July 2018

আনন্দমার্গীয় প্রথায় গৃহপ্রবেশ

হুগলীজেলা ঃ গত ২৪শে জুন চাপাডাঙ্গার আনন্দমার্গ স্কুলে প্রবীণ শিক্ষক শ্রী রমেন চন্দের নোতুন নির্মিত গৃহে  আনন্দমার্গীয় প্রথায় গৃহপ্রবেশ  অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷ এরপর তিনঘন্টাব্যাপী  ‘বাবা নাম কেবলম’ অখন্ড নাম সংকীর্ত্তন হয়, কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনা ও স্বাধ্যায়ের পরে আনন্দমার্গের আর্দশ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত (ডি.এস. হুগলি)৷ সবশেষে প্রায় ২০০ জনকে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

ঝাড়গ্রামে ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখন্ড নাম সংকীর্ত্তন

গত ২৩ ও ২৪শে জুন ঝাড়গ্রামের গড়মোহন ইয়ূনিটে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তন  অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে উক্ত অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের আদর্শ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কল্পনাথানন্দ অবধূত ও নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানাশেষে প্রায় ২০০ জনকে নারায়ণসেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷ 

কেরানীতলায় তিন ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন

গত ২০শে জুন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার  কেরানীতলা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রবীণ শিক্ষক শ্রী  বিশ্বদেব মুখার্জীর বাড়িতে  তিন ঘন্টাব্যাপী অখন্ড নামকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পরে আনন্দমার্গ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন  আচার্য চিরাগতানন্দ অবধূত৷ উক্ত অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন কেরানীতলা আনন্দমার্গ স্কুলের প্রিন্সিপাল আচার্য  নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত৷ 

উত্তর দিনাজপুরের আনন্দমার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান

রাইগঞ্জ ঃ উত্তর দিনাজপুরের  কুশমন্ডী ব্লকে গত ১লা জুলাই  আনন্দমার্গের  সমাজশাস্ত্রানুসারে  একটি বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান হয়৷  এই বিবাহানুষ্ঠানে  পাত্র ছিলেন কুশমণ্ডী ব্লকের নিজ উত্তরপাড়া নিবাসী শ্রী জিতেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র ছত্রকুমার  সরকার৷  আর পাত্রী ছিলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের  ফতেপুর  গ্রাম  নিবাসী গোপাল চন্দ্র সরকারের কণিষ্ঠা কন্যা কল্যাণীয়া  চুক্তি  সরকার৷

এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য  রসবোধানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে  অবধূতিকা  আনন্দ অনিন্দিতা আচার্র্য৷

আনন্দমার্গীয় প্রথায় বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ২৯শে জুন নদীয়া জেলার হবিবপুরের শ্রীতারাপদ বিশ্বাসের পুত্র শ্রীমান সুকান্ত বিশ্বাস ও হাঁসখালি ব্লকের ভৈরবচন্দ্রপুর নিবাসী শ্রীলক্ষ্মণ বিশ্বাসের কন্যা কল্যাণীয়া লিপিকা বিশ্বাসের সঙ্গে শুভবিবাহ আনন্দমার্গের চর্যাচর্য অনুসারে সুসম্পন্ন হয়৷ এই শুভবিবাহে পাত্রপক্ষে পৌরোহিত্য করেন আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ বিভুকণা আচার্যা৷ বিবাহ আসরে প্রথমে প্রভাত সঙ্গীত, কীত্রর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পরে আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আচার্য সৌম্যশুভানন্দ অবধূত৷ সবশেষে সকলকে সাত্ত্বিক আহারে আপ্যায়িত করা হয়৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

পাঁশকুড়া ঃ গত ১২ই জুন শ্রীপার্থসারথী পাল ও শ্রীমতী কুন্তলা পালের কন্যার অন্নপ্রাশন ও নাম করণ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য গোবিন্দ দেব৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দ সুধাকল্পা আচার্যা৷ সবাই মিলে শিশুকন্যার নামকরণ করা হয় ‘তন্নিষ্ঠা’৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

পাঁশকুড়া ঃ এখানকার বরিষ্ঠ আনন্দমার্গী শ্রী মণিলাল মাইতির ধর্মপত্নী শ্রীমতী গঙ্গারাণী মাইতি গত ৮ই জুন পরলোক গমন করেন৷ মার্গীয় বিধিতে সমস্ত আনন্দমার্গীরা মিলিত হয়ে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন৷ এরপর ১৫ই জুন মার্গীয় বিধিতে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ যথাবিধি কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আচার্য গোবিন্দ দেবের পৌরোহিত্যে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রঘুনাথবাড়ী আনন্দমার্গী ইয়ূনিটের সেক্রেটারী শ্রী রঞ্জিত রাউত মহাশয়৷

নেশার দ্রব্য  পাচার  করতে গিয়ে গ্রেফতার

কাফ সিরাপ খেয়ে  নেশা  করার প্রবণতার  জন্যে  নেশার  দ্রব্য হিসেবে  কাফ সিরাপ  পাচার  হচ্ছিল৷ তার  সাথে  ড্রাগ হিসেবে ১৪৫০টি  ট্যাবলেটও৷ বীরপাড়া থানার  ও.সি এই অভিযোগে ৩ জন পাচারকারীকে হাতে নাতে  ধরা হয়েছে  বলে জানান৷

বিভিন্ন স্থানে আনন্দমার্গের সেমিনার

Seminar-Anandanagar
অানন্দ নগরের সেমিনার

আনন্দনগর ঃ  গত ২৯, ৩০শে জুন  ও ১লা জুলাই  আনন্দনগরে  আনন্দমার্গের সেমিনার  অনুষ্ঠিত হয়৷  এই সেমিনারে আধ্যাত্মিক  ও সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শনের বিভিন্ন দিকের ওপর ক্লাশ নেন কেন্দ্রীয়  সহকারী প্রকাশন সচিব আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত৷ আনন্দনগর  এলাকার  প্রায়  ১০০ মার্গের কর্মীও অনুগামী এই সেম

আনন্দনগর সংবাদ

 গত ৯ই জুন টাটোয়াড়াতে  এখানকার  বিশিষ্ট আনন্দমার্গী কালাচাঁদ কুমারের বাড়ীতে অখণ্ড কীর্ত্তনের অনুষ্ঠান হয়৷ ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ এই মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন চক্রধর কুমারের হরিপরিমন্ডল গোষ্ঠী৷  কীর্ত্তন শেষে যথারীতি মিলিত সাধনা, গুরুপূজান্তে আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও সাধনার ওপর বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন সাধনা প্রতিটি মানুষের জীবনের আবশ্যিক কর্ত্তব্য৷ সাধনা অপূর্ণতা থেকে পূর্ণত্ব অর্জনের উপায়৷ আর কীর্ত্তন সাধনার  সহায়ক৷  কীর্ত্তন দেহমনকে পবিত্র করে৷ মনের কলুষতা দূর করে৷