেছেন যে, যে সব খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনও নির্দিষ্ট সংস্করণে খেলবে না

টেনিসেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে চান পাওলো মালদিনি

ইতালির কিংবদন্তী ফুটবল তারকা পাওলো মালদিনি এখন চুটিয়ে টেনিস খেলছেন৷ ২০০৬ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর মালদিনি টেনিস খেলতে শুরু করেন৷ বুন্ধু তথা কোচ হিসেবে পান স্টেফানো লান্দোনিয়কে৷ তিনিই এখন মালদিনির ডাবলসের সঙ্গী৷ আগামী ২৯ জুন মিলানে অ্যাসপিরা টেনিস কাপে লান্দোনিয়-মালদিনি জুটি মাঠে নামবেন৷ এই টুর্ণামেণ্টে বিশ্বের খ্যাতনামা খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছেন৷ ইতালির ডিফেণ্ডার তথা এ সি মিলানের ঘরের ছেলে ৪৮ বছর বয়সী মালদিনি টেনিসে কেমন সাফল্য পান তা নিয়ে এখন ক্রীড়ামহলে যথেষ্ট উৎসাহ৷