মানুষ মানুষকে ঠকাচ্ছে, দুর্বল বুদ্ধির মানুষ ধূর্তবুদ্ধি দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে শোষিত হচ্ছে, কেউ কেউ সেই কারণেই ঠকে শিখছে, সচেতন হচ্ছে৷ আবার এমনও মানুষ আছে যে বিশ্বাস করে এটা তার ভাগ্যে ছিল, ধূর্ত বুদ্ধি মানুষেরা ওই দুর্বলতার সুযোগ নেয়৷ প্রশ্ণ---কিসের কারণে একজন মানুষ ধূর্ত নিষ্ঠুর ও নৃশংস হয়ে যায়? যে বাচ্চা জন্ম থেকেই মা বাবার স্নেহ যত্নে সুরক্ষা পায়না, জীবনের কোন মানে খঁুজে পায় না, চোখের সামনেই দেখছে সর্বনাশা ধূর্তবুদ্ধিরাই সমাজেরই হীরো, বুঝে নিচ্ছে এখানে বাঁচতে হলে হয় চাটুকার ইঁদুর হয়ে পায়ের তলায় থাকো অথবা সবাই কে কিনে নিয়ে সিংহ হয়ে থাকো৷ এমন পরিবেশ থেকেই জন্ম হয় ও বেড়ে ওঠে মানুষ নামে যে প্রাণীটি সে তখন আর সুস্থ থাকে না, হয় শয়তান, অসুর ধূর্তবুদ্ধি অসামাজিক, মদ্যপ, লম্পট৷
মূল অসুখটা কোথায়? মানুষের সমাজই তো তৈরী হয় নি৷ তাই তো একসাথে পথ চলার পরিবেশ নেই৷ হাজার রকমের ভয়, অসুখ, দারিদ্র্য তো আছেই ৷ তার থেকেও বড় কথা, শুধুমাত্র কি খাওয়ার জন্যে, আত্মরক্ষার জন্যে এত লড়াই কেন? কোন মানুষ বা কোন প্রাণীই সহজে মরে যেতে চায় না? সবাই বেঁচে থাকতে চায়৷
কিন্তু কিসের কারণে, কী উদ্দেশ্যে এই মানুষের বেঁচে থাকা---সেটা জানা নেই৷ এর ফল হ’ল ভয়ানক৷ এই অজ্ঞানতার জন্যে, সারা পৃথিবীর মানুষ লোভ, লালসা, রোগ, শোক বা অকারণে ধর্ম বা রাজনীতি বা জাতপাত বা ভাষা বা চামড়ার শাদা কালো নিয়ে ভাতৃঘাতী যুদ্ধে লিপ্ত, অসুখী, অসুস্থ,অশান্ত৷ বিজ্ঞানের এত গতি, এত সুবিধা পেয়েও মানুষ বাধ্য হয়ে নেশার দাস হয়ে অকালে ঝরে যাচ্ছে ৷ কারণ তাকে কেউ জানায়নি যে মানুষের জীবন অনন্ত সম্ভাবনা দিয়ে ভরা৷ কত কাজ করা বাকী, কত কিছু হওয়া বাকী! পৃথিবীটা একদিন একটা পরিবার হয়ে এক সাথে বেড়ে উঠবে৷ এই কথাটা বুঝে নেবার সময় এসে গেছে৷
- Log in to post comments