May 2018

রামচন্দ্রপুরে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮-তম জন্মোৎসব ও মার্গের নবনির্মিত স্কুল ভবনের উদ্বোধন

গত ১৫ি বৈশাখ (২৯শে এপ্রিল, ২০১৮) ভক্তিপূর্ণ পরিবেশে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮তম জন্মোৎসব ও রামচন্দ্রপুর (ঝাড়গ্রাম) আনন্দমার্গ স্কুলের নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠান মহা আড়ম্বরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়৷ ভোর ৪টে থেকে ৯টা পর্যন্ত  প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, মিলিত ধ্যান, গুরুপূজা ও বক্তব্যের পর শোভাযাত্রা সহ আনন্দমার্গের নবনির্মিত ভবনে গিয়ে এর দ্বারোদ্ঘাটন হয়৷ তারপর ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ধ্যান, গুরুপূজা, স্বাধ্যায়ের পর আনন্দমার্গের ধর্মদর্শন ও আদর্শ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ তারপর সহস্রাধিক ভক্তের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ বিকেলে আয়

হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লকে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ২২শে এপ্রিল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লকের চাঁদচকে স্থানীয় আনন্দমার্গের স্কুলে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রী নরহরি মণ্ডল কর্তৃক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সেমিনারের সূত্রপাত হয়৷ সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গ কী ও কেন এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন৷ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন শতাধিক আনন্দমার্গী ও অন্যান্য উৎসাহী মানুষ এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন৷ সেমিনার পরিচালনা করেন মহানন্দ সামন্ত, দীপ্তি বিশ্বাস, লক্ষ্মীকান্ত হাজরা প্রমুখ৷

আমতায় সেমিনার

গত ৭ এপ্রিল হাওড়া জেলার আমতার উদংয়ে আনন্দমার্গের ব্লকস্তরীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সেমিনারে ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু আনন্দমার্গের অনুগামী সহ ছাত্র-যুবা যাঁরা এখন আনন্দমার্গের সদস্য হননি তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন৷ সেমিনারে আনন্দমার্গের আদর্শের উপরে বিস্তৃত আলোচনা করেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন, সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাষ্ট্রনৈতিক ক্ষেত্রে বা শিক্ষা-সংসৃকতি ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে আজকে মানুষ লক্ষ্যহীন, আদর্শহীন হয়ে কেবলমাত্র ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে৷ এই অবস্থায় আনন্দমার্গ মানুষের জীবনের সর্বক্ষেত্রে লক্ষ্য ও কর্তব্য সম্পর্কে সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশনা দিয়ে চলেছে৷ যে পথে চললে

আনন্দ পূর্ণিমা উৎসব উঃ ২৪ পরগণায়

গত ২৯শে  অক্টোবর নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ জন্মতিথি উৎসব মহারোহে পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে সকাল ৯-৩০ থেকে ১২-৩০ পর্যন্ত অখন্ড কীর্ত্তন ও  তৎপরে মিলিত সাধনা, স্বাধ্যায় ও  বাণীপাঠ হয়৷  এই উপলক্ষ্যে বারাসাত  হাসপাতালে  রোগীদের মধ্যে  ফল, মিষ্টি ও পানীয় জলের বোতল  বিতরণ  করা হয়৷ এছাড়া, জনসাধারণের  মধ্যে প্রসাদ বিতরণের কর্মসূচীও ছিল৷ বিকেলে আনন্দমার্গীদের  এক শোভাযাত্রা বোরোয়৷ শোভাযাত্রার মাঝে বিভিন্ন স্থানে আনন্দমার্গের  আদর্শের  ওপর বক্তব্য রাখেন ভুক্তি প্রধান সন্তোষ বিশ্বাস, মোহন অধিকারী প্রমুখ৷

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে মার্গগুরুভবন ‘মধুপর্ণায়’ ৯৮তম জন্মদিন পালন

কৃষ্ণনগর, ঘূর্ণী ঃ গত ২৯শে এপ্রিল ঃ মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮তম জন্ম তিথি উদ্যাপিত হ’ল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি হালদারপাড়ার মার্গগুরুভবন ‘মধুপর্ণা’য়, প্রভাত সঙ্গীত, ‘বাবা নাম কেবলম’ কীর্ত্তনের পর তাঁর জন্মমূহুর্ত্ত সকাল ৬-০৭ মিনিটে ঊলুধবনি, শঙ্খধবনি ও জয়ধবনির মধ্য দিয়ে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ৯৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর আনন্দবাণী পাঠ হয় বাংলা ও ইংরেজীতে৷ প্রাতঃরাশের পরে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা, আভা দেব, অনুপ্রিয়া দেব, পূর্ণতা দেবের পরিচালনায় মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা না কেবলম্’ অখণ্

নদীয়ার ভাতজাংলা ব্লকে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮তম জন্মদিন পালন

নদীয়া, কৃষ্ণনগর ঃ ভাতজাংলা আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে মহাসমারোহে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮তম জন্মজয়ন্তী উদ্যাপিত হ’ল৷ প্রভাত সঙ্গীত, বাবা নাম কেবলম্ কীর্ত্তনের পর তাঁর জন্মমূহুর্ত্ত সকাল ৬-০৭ মিনিটে ঊলুধবনী, শঙ্খধবনি ও জয়ধবনির মধ্য দিয়ে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ ৯৮টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর ২০১৮ সালের আনন্দবাণী বাংলায় পাঠ করেন সুভাষ সরকার ও ইংরেজীতে প্রীতিকণা দত্ত৷ প্রাতরাশের পর আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের সামনে আনন্দমার্গের বহুমুখী কর্মযজ্ঞের ওপর আলোচনা করেন  শ্রী জয়দেব বিশ্বাস৷

পাঁশকুড়ায়  শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মোৎসব

গত ২৯শে এপ্রিল পাঁশকুড়া রঘুনাথ বাড়ি ইয়ূনিটে মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার তথা ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ৯৮ তম জন্মোৎসব পালন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে গরিব দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ ও দুঃস্থ ছাত্র- ছাত্রাদের খাতা, পেন্সিল দেওয়া হয়৷ এছাড়া অনুষ্ঠানশেষে প্রায় তিনশতাধিক ব্যষ্টিকে মধ্যাহ্ণভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

এছাড়াও পাঁশকুড়া সুরানানকার আনন্দমার্গস্কুল, মহৎপুর স্কুল, বাকুলদা ও কাঁথি আনন্দমার্গস্কুলে যথাচিতভাবে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মোৎসব পালন করা হয়৷

মহৎপুর আনন্দমার্গ স্কুলের সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ২১শে মার্চ পাঁশকুড়া মহৎপুর আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান  হয়৷ অনুষ্ঠানে স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রারা  আবৃত্তি, প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাতসঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্যানুষ্ঠান  পরিবেশন করে উপস্থিত সকলকে মুগ্দ করেন৷ উক্ত অনুষ্ঠানের  সভাপতিত্ব করেন আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত (ডায়োসিস সেক্রেটারী)৷ প্রধান অতিথি ছিলেন নন্দন কুমার মিশ্র (পাঁশকুড়া পৌরসভা চেয়্যারম্যান)৷ বিশেষ অতিথি কানাইলাল মন্ডল (প্রধান শিক্ষক,বাকুলদা উচ্চ বিদ্যালয়), চিত্তরঞ্জন দাস ঠাকুর ও রসিদা বিবি (পঞ্চায়েত প্রধান পাঁশকুড়া-১)৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন  মহৎপুর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষকমন

জিজ্ঞাসু

মানুষ মানুষকে ঠকাচ্ছে, দুর্বল বুদ্ধির  মানুষ ধূর্তবুদ্ধি দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে শোষিত হচ্ছে, কেউ কেউ  সেই কারণেই ঠকে  শিখছে, সচেতন হচ্ছে৷ আবার  এমনও মানুষ আছে যে বিশ্বাস করে এটা তার ভাগ্যে ছিল, ধূর্ত বুদ্ধি মানুষেরা ওই দুর্বলতার সুযোগ নেয়৷ প্রশ্ণ---কিসের কারণে একজন মানুষ ধূর্ত নিষ্ঠুর ও নৃশংস হয়ে  যায়?

ত্রিপুরায় আনন্দমার্গের সপ্তদশ দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মৃতিচারণা

কলকাতায় ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল তৎকালীন কম্যুনিষ্ট সরকারের পাশবিকতা ও নৃশংস অত্যাচারের শিকার আনন্দমার্গের ১৭ জন সন্ন্যাসীকে কলকাতাস্থিত বালিগঞ্জের বিজনসেতুতে রাজনৈতিক স্বার্থে নৃশংসভাবে খুন করে’ অগ্ণিদগ্দ করা হয়েছিল! এই বর্বরতার প্রতিবাদে গত ৩০শে এপ্রিল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা জেলায় আনন্দমার্গীদের একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়৷ কলেজটিলা থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি মোটর ষ্ট্যাণ্ড, পোষ্ট অফিস, আর.এম.এস. চৌমহনী হয়ে জ্যাকসন্ গেটে এসে পৌঁছায়৷ যাত্রাপথে বিভিন্ন স্থানে সিপিএমের নৃশংশ হত্যার প্রতিবাদে তথা ‘মানবতা বাঁচাও’ দাবী নিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রী গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল ও আরও অন্যানরা৷