March 2018

সাড়ে চার ভাই

বিদুষকের কথা বলতে গিয়ে সেই চার ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেল৷ আর চার ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে সাড়ে চার ভাইয়ের কথাও মনের কোণে ভাসছে৷ সেকালে ভারতের কোন একটি তীর্থে আমাদের পারিবারিক পাণ্ডা যাঁরা ছিলেন তাঁদের পারিবারিক পরিচয় ছিল শালগ্রাম ভাণ্ডারী পাণ্ডা সাড়ে  চার ভাই৷ আমি তখন ছোট৷ ভাণ্ডারী পাণ্ডাকে অর্থাৎ বড় ভাইটিকে শুধোলুম–আচ্ছা, আপনারা সাড়ে চার ভাই কেন? আমি তো দেখছি আপনারা পাঁচ ভাই৷

পাণ্ডাজী একগাল হেসে বললেন–‘‘এই দেখ না খোকাবাবু, আমি একজন ঃ এক আর মেজভাই একজন ঃ দুই আর সেজভাই একজন ঃ তিন আর ন’ভাই একজন ঃ চার আর ছোটভাই  আধজন ঃ সাড়ে চার৷’’

প্রপার নাউনের অনুবাদ

প্রপার নাউনের (proper noun) যেমন অনুবাদ করা অবিধেয় তেমনি তার উচ্চারণটাও যথাযথ রাখাই বিধেয়৷ দু’য়ের কোনোটাতেই সামান্যতম ব্যতিক্রম থাকা বাঞ্ছনীয় নয় অর্থাৎ প্রপার নাউনের উচ্চারণ ঠিকভাবে করতে হবে ও তার ব্যবহার কালে বা সম্ক্ষোধন কালে তার অনুবাদ করা চলবে না৷

আমার বন্ধু সর্দার হাজারা সিং বিলেত যাচ্ছিলেন৷ আমি ওকে বললুম, ‘‘ইংরেজীটা মোটামুটি শিখে নে৷ তোকে মিলটন, টেনিসন, শেক্সপীয়ার পড়বার দরকার নেই৷ তোর কাজ চালাক্ষার মত ইংরেজী শিখে নিলেই চলবে৷’’

সে বললে–‘‘আমি সেই রকমই শিখছি৷’’

কিছুদিন পরে সে আমাকে বললে–‘‘পরশু বিলেত যাচ্ছি৷’’

৫ই মার্চ দধীচি দিবসে নিপীড়িত মানবতার মুক্তির শপথ গ্রহণের আহ্বান

আনন্দনগর ঃ গত ৫ই মার্চ পুরুলিয়া জেলার আনন্দনগরে, যেখানে  ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ কম্যুনিষ্ট হার্মাদরা আনন্দমার্গেরProcession 5th March এই আশ্রমের ওপর আক্রমণ  করে’ ৫জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে হত্যা করেছিল, সেই আনন্দনগরে ‘দধীচি দিবস’ পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী, কর্মী ও অনুগামীরা সারাদিন উপবাসে থাকেন৷ সকাল ৯–টায় আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী–সন্ন্যাসিনী সহ সকলেই আনন্দনগরের ‘পাওয়ার হাউস’–এ অখণ্ড কীর্ত্তন

সৎসঙ্গেন ভবেন্মুক্তি

                ভগবান শংকরাচার্য বলেছিলেন–

                ‘‘ত্যজ দুর্জনসংসর্গং ভজ সাধু সমাগমম্৷

                কুরুপুণ্যম্ অহোরাত্রম্ স্মরনিত্যম্ অনিত্যতাম্৷৷’’

বাঙলার সমস্যা

(শিরোনামে লিখিত বিষয়ের ওপর প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর বিভিন্ন পুস্তকে যা বলেছেন, সেগুলিকে সংকলিত করে’ তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট আচার্য ত্র্যম্বকেশ্বরানন্দ অবধূত৷)

ভক্ষ্য–অভক্ষ্য

রসোন (রসুন)–Allium sativum ঃ

তোমরা রসুনের নাম শুনেছ নিশ্চয়৷ শব্দটি রসুন নয়–রসোন৷ রস  উন  ঞ্চ রসোন৷ তিক্ত, কটু, কষায়, লবণ, অম্ল, মধুর–এই ছয় রকমের খাদ্য রস আছে৷ রসোন তামসিক খাদ্য হলেও তাতে ছ’টি রসের মধ্যে পাঁচটি রস রয়েছে–নেই কেবল অম্ল রস৷ তাই অম্লরসের সঙ্গে রসোন মিশ্রিত হলে তাতে একাধারে ছ’টা রসই এসে যায় উন মানে কম, যাতে একটা রস কম তা রসোন৷ উত্তর ভারতে রসোনকে ‘লহসূন’ বলা হয়৷

ভাঙ্গা হ’ল লেনিনের মূর্ত্তি

 ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের ভরাডুবির পর, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সিপিএমের অপশাসনে ও অত্যাচারে যাদের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছিল, এখন সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে এখানে ওখানে৷

ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে সিপিএমের অফিস ভাঙচুর, অগ্ণিসংযোগ প্রভৃতি জনসাধারণের সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ৷ সেই ক্ষোভের প্রকাশে দেখা গেল, গত ২রা মার্চ বিলোনিয়ায় ও গত ৬ই মার্চ সাব্রুমে লেনিনের মূর্ত্তি ভাঙ্গা হয়েছে৷ বুলডেজার দিয়ে লেনিনের মূর্ত্তিকে মাটি থেকে উপড়ে দেবার ঘটনা ঘটেছে৷

রাজনৈতিক ধান্দাবাজদের জন্যই দেশের এই করুণ অবস্থা

প্রভাত খাঁ

পরিবর্তনশীল জগতের ধর্মই হচ্ছে থেমে না থেকে এগিয়ে চলা৷ এই যে চলা এটাকেই জগৎ বলে৷ তাই গত ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট যে পরিস্থিতি যে আনন্দ উৎসব দেখেছিলুম সেই আনন্দ উৎসব আজ কিন্তু চোখে পড়ে না৷ কেন এমন হ’ল তার খোঁজ করাটা অতি জরুরী৷ তাই এই প্রতিবেদন৷ সেদিন আমাদের মত আজকের বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা ছিল একেবারে কিশোর ও কিশোরী৷ মনে পড়ে সারা রাত ধরে কাগজের শিকলি তৈরী করে বড়দের সঙ্গে পরদিন সকাল বেলায় সারা পাড়াকে সাজিয়েছিলুম৷ পতাকা উত্তোলন করার পর পতাকা নিয়ে কয়েক মাইল ধূলো মাখা পায়ে হেঁটেছিলুম৷ শেষে মিষ্টান্ন পেয়ে খুশী হয়ে দুপুরে বাড়ী ফিরি বড়দের সঙ্গে৷ ইংরেজ চলে গেছে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাতে মনে কতটা যে আনন্দ তা প্রকা

প্রসঙ্গৎঃ ত্রিপুরা নির্বাচন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থেকে সিপিএম অজস্র খুন-জখম করে৷ বিরোধীদের ওপর চরম অত্যাচার চালিয়ে চতুর্দিকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভেবেছিল তাদের কোনওকালে কেউ ক্ষমতার আসন থেকে সরাতে পারবে না৷ কিন্তু নিয়তির বিধানে এক ঝটকায় তারা এখানে উৎখাত হয়ে গেল৷ এখানে এদের বহু অফিসে বাতি জ্বালানোরও কেউ নেই৷ ঠিক তেমনই ত্রিপুরাতেও ২৫ বছর ধরে সিপিএম বহু খুন-জখম, নারী নির্যাতন করেছে৷ উপজাতিদের তোষণ করে সংখ্যাগুরু বাঙালীদের জীবনকে দুর্বিষহ করেছে৷ ত্রিপুরায় সিপিএমের এই কুটনীতির জন্যে বাঙালীরা এখানে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হয়েছে৷ অহরহ অত্যাচারের শিকার হয়েছে৷ মদগর্বী সিপিএম নেতা কর্মীদের ধারণা ছিল এ রাজ্য

সে দীপশিখা জ্বলিছে অনির্বাণ

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মানবজাতির ইতিহাস পর্র্যলোচনা করে দেখা যায় যে সর্বদাই মনুষ্যসমাজে  শুভ ও অশুভ উভয় প্রকার শক্তি ক্রিয়াশীল থাকে আর  এই বিপরীতধর্মী শক্তির মধ্যে চলে নিরন্তর সংগ্রাম৷ মানবজাতির এই সুদীর্ঘ পথপরিক্রমায় অধিকাংশ  সময় অশুভশক্তির প্রাবল্য পরিলক্ষিত হলেও শুভশক্তির প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে বয়ে গেছে অন্তঃসলিলারূপে ৷ তা না হলে মনুষ্যনামক প্রাণী অন্যান্য বৃহদাকার অগণিত প্রাণীকুলের মতো পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ণ হয়ে যেত৷ তাই যখনই অশুভ শক্তির চরম আঘাতে মানব সমাজের অস্তিত্ব ধবংসের মুখোমুখি হয়েছে তখনই কোন এক মহান পুরুষের আবির্র্ভব ঘটেছে৷ সেই মহাসম্ভূতির নেতৃত্বে সকল শুভ শক্তির সম্মিলিত প্রয়াসে চন্ডশক্তি তথা পাপ