July 2018

আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

বালুরঘাট ঃ গত ৩রা জুলাই শ্রীমতী বাসন্তী পাল (৭৫) পরলোক গমন করেন৷ তিনি ছিলেন অত্যন্ত  ভক্তিমতী ও সেবাপরায়ণা আনন্দমার্গী  সাধিকা৷  ৭ই জুলাই আনন্দমার্গের  সমাজশাস্ত্রানুসারে  তাঁর  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ এই শ্রদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ অনিন্দিতা আচার্যা৷

থাইল্যাণ্ডে জলমগ্ণ অন্ধকার গুহা  থেকে ১৭ দিন  পরে কোচ সহ ১২ জন কিশোর ফুটবলার উদ্ধার

থাইল্যাণ্ডের বন্যাপ্লাবিত থাম লুয়াং গুহার ৪ কিলোমিটার ভিতরে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ১৭ দিন বন্দী থাকার পর নির্র্ঘত মৃত্যুর কবল থেকে শেষ পর্যন্ত ১০ই  জুলাই  ১২জন কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধার করা হ’ল৷

স্নায়ুরোগ–মস্তিষ্ক্ বিকৃতি–স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি–মানসিক রোগ

ব্রাহ্মী– Bacopa monierri; Centella asiatica Ð

ব্রাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ক্ষর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ব্রাহ্মীঘৃত (অথবা ব্রাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

পেটের অসুখে থানকুনি ঃ থানকুনি পাতার রস চীনী সহ খেলে পেটের অসুখে ভাল ফল দেয়৷

জ্যামিতির কোণ বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছিলেন মহর্ষি কপিল

‘কুণ্’ ধাতু + ঘঞ্ প্রত্যয় করে আমরা ‘কোণ’ শব্দ পাচ্ছি৷  ‘কোণ’ শব্দের অর্থ হ’ল দুই বা ততোহধিকের মাঝখানে চাপা পড়ে যে ঠিক ভাবে ধবনি দিতে পারছে না.......যথাযথ ভাবে অভিব্যক্ত হচ্ছে না৷ যোগারূঢ়ার্থে ‘কোণ’ বলতে বুঝি দুইটি  বাহু (side) যেখানে অভিন্ন (common) বিন্দুতে মিলছে সেখানে ওই অভিন্ন বিন্দুকে ছুঁয়ে যে ভূম্যংশ (angle) তৈরী হচ্ছে তা’৷ জ্যামিতির কোণ–বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছিলেন আদি বিদ্বান প্রথম দার্শনিক মহর্ষি কপিল৷ তিনিই প্রথম বলেছিলেন একটি সমকোণী ত্রিভুজে মোট ১৮০ ডিগ্রী কোণ আছে ও সমত্রিকোণী ত্রিভুজে কোণগুলি ৬০ ডিগ্রী হয়ে থাকে৷ এ  নিয়ে তিনি অতিরিক্ত কিছু বলেননি–হয়তো বা দার্শনিক গূঢ়তত্ত্ব নিয়ে অত্য

প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গে

প্রাচীনকালে মানুষ গান গেয়েছিল বিহঙ্গের কাকলির অনুরণনে৷ মানুষের জন্মেতিহাসের প্রথম উষাতেই অর্থাৎ যে অরুণ রাগে মানুষ এই পৃথিবীতে  এসেছিল সেই অরুণ রাগেই এসেছিল গানের রাগ........না–জানা সুরসপ্তকের সিঞ্জিনের মঞ্জুষিকা৷ সেই নাম–না–জানা রাগের সঙ্গে তাল মেশাবার জন্যে মানুষ বস্তুতে বস্তুতে ঠোকাঠুকি করত....জন্ম নিল সংঘাত–সঞ্জাত বাদ্যযন্ত্র৷ মৃদঙ্গ, তবলা, খোল, ঘটম্–এদের আদি রূপ এসেছিল৷ তারপর মানুষ এই ঠোকাঠুকি থেকে উদ্ভুত বাদ্যযন্ত্র থেকে নিজেদের মন ভরাবার জন্যে তৈরী করে রৈক্তিক সম্পদ৷ শূন্যতাকে আচ্ছাদন দিল চর্মের বা অন্য কোন মৃদু আবেষ্টনের.....এল বিভিন্ন  ধরণের তালসৃষ্টিকারী বাদ্যযন্ত্র৷ মানুষের মন এত

খেলা শেষে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

এত করে’ ডাকি তোমায়

তবু ধরা নাহি দাও

কাছে এসে একটু হেসে

আবার দূরে চলে যাও৷

এখানে ওখানে শুধু তোমায়

খুঁজি আমি বারে বারে

কিছুতেই নাহি পাই

বিশ্ব চরাচরে৷

আর কতদিন এমন করে’

ফাঁকি দিয়ে রইবে সরে’

খেলবে লুকোচুরি আমার সাথে৷

দিনের শেষে সন্ধ্যা আসে

পল গুণছি তোমারই আশে

ভক্তি-কুসুম মালা গেঁথে৷

জানি, সবই তোমার অশেষ লীলা

অণু-ভূমায় সারা বেলা,

তোমার কৃপায় আমার সময় এলে

সংস্কারের যত কালি ধুয়ে

নেবেই তোমার মধুময় কোলে তুলে

ভবের খেলাশেষে তোমাতেই যাব হারিয়ে৷৷

আমার স্বপ্ণ

কোয়েল ঘোষাল

আমি যদি পাখি হতাম

নীল আকাশে  উড়তে পেতাম৷

আমি যদি বিদ্যুৎ হতাম

অন্ধকারে  আলো দিতাম৷

আমি যদি জল হতাম

তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা মেটাতাম৷

আমি যদি তারা হতাম

নীচের সবাইকে দেখতে পেতাম৷৷

আমি যদি গাছ হতাম

সবাইকে অক্সিজেন দিতাম৷

আমি  যদি খাবার হতাম

ক্ষুধার্তেরে অন্ন দিতাম৷

প্রভু, সকলি তোমারই ইচ্ছা

রতন কুমার দে

প্রেমময় তুমি হে প্রভু

তোমারই ইচ্ছা কে বুঝিতে পারে

তুমি জানাও যারে

সেই জানে প্রভু

সে তোমারে দেখে

তার মনোরথে৷

সত্ত্ব, তম, রজঃ গুণে

রেখেছো তুমি এ ভুবনে

ত্রিগুণের অতীত যারা

তারা থাকে তোমার সনে

তারা থাকে আনন্দধামে

সকল সৃষ্টি তোমারই প্রভু

আছি তবু মায়ার ঘোরে

যারে তুমি দাও গো ধরা

সে তোমায় দেখে তার মনোরথে৷

‘না তাকাইঁ’

রাঢ়ের মানুষ একদিকে  যেমন দার্শনিক চিন্তা করেছে, অন্যদিকে তেমনি হালকা মেজাজে হাসি–তামাসা–নৃত্য–গী উচ্ছল হয়ে উঠেছে৷ রাঢ়ের মানুষ মজলিশী, মিশুক ও খোসমেজাজী৷ দারিদ্র্যভারে জীর্ণ হলেও সে মানুষকে ডেকে খাওয়ায়–খাওয়ায় তা–ই যা সে নিজে খায়–ভাত, কলাইয়ের ডাল রাঢ়ী বাংলায় ‘বিরি’), বড়ি–পোস্ত আর কুমড়োর তরকারি রাঢ়ী বাংলায় ‘ডিঙ্লা’)৷ তার আচরণে–ব্যবহারে কোনো দারিদ্র্যগত সংকোচ নেই৷ বিনা কষ্টেই সে স্পষ্ট কথা বলে থাকে৷ রাঢ়ের মানুষের সরলতার একটি নিদর্শন ঃ

আমি কেমন সেয়ানা মেয়ে

প্রাচীনকাল থেকেই ভাশুর শ্বশুরের তুল্য পূজ্য রূপেই গণ্য হয়ে এসেছে৷ তাই ভাশুরের সম্ক্ষোধনসূচক সাম্মানিক শব্দ হচ্ছে বড় ঠাকুর/বট্ঠাকুর৷ কিন্তু প্রাচীনকালে সামাজিক বিধি ছিল এই যে ভাশুরকে ছোঁয়া চলে না৷ এ সম্পর্কে একটা গল্প আছে৷  ঘটনাটি  ঘটেছিল মানাদে  (মহানাদ)*৷ তাড়াতাড়ি বলছি শোনো৷

বউ–(স্বগত) চোর এসেছে...........বাড়ির চারপাশে সিঁদকাঠি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে.......সব বুঝছি, মুখটি খুলছি না............আমি কেমন সেয়ানা মেয়ে.........দেখি কী হয়

..........চোর সিঁধ কাটছে.......... শব্দ শুনছি, চোখটি বুজে  পড়ে আছি, মুখটি খুলছি না.......আমি কেমন সেয়ানা মেয়ে.........দেখি কী হয়