October 2018

আন্দামানেও বাঙালী বিতাড়নের চক্রান্ত

অসমের পর এবার গোটা আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও সুপরিকল্পিতভাবে বাঙালী বিতাড়নের চক্রান্ত শুরু হয়েছে৷ যত্রতত্র একদল স্বঘোষিত উগ্র জাতীয়তাবাদী বাঙালীদের কাছে তাদের নাগরিকত্বের নানান নথিপত্র দাবী করছে ও নানান অজুহাতে তাদের গালিগালাজ, হয়রানি ও নির্যাতন চালাচ্ছে৷ পুলিশও তাদের সহযোগিতা করছে ও বাঙালীদের নানা ভাবে হয়রানি করছে, এমনকি নানান অজুহাতে বাঙালীদের হাজতে ভরে দিচ্ছে৷

সম্প্রতি আন্দামানের সাংসদ বিষ্ণুপদ রায় যেহেতু বাঙালী তাই তাঁর ওপরও অকথ্য অত্যাচার চলছে৷ ‘বাঙলাদেশী’ তক্মা লাগিয়ে তাঁকে নানান অশ্লীল ও নোংরা ভাষায় গালাগালি করা হয়৷ তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷

১৪ই সেপ্টেম্বর মহাসমারোহে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালন

কলিকাতা ঃ গত ১৪ই সেপ্টেম্বর  প্রভাত সঙ্গীত সৃষ্টির ৩৬বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে দেশে বিদেশে  সর্বত্র  মহাসমারোহে  ‘প্রভাত সঙ্গীত’ দিবস পালিত হয়৷  এদিন কলকাতায়  আনন্দমার্গের  কেন্দ্রীয় আশ্রমে  এই উপলক্ষ্যে  বিকেলে  অখন্ড কীর্ত্তন  ও মিলিত সাধনার পর প্রভাত সঙ্গীত  অবলম্বনে  এক মনোরম  সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান হয়৷  এই  অনুষ্ঠানে  আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ  অবধূত,  অবধূতিকা আনন্দ মালিকা  আচার্যা ও অন্যান্য  অনেক  রাওয়া শিল্পী  বিভিন্ন  আঙ্গিকের  প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন  করেন৷ নরেন্দ্রপুর  আনন্দমার্গ চিল্ড্রেন্স্  হোমের  ছোট ছোট মেয়েরা  প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে  নৃত্য প্রদর্শন করে সবাইকে মোহিত করে দেয়৷ 

অসমে  বাঙালী  নির্যাতনের প্রতিবাদে  কলকাতায় ‘আমরা বাঙালী’র  মিছিল ও প্রতিবাদ সভা

অসমে নূতন নাগরিকপঞ্জী তৈরীর  নাম করে প্রায়  ৪০ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্বহরণ  করে’ তাদের বিতাড়নের  চক্রান্তের  বিরুদ্ধে  গত ১৯শে সেপ্টেম্বর  ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের নিকটে বল্লভপুর ষ্ট্রীট থেকে এক  প্রতিবাদ  মিছিল বোরোয়৷ এই  মিছিল বিধান সরণী হয়ে  বিভিন্ন  শ্লোগান  দিতে দিতে স্বামী বিবেকানন্দের  বাড়ীর  সামনে  এসে  পৌঁছায় ও এখানে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই পথসভায় বক্তব্য রাখেন  আমরা  বাঙালী কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়, গুহাহাটি হাইকোর্টের  এ্যাডভোকেট  নজরুল  ইসলাম, জয়ন্ত দাশ, অরুণ ভট্টাচার্য, উজ্বল ঘোষ  প্রমুখ৷

ইটালির ভেরোনা শহরে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত

আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র ইটালির শাখার  পক্ষ থেকে গত ১৪ই সেপ্টেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষ্যে ইটালির ভেরোনা শহরে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এক মনোজ্ঞ আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

স্থানীয় আনন্দমার্গী ‘টারসিসিও বেনেট্রো’ (সংসৃকতে প্রদত্ত নাম তপন কুমার) ‘ভজরে ইষ্ট নাম’ এই প্রভাত সঙ্গীতটি গেয়ে ও পরে ইটালী ভাষায় এটি অনুবাদ করে শুণিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷

ভারতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে যায়

 প্রবীর সরকার

 বর্তমানে ভারতের বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রবেশ কিছুটা উভয় সংকটে পড়েছে৷  দীর্ঘ ৭১ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেল রাজনৈতিক দলগুলির যখন যারা শাসনে আসে তখনই তারা ছলবল আর কৌশলকে কাজে লাগিয়ে আর বিধানসভায় ও লোকসভায় নিজেদে র সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রেক্ষিতে এমন বিল পাশ করিয়ে নেবার ব্যবস্থা করে যেটা গণতন্ত্রের মর্যাদা হানি হয়ে ওঠে৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ব্যারাকপুরের ভক্তিপ্রাণা আনন্দমার্গী শ্রীমতী বীণাপানি পাল বার্ধক্য জনিত কারণে পরলোকগমন করেন৷ তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় আনন্দমার্গী মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে৷

গত ১৬ই সেপ্টেম্বর আনন্দমার্গীয় বিধিতে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷ এতে প্রধান শ্রাদ্ধকর্ত্রী ছিলেন বীণাদেবীর কন্যা শ্রীমতী বেলা মণ্ডল৷ এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর তার স্মৃতিচারণ করেন শ্রীদীনেশ বিশ্বাস, শ্রীমতী স্বাতী সাহা প্রমুখ৷

 

সদাশিবের আলোকে যোগ, রাজযোগ, অষ্টাঙ্গিক ও রাজাধিরাজ যোগ

আর্যরা ভারতে বসবাস করার  পরে অনার্য সমাজে জন্মেছিলেন এক বিরাট পুরুষ৷ মঙ্গোলীয়–আর্য মিশ্র কুলে জাত এই বিরাট পুরুষ ছিলেন উন্নতনাসা ও শুভ্রকান্তি৷ ইনি ছিলেন মহাতান্ত্রিক, মহাযোগী৷ অনার্য সমাজের এই মহাপুরুষ শিব নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন৷ একাধারে এত গুণ মানুষের মধ্যে যে থাকতে পারে এ কথা লোকে ভাবতে পারে না, তাই তাঁকে বলা হ’ত গুণাতীত বা নির্গুণ পুরুষ৷ তন্ত্রসাধনার ফলে এই শিব অর্জন করেছিলেন অলোকসামান্য শক্তি৷ এই শক্তিকে তিনি লাগিয়ে গেছলেন জনকল্যাণের কাজে৷ তন্ত্রশাস্ত্রকে সুসংবদ্ধরূপ ইনিই দিয়েছিলেন৷ তাই তান্ত্রিকের বা যোগীর ইনি ছিলেন গুরু–ইনি ছিলেন পিতা৷ এই ব্রহ্মজ্ঞ মহাপুরুষের দৃষ্টিতে উচ্চ–নীচ ভেদ ছিল ন

দ্বন্দ্বাত্মক ভৌতিকতাবাদ ও গণতন্ত্র

পূর্ব প্রকাশিতের পর

এখন গণতন্ত্রের কথায় আসা যাক৷ লা হয়, গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের জন্যে, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন৷ শূদ্র যুগের পর গোষ্ঠীপতিদের হাতে ক্ষমতা স্থানান্তরিত হয়৷ কালক্রমে গোষ্ঠীপতিরা সামন্ত রাজা হয়ে পড়ে৷ রাজতন্ত্রের অত্যাচারের বিরুদ্ধ মনোভাব থেকে গণতান্ত্রিক মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে৷ গণতন্ত্রের ইতিহাস অতি প্রাচীন৷ কথিত হয় যে প্রাচীন ভারতবর্ষে লিচ্ছবী রাজবংশের সময়ে গণতন্ত্রের সূত্রপাত হয়৷ অত্যন্ত প্রাচীন সংঘটন লে এতে কিছু বিকৃতি আসা মোটেই অস্বাভাবিক নয়৷

পানীয় জলের বাণিজ্যিকরণ নয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে পানীয় জলের সংকটের সুযোগ নিয়ে জলসম্পদের বাণিজ্যিকরণ জোর কদমে চলছে৷ জল আজ অর্থনৈতিক পন্যে পরিণত হয়েছে৷ কিন্তু জল তো জীবন ধারণের অপরিহার্য বস্তু৷ মানুষের ন্যূনতম চাহিদার মধ্যে পড়ছে৷ পানীয় জল, বিশুদ্ধ বায়ু এসব ন্যূনতমের মধ্যে ন্যূনতম৷ এই চরম ন্যূনতম অপরিহার্য্য বস্তুর বাণিজ্যিকরণ মোটেই কাম্য নয়৷

ব্যবসায়ীরা মুনাফার দৃষ্টি কোণ থেকে সব কিছুকে দেখে৷ মুনাফার কারণ মূল্যবৃদ্ধি ঘটায়৷ অবাধ মুনাফার কারণে ভেজালও দেখা যায়৷ এটাই বাস্তব৷ এই অবস্থায় পানীয় জলকে বেসরকারী ব্যবসাদারদের হাতে ছেড়ে দেওয়া কখনই কাম্য নয়৷