July 2018

বড়তলা  আয়ুষ আনন্দম্’’ কর্ত্তৃক গড়িয়াস্থিত নরেন্দ্রপুর আনন্দমার্গ চিল্ড্রেনস্ হোমের শিশুদের বিভিন্ন উপহার

Gariya CH feeding

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ উত্তর কলকাতার একটি মহিলা সংঘটন --- ‘‘বড়তলা আয়ুষ আনন্দম্’’ বিভিন্ন সময় দুঃস্থদের মধ্যে  কম্বল বিতরণ, রক্তদান শিবির ও গান-আবৃত্তি -বসে আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে  থাকে৷ গত ১৭ই জুন  এই সংঘটনের সদস্যাবৃন্দ গড়িয়াস্থিত আনন্দমার্গ চিল্ড্রেনস্ হোমে যেখানে ৩৫ জন  ২ থেকে ২০ বছর বয়সী পিতৃমাতৃহীন  ও দুঃস্থ মেয়েরা  পালিত  হচ্ছে,  তাদের ও তিনজন আশ্রমবাস

শিলিগুড়ি আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ২২, ২৩ ও ২৪ জুন ঃ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে আনন্দমার্গের প্রথম ডায়োসিস স্তরীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত আনন্দমার্গ দর্শনের ‘ব্রহ্ম সদ্ভাব’ ও ‘সামাজিক-অর্থনৈতিক দর্শন---‘প্রাউট’-এর ‘সুসংবদ্ধ কৃষি’, ‘সামাজিক সুবিচার’ প্রভৃতি বিষয় ছিল এই সেমিনারের আলোচ্য বিষয়৷

শিলিগুড়িতে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় ভারতনগর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার থেকে প্রায় ২৫০ জন আনন্দমার্গী ভাই-বেনেরা এই সেমিনারে যোগদান করেন৷

মুরারৈ আনন্দমার্গ স্কুলভবনের নবনির্মিত কক্ষের উদ্বোধন

গত ২৭শে জুন বীরভূম জেলার মুরারৈ আনন্দমার্গ স্কুলের নবনির্মিত কক্ষ ও সুতপা সিন্হা স্মৃতিকক্ষের উদ্বোধন করলেন জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রী কেশবচন্দ্র সিন্হা৷

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী অনন্ত মালাকার মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন৷ এর পর শ্রীমতী প্রতিমা সরকার প্রদীপ প্রজ্বলন করেন৷ উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রথিতযশা গায়ক মোহিনী কুণ্ডু৷ প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রীমতী বন্দনা দে ও শ্রীমতী মণিকা ঘোষ৷ তারপর অখণ্ডকীর্ত্তন মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়৷

উত্তর দিনাজপুরের আনন্দমার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান

রাইগঞ্জ ঃ উত্তর দিনাজপুরের কুশমন্ডী ব্লকে গত ১লা জুলাই আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রানুসারে একটি বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান হয়৷ এই বিবাহানুষ্ঠানে পাত্র ছিলেন কুশমণ্ডী ব্লকের নিজ উত্তরপাড়া নিবাসী শ্রী জিতেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র ছত্রকুমার সরকার৷ আর পাত্রী ছিলেন কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ফতেপুর গ্রাম নিবাসী গোপাল চন্দ্র সরকারের কণিষ্ঠা কন্যা কল্যাণীয়া চুক্তি সরকার৷

এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য রসবোধানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ অনিন্দিতা আচার্যা৷

বঙ্গাইগাঁও শহরে আনন্দমার্গী প্রথায় বিবাহ

গত ১৮ই জুন সন্ধ্যায়, অসমের বঙ্গাইগাঁও অধিবাসী শ্রী নকুলচন্দ্র সাহা ও শ্রীমতী শুকতারা সাহার প্রথমা কন্যা কল্যাণীয়া নিবেদিতার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রঘুনাথগঞ্জ নিবাসী স্বর্গীয় আশুতোষ সরকার ও স্বর্গীয়া জ্যোৎস্না সরকারের কনিষ্ঠ পু অনিন্দ্য সরকারের শুভবিবাহ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্ত্তিত সমাজশাস্ত্রানুসারে এক জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, সাধনা, গুরুপূজার পর শহরের সুসজ্জিত ‘টেরাপন্থ ভবনে’ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শত শত অতিথিবৃন্দ আনন্দমার্গের সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই শুভ বিবাহে পাত্রপক্ষে পৌরোহিত্য করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে পৌর

পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখন্ড নাম সংকীর্ত্তন

গত ৪ ও ৫ই জুন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার  বয়লাসোল ইয়ূনিটে ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনানুষ্ঠানে মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে  প্রায় দুইশতাধিক আনন্দমার্গীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত, শ্রী রমেন্দ্রনাথ  মাইতি ও শংকর প্রসাদ কুণ্ডু৷ অনুষ্ঠানান্তে প্রায় ২০০০ হাজার গ্রামবাসীকে নারায়ণসেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷  সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন বয়লাসোল ইয়ূনিটের রাজীব প্রতিহার,বিপ্লব মাইতি, তাপস বেরা প্রমুখ৷

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সব জিনিসকে দাঁতে চিবিযে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

জীবন রণাঙ্গণ

অনির্বান

জীবনের পথ ধরে যেতে যেতে

কতবার থেমে গেছি৷

অজানা ভয় আর অজানা শঙ্কায়৷

তারপর৷

একটা সময় পরে, অজানা সে পথিকের,

কোমল স্পর্শ পেয়ে শান্ত হ’ল মন৷

তাই বার বার জিতে গেছি জীবন রণাঙ্গণে৷

অবাক বিস্ময়ে ভেবেছি,

কে তুমি অজানা পথিক

জীবনের অন্ধকারে আলো জ্বেলে পথে পথে৷

এলে তুমি নিয়ে যেতে, তোমারই কাছটিতে৷

একাকী দিনের শেষে, কখনো গভীর নিশীথে

ভেবে গেছি একা একা নিদ্রাহীন সময়কে মেপে

কখনো গভীর রাত, তারা ভরা সন্ধ্যাকাশ৷

ভেবে গেছি কে তুমি, কেন ধরা দাও না আমায়

শেষের সময় এসে ভাবি, শুধু ভাবি আমি৷

নোতুনের ডাক

সুকুমার সরকার

আবার এক ফাল্গুন এসে গেছে৷

স্তব্ধ নগরীতে তোমার পদধ্বনি

নোতুন পৃথিবীতে নতুন এক বার্তা এনেছিল৷

আমি চিরকালের ডাক হরকরা

ঘরে ঘরে নতুনের বার্তা পৌঁছাতে গিয়ে

জীর্ণ কঙ্কালে কখনো যদি মুখ থুবড়ে পড়ি

আর একবার পদধ্বনি দিও একান্ত গোপনে

শব্দের কারিগর প্রতিটি অলিখিত ভাষার

রাগবৈভব ফুটিয়ে তোলো শিমূল পলাশের বনে৷

 

আমি শুধু পিঠে করে বয়ে নিয়ে যাবো

নোতুনের ডাক৷


 

বন্ধু

বাসনা বিশ্বাস

বন্ধু তুমি পরম বন্ধু,

    থাকো আমার সাথে৷

দুঃখের রাতে সুখের দিনে

    আনন্দ প্রভাতে৷

যখন আমি একা একা

    হারিয়ে ফেলি দিশা৷

ছদ্মবেশে বন্ধু সেজে

    ঘুচাও যে দুর্দশা৷

মায়ার ডালে বদ্ধ হয়ে

    যখন তোমায় ভুলে থাকি

ধুলো খেলা দিয়ে আমায়

    ভুলিয়ে রাখো নাকি?

ঝড়–তুফানে গহন বনে –

    দুঃখের নিশি রাতে–

তোমার পরশ পাইগো আমি

    নীরব নিভৃতে৷

দুঃখের রাতে তোমার সাথে

    ক্ষণিক অনুভবে

তোমার পরশ পাই যে আমি

    হূদয় আবেগে৷

চোখের জলে বুক ভেসে যায়