দধীচি দিবসের তাৎপর্য
১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চের ঘটনা৷ ওই দিন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রধান কেন্দ্র আনন্দনগরের ওপর কম্যুনিষ্ট গুণ্ডারা আক্রমণ চালিয়ে ৫ জন সন্ন্যাসীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল৷
- Read more about দধীচি দিবসের তাৎপর্য
- Log in to post comments
১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চের ঘটনা৷ ওই দিন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রধান কেন্দ্র আনন্দনগরের ওপর কম্যুনিষ্ট গুণ্ডারা আক্রমণ চালিয়ে ৫ জন সন্ন্যাসীকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল৷
বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷
কর্ষক
এমনিতে যাঁরা চাষবাস নিয়ে থাকেন তাঁদের জন্যে সংস্কৃত ভাষায় বেশি প্রচলিত শব্দ দু’টি রয়েছে–কৃষীবল ও কর্ষক৷ ‘কর্ষক’ শব্দটি কৃষ ধাতু থেকে উৎপন্ন৷ যাঁরা এই কর্ষককে ‘কৃষক’ বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা না জেনেই এই ভুল করেছেন৷ আর যাঁরা আজও ‘কৃষক’ লেখেন তাঁরা ভুলকে ভুল না জেনেই লেখেন৷ আমরা ‘আকর্ষক’ ‘বিকর্ষক’ বলবার সময় ঠিক বলি কিন্তু কেন বুঝি না ‘কর্ষক’ বলবার সময় ভুল করে কৃষক বলে ফেলি৷
সর্জন
সর্দিগর্মীর ঔষধ (হ’ল) চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেক্ষু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে) অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢেলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেক্ষুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়া প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা বেলের শরবৎ, আমপোড়ার শরব
টনসিলের ব্যাধিতে মধু
টনসিলের ব্যাধিতের মধু উপকারী৷ মিষ্টি আপেলের রসের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বারে বারে (৪/৫ বার) সেবন করলে টনসিলের ব্যথা হ্রাস পায় আর তার স্ফীত আকারও কমে ছোট হয়ে আসে৷
পেট গরম হলে, মল পরিষ্কার না হলে অনেক সময় মুখে জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়৷ মধু খেলে শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে আর মুখের ঘা ঠিক হয়ে যায়৷
কৌশিতকী ছিলেন মহর্ষি অগসেত্যর পত্নী৷ মহর্ষি অগস্ত্য তাঁর জীবন কাটিয়ে দিয়েছিলেন আদর্শের প্রচারে, মানবিকতার সম্প্রসারণে৷ তাঁকে এই কাজে প্রতি পলে বিপলে সাহায্য করে থাকতেন তাঁর স্ত্রী কৌশিতকী৷ কৌশিতকী ছিলেন অত্যন্ত বিদুষী মহিলা ও ব্যাপক মানব হৃদয়ের অধিকারিণী৷ কখনও অগস্ত্য তাঁকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাতেন, কখনও বা তিনিও নব নব ভাব–তত্ত্ব উদ্ভাবনের দ্বারা মহর্ষি অগস্ত্যকে নির্দেশনা দিতেন৷ এই ভাবে উভয়ে মিলেমিশে কাজ করে গেছলেন মানব জীবনে দেবত্ব ভাবের উত্তরণের জন্যে৷
সূর্যোদয় হওয়ার আগে উঠবো আমি জেগে
যোগ সাধনা যোগাসন করবো সবার আগে৷
গুরুজনের আদেশ মেনে করবো সকল কাজ
বাধা বিপদ তুচ্ছ করে সফল করবো আজ৷
ভাই বোনেদের খুশী করে সবায় ভালবেসে
সবার দুঃখ দূর করবো সবাই মিলে মিশে৷
ভাল কথা ভাল কাজ ভাল খেলা যত
শিক্ষা, দীক্ষা, পড়া, শোণা, করবো যতন মত৷
সত্য কথায় সত্য পথে সদাই আমি চলবো
লোভ মোহ বশ করে সবায় সুযোগ দেবো৷
ধরাধামে বিশয়–আশয় আছে যত জেনে
সবই মিলে ভাগ করে নেবো উচিত মেনে৷
সারা বিশ্বের
সঞ্চয়–উপসঞ্চয়,
ভরা আছে
তোমারই দানে
কেন বুঝেও বোঝেনা
সকল অবুঝ মন.....
গ্রাসিতে চায় সকলি৷
সকল পেয়ে–মেটেনা তৃষা,
চাই আরও চাই......
ক্ষণিক জীবনে–
অন্তহীন চাওয়া৷
যারা অমানুষ–
চায়না তোমায়,
শুধু চায়–
তোমার সম্পদকে৷
আর যারা আছে–
তুমি আছ জেনেও,
কত অসহায়৷
আমরা তোমারই চরণে–
শরণ নিয়েছি পরম আশ্বাসে৷
উড়ছে ঘুড়ি নানা রঙের
দেখতে লাগছে ভাল
কোনটা কাছে কোনটা দূরে
দিচ্ছে মনে আলো৷
কাগজে বোনা ঘুড়ি ও যে
সূতাটি বাঁধা লাটাইতে
যেমন সূতা ছাড়া হবে
ততটাই দূরে সরবে৷
আমরাও সবাই ঘুড়ি
ভাবছি উড়ছি আপন মর্জিতে
আসলে তা মিছে ভাবা
বাঁধা রয়েছি বিশ্ববিধাতার ইচ্ছেতে৷
হালুম হালুম আসছে তেড়ে
কাঁপছে ভয়ে বাচ্চা ধেড়ে৷
সন্ধ্যে হলেই দুয়ার এঁটে
সবাই ঢোকে লেপের পেটে৷
জবুথবু-জড়সড়
কেঁপে কেঁপে, মর মর৷
হিংস্র অতি সুতরাং সে
কামড় দেবে হাড় মাংসে৷
ভাবছো বুঝি বনের বাঘ?
বাঘ নয়কো শীতের বাঘ৷