July 2018

শিবজায়া পার্বতী

এবার বলতে হয় পার্বতীর কথা৷ ‘পার্বতী’ শব্দটার মানে কী? কেউ হয়তো বলবেন ‘পর্বতস্য দুহিতা’, ‘পর্বতস্য কন্যা’ ইত্যর্থে পার্বতী (ষষ্ঠী তৎপুরুষ) অর্থাৎ পাহাড়ের মেয়ে৷ এখন প্রশ্ণ হচ্ছে, পঞ্চভূতাত্মক শরীরে কোন নারী কি পাহাড়ের মেয়ে হতে পারে? কোন নদীকে বরং পাহাড়ের মেয়ে বললেও বলতে পারি৷ কোন নারীকে পাহাড়ের মেয়ে বলতে পারি কি?

নোতুন পৃথিবী

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

নববর্ষের নোতুন আলো

নাশুক সবার মনের কালো

হিয়ার মাঝে প্রদীপ জ্বেলে

তন্দ্রা ভেঙ্গে জাগিয়ে দিলে৷

প্রাণের পরাগ ছড়িয়ে দিলে

স্বপ্ণলোকের সুর শোনালে

কে তুমি মোর মন রাঙালে?

বিশ্বদোলায় সবে দোলালে৷

মধুর পরশে হরষে মাতালে

আলোর পথের দিশা দেখালে

বললে সবে এগিয়ে চল

নোতুন পৃথিবী গড়ে তোল৷

 

নব্যমানবতাবাদ

গোবিন্দ সরকার

 বিধাতার  এক অমোঘ সৃষ্টি  ব্রহ্মাণ্ড ধরা,

জীবজন্তু  কীটপতঙ্গ অরণ্যাদিলতা,

অচল মরু  ঝর্র্ণ ধারা  মন্দাকিনী স্রোতা৷

বিস্ময়কর সৃষ্টি যে তাঁর মানুষ  হল সেরা৷

 প্রিয় সৃষ্টি মানুষে কেন লোভ  হিংসা দ্বেষ?

আগ্রাসনী স্বার্থযুদ্ধে ধবংস বিভীষিকা,

সুখ স্বস্তি মেলে কী কভু ? দেখে শুধু মরীচিকা৷

যাপন জীবন  হাহাকারময়  অনুশোচনীয় শেষ৷

 

সেরার অভিধা মানুষ  এবে মানবিক হও  দেখি,

প্রেম ভালবাসা সেবা কর্মে ধরাকে  করতো সুখী৷

তিমির রাত্রি অবসান  হোক ভরুক  প্রভাত দ্যুতি,

নব্যমানবতা ছড়িয়ে  পড়ে  শ্রষ্টা আনন্দমূর্ত্তি৷

জীবন মানে

শিবাশীষ সেনগুপ্ত

জীবন মানে হঠাৎ পাওয়া

জীবন মানে আশা

জীবন মানে তুমি আমি

জীবন ভালোবাসা৷

জীবন মানে সূর্য ওঠা

জীবন মানে ফুল

জীবন মানে অঙ্ক কষা

জীবন মানে ভুল

জীবন মানে ছুটির হাওয়া

জীবন মানে আজ

জীবন মানে ইঁদুর দৌড়

জীবন মানে কাজ৷

 জীবন মানে বাঁচার লড়াই

জীবনই রাজনীতি

জীবন মানে ছন্নছাড়া

জীবনই পরিস্থিতি

জীবন শত দুঃখ

জীবন মানে স্বপ্ণ দেখা

জীবন মানে সুখ

জীবন মানে আঘাত  পাওয়া

জীবন মনে একা

দানও নিলেন, দক্ষিণাও নিলেন

একটি প্রাচীন বাংলা গানে ‘কোদণ্ড’ শব্দটি কোদাল অর্থে ব্যবহৃত হয়েছিল৷ গানটি রচনা করেছিলেন সুবিখ্যাত পাঁচালী গায়ক দাশরথি রায়–সংক্ষেপে দাশু রায়৷ বাংলার এই জন্মসিদ্ধ প্রতিভা দাশু রায় কবিতায় কথা বলতে পারতেন......পারতেন গানেও কথা বলতে৷ সংস্কৃত শাস্ত্রেও ছিল তাঁর প্রচণ্ড দখল......আর প্রচণ্ড দখল ছিল যেমন বাংলায় তেমনি সংস্কৃতেও৷ তার সঙ্গে তিনি ছিলেন মজলিশী মেজাজের মানুষ৷ লোককে হাসাতে পারতেন দারুণ৷

মামার বাড়ির ময়না

চিরস্মিতা ভৌমিক

আমার মামার বাড়িতে একটা ময়না পাখি এনেছিল, তখন আমার বয়স পাঁচ বছর৷ যখন আমার সাগরদাদা পাখিটাকে বাড়িতে আনে তখন ময়না পাখিটা খুব ছোট ছিল৷ সে কিছু বলত না চুপ করে থাকত৷ দাদাভাই পাখিটার নাম দিল মিঠু৷ একমাস পরে আমার দাদাকে সাগর বলে আর আমাকে সোনাই বলে ডাকল৷ কয়েক মাস পরে যখন আমি মামার বাড়িতে যাই তখন মিঠুকে বারান্দায় একটা খাঁচায় দেখতে পাই৷ দেখা মাত্রই বলে উঠল, মনাগো দেখ সোনাই এসেছে৷ আমার দিদুকে মিঠু মনা বলে ডাকত৷ মিঠু লঙ্কা দিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করত৷ কিন্তু যেদিন রাগ করত সেদিন দিদুকে জোর করে তাকে ভাত বা কলা খাইয়ে দিতে হত কিন্তু ভুজিয়া পেলে সব রাগ গলে যেত৷ ভুজিয়া মিঠুর সব থেকে প্রিয় ছিল৷ তবু একদিন খাঁচার দর

বিশ্বকাপে বড় অঘটন জার্মানির বিদায়l  নক-আউটে গতি-শক্তি আর শিল্পের ঝলক দেখা যাবে

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ জ্বরে মজে থাকা ফুটবল প্রেমীরা ইতোমধ্যেই  বেশ কিছু অতুলনীয় ম্যাচ দেখে আপ্লুত হয়েছে৷  গ্রুপ লীগের খাদের কিনারা থেকে উঠে এসেছে আর্জেন্তিনা৷ ফ্রান্স, ব্রাজিলও সহজে দ্বিতীয় রাউণ্ডে যেতে পারেনি৷ আর সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া৷ শেষ ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে দিয়ে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে যাওয়ার টিকিট হাতে ধরিয়ে দিল৷ এশিয়ার দেশের এই পারফরম্যান্স আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে৷ তবে ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া, নাইজিরিয়া, জাপান ইত্যাদি দলগুলো৷ তথাকথিত অনামী দলগুলিই গ্রুপ লীগে ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছে৷ মোটামুটিভাবে বিশ্বকাপ জমে উঠেছে বলা যায়৷

বিশ্বকাপ স্টেজে সোনা জিতেছেন তিরন্দাজ দীপিকা কুমারী

মহিলাদের রিকার্ভ ইভেন্টে  গত সোমবার ২৫শে জুন  কিস্তিমাত করলেন এক ভারতীয় কন্যা নাম দীপিকা কুমারী৷ তিরন্দাজি বিশ্বকাপের তৃতীয় ষ্টেজে  নিজের পুরোনো হারিয়ে যাবার ফর্মে আবার ফিরে এলেন দীপিকা৷  ছ বছর পর  জার্র্মনির মিশেল ক্রোপেনকে  ৭-৩ এ হারিয়ে সোনা  তো জিতলোই  তার সাথে  ফাইনাল  পর্বের জন্য যোগ্যতাও অর্জন করেনিলেন৷

এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল রাউন্ড হবে  তুরস্কের  সামসুনে৷  এর আগে চার বার বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার তার অভিজ্ঞতা আছে ও তিনি প্রতিবারেই রূপো জিতেছেন সেগুলি হলো---২০১১,২০১২,২০১৩ ও ২০১৫৷

জিতে দীপিকা বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত হল, সোনা জিতে এটাই মনে হয়েছিল আমার প্রথম জিত৷’’

অন্ধবিশ্বাসের   বলি একই বাড়ীর ১১ জন

দিল্লির বুরারির সন্তনগরে  গত ৩০শে  জুন  একই পরিবারের ১০ জনের  ঝুলন্ত মৃতদেহ  পাওয়া যায়, আর ১ জন বৃদ্ধার  মৃতদেহ  পড়েছিল  পাশের ঘরে৷  সবার হাত-পা বাঁধা৷ একইভাবে বাদুড়ের  মত ঝুলছিল এতগুলি  মৃতদেহ৷ পরদিন  সকালে  পুলিশ  এই মৃতদেহগুলি উদ্ধার  করে৷  পুলিশী তদন্তে  মনে হয়েছে,  সবাই  স্বেচ্ছায়  আত্মহত্যাই করেছে৷