December 2017

আত্মোপলব্ধি ও মানবতার সেবা

‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’, এটি একজন সাধকের জীবনের আদর্শ হওয়া উচিত৷ মানুষের কাজ করা উচিত, আর কাজ করার সময়ে মনে রাখা দরকার, সে যা কিছুই করছে তা আত্মমোক্ষের জন্যে৷

বাঙলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন

বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী হঠাৎ জেগে ওঠা, নোতুন একটা বাউন্ডারী পাওয়া রাষ্ট্রকেন্দ্রিক জনগোষ্ঠী নয়৷ এর রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাঙ্গাগড়া অনেকবার হয়েছে, কিন্তু জনগোষ্ঠীটা অনেকদিনের৷ বর্তমান বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠীর বয়স তিন হাজার বছরের চেয়ে বেশী৷

স্বাস্থ্য ও কৌশিকী নৃত্য

মানুষের অস্তিত্ব ত্রি–স্তরীয় অর্থাৎ এর তিনটে স্তর ত্রব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ্প রয়েছে– শারীরিক (Physical), মানসিক (Mental) ও আধ্যাত্মিক (Spiritual)৷ এই যে তিনটে স্তর এদের কোনটিকেই অবজ্ঞা করা যায় না৷ শারীরিক স্তরের চেয়ে মানসিক স্তরের মহত্ত্ব অধিক, কিন্তু তাই বলে শারীরিক স্তরটাকেও (Physical stratum)  উপেক্ষা করা যায় না৷ ঠিক তেমনি মানসিক স্তর (Psychic stratum)  অপেক্ষা আধ্যাত্মিক স্তরের (Spiritual stratum) গুরুত্ব বেশী কিন্তু মানসিক স্তরটাও (Physical stratum)  অবহেলার জিনিস নয়৷ তাই তারও চর্চা আবশ্যক৷ তেমনি যারা আধ্যাত্মিক চর্চা করে না, কেবল শরীর ও মনেরই চর্চা করে তারা দেখতে মানুষের মত হলেও তাদের মানস

বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র

বর্তমান ঝাড়খন্ডের  অধিকাংশটাই  বৃহত্তর বাঙলার অংশ৷ অর্থাৎ বাঙালীরাই ওখানকার আদি বাসিন্দা৷ বিশেষ করে  ধানবাদ জেলা, হাজারিবাগ জেলার কসমার  পেটারওয়াড়, গোলা , জেরিড়ি, রামগড় প্রভৃতি এলাকা, প্রাক্তন সাঁওতাল পরগণা ও প্রাক্তন সিংভূম জেলা,  রাঁচী জেলার সিল্লি, সোনাহাতু , বুন্দু, তামার প্রভৃতি এলাকা পুরোপুরি  বাঙালী অধ্যুষিত এলাকা৷ স্বাধীনতার আগে ওই স্থানগুলিতে সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী কাজ বাংলা ভাষায় চলতো৷ স্কুল কলেজে বাংলাভাষায় পঠন-পাঠনও চলত৷  এই এলাকাগুলি একসময় বাঙলা সুবারই  অর্ন্তভুক্ত ছিল৷ পরে  এই এলাকাগুলিকে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে বিহারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়৷ তখনও এখানকার বাংলা স্কুলগুল

বিমল গুরুং ও রোশন গিরি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা থেকে বহিষ্কৃত

গত ২০শে নভেম্বর দার্জিলিংয়ের ঘুমে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির ১ দিনের  বৈঠকে বিমল গুরুং , আশা গুরুং ও রোশন  গিরি সহ  ১৪ জনকে ৬ মাসের জন্যে সাসপেণ্ড করা হ’ল৷ আর, মোর্চার নূতন সভাপতি নির্র্বচিত হলেন বিনয় তামাং, আর সাধারণ সম্পাদক  নির্র্বচিত হলেন অনীত থাপার৷ সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া বিমল গুরুং, রোশন গিরি প্রমুখকে সাসপেশসন  করা হয়েছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে৷ গত ৬ মাস ধরে তাঁরা পাহাড়ে অনুপস্থিত, কেউ কেউ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ৷

বাঙালী বিদ্বৎ সমাজের উদ্যোগে অসম, মণিপুর, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালী নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতায় আলোচনাসভা

গত ১৯শে নভেম্বর,রবিবার, কলকাতার মৌলালী যুবকেন্দ্রের কনফারেন্স হলে বাঙালী বিদ্বৎ সমাজের পক্ষ থেকে বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি,  বাঙালীর জাতিসত্তা রক্ষার্থে ও অসম সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালীদের নাগরিকত্ব নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷

দেশকে বাঁচাতে আজ নোতুন নেতা ও নোতুন আদর্শের  বড়ই প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে সারা পৃথিবী হয়ে পড়েছে একটি বিরাট পরিবার বিশেষ৷ এর মূল কারণ হল ভৌতবিজ্ঞানের অগ্রগতি৷  আজ আর কোনকিছুই পৃথিবীর মানুষের অজানা নয়৷  কিন্তু অতীব দুঃখ ও মর্মবেদনার কথা হল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র---এই ভারতবর্ষকে কিছু স্বার্থান্বেষী কুচক্রী জঘন্য সাম্প্রদায়িকতার  ভিত্তিতে ভাগ করে এর অগ্রগতিকে  চিরকালের মতো ধবংস করে দিয়ে গেছে৷  এই বিরাট এলাকা আজ  নানা সমস্যায় জর্র্জরিত৷  আমাদের বাস সেই খণ্ডিত  ভারত যুক্তরাষ্ট্রে৷  এখানে বহু ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করেন৷ দীর্ঘ ৭০ বছর হলো নামেই স্বাধীন হয়েছে এদেশ৷  কিন্তু এই হতভাগ্য দেশে অদ্যাবধি তেমন কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি তো হয়নি বরং

প্রাউটের সমাজ আন্দোলন

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

জীবন-পথে কঠিন ব্রতে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 মানুষ পৃথিবীতে আসে সীমিত সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে ৷  শুধুমাত্র ভোজন , শয়ন , পর্যটনের মাধ্যমে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যাওয়া  মানব জীবনের লক্ষ্য নয়, কারণ এই কর্মগুলিতো জীব-জন্তুরাও করে থাকে৷  তাহলে মানুষ আর জীব-জন্তুর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?  মানুষ ঈশ্বরের সর্র্বেত্তম সৃষ্টি, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হয় তার মান ও হুঁশের প্রয়োগে৷ মানুষের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধি, বিবেক ও বিচারশীলতা আর  এইসকল গুণের প্রেরণায় ও প্রয়োগে জীবনকে পরিচালিত করাই মানুষের কর্ত্তব্য ৷ এর  জন্য চাই  কঠোর ও নিবিড় অনুশীলন, আত্যন্তিকী  নিষ্ঠা৷ মানুষ যখন প্রথম ভূমিষ্ঠ হয়ে  মাতৃক্রোড়ে লালিত-পালিত হয় তখন মাতৃস