October 2018

শান্তিনিকেতনে নব্য মানবতাবাদী সাহিত্য উৎসব

শান্তিনিকেতন,বীরভূম ঃ গত ৩০শে সেপ্ঢেম্বর রেণেশাঁ ইউনিবার্র্সল, শান্তিনিকেতন শাখার উদ্যোগে সোনাঝুরি , খোয়াইয়ে অবস্থিত ‘ভালোবাসা সিনিয়র সিটিজেনসি’-তে নব্যমানবতাবাদী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পগুরু শ্রী অনন্ত মালাকার, প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রহ্লাদ রায়, বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নীরদবরণ মণ্ডল ও শিক্ষক অরুণ কুমার রায়৷ নব্যমানবতাবাদের প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৷ স্বাগত ভাষণ দেন শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন৷ গতবারের সাহিত্যসভার শ্রেষ্ঠ কবি, প্রাবন্ধি

আন্দামানে আনন্দমার্গের নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা শিবির

পোর্ট ব্লেয়ার আনন্দমার্গ স্কুলে ২রা ও ৩রা অক্টোবর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত নব্যমানবতাবাদী ভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ে দু’দিনব্যাপী এক শিক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ ২রা অক্টোবর সকাল ৯টায় এই শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন আন্দামান লাক্ষাদ্বীপ হারবার ওয়াকর্স-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার টি.এন.কৃষ্ণমূর্ত্তি৷ পৌরোহিত্য করেন আনন্দমার্গের প্রশিক্ষণ মঠের অধ্যক্ষ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ শিক্ষাগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্বলনের পর পোর্টব্লেয়ার আননন্দমার্গ স্কুলের মেয়েরা প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন৷

ময়ূরভঞ্জে আনন্দমার্গের বিভিন্ন সেবামূলক কার্য

ময়ূরভঞ্জ ঃ ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বরুয়া ব্লকের অন্তর্গত চামচি গ্রামে গত ৯ই অক্টোবর আনন্দমার্গের ১২ ঘণ্টা ব্যাপী কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর সঙ্গে সঙ্গে ধর্মসভা ও বিনাব্যয়ে চিকিৎসা শিবিরেরও আয়োজন করা হয়৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পরিচালনায় ছিলেন দিবাকরানন্দ অবধূত, স্বরূপ নায়েক, বিশ্বনাথ মাহাত প্রমুখ৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় সাধনা, কীর্ত্তনের ওপর বক্তব্য রাখেন সুরেশ নায়েক, আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত, আচার্য তপোনিষ্ঠানন্দ অবধূত প্রমুখ৷

সিংভূম জেলায় অখণ্ড কীর্ত্তন

পূর্ব সিংভূম জেলার নারায়ণপুর ডরকাসাই গ্রামে গত ৮ই অক্টোবর ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনের পরিচালনায় ছিলেন আচার্য দিবাকরানন্দ অবধূত, আচার্য কৃষ্ণনাথানন্দ অবধূত, শিবসুন্দর মাহাত, সুশীল মাহাত, ত্রিলোচন মাহত প্রমুখ৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের তিনটি গ্রামে কীর্ত্তন পরিক্রমা অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের পর বক্তব্য রাখেন আচার্য দিব্যরূপানন্দ অবধূত, আচার্য সন্দৃপ্তানন্দ অবধূত, আচার্য মহীদেবানন্দ প্রমুখ৷ কীর্ত্তনের পরে ডরকাসাই মিড্ল স্কুলে যোগের ওপর এক আলোচনা হয়৷ সেখানে বহু শিক্ষক ও ছাত্রকে যোগসাধনা, তাণ্ডব ও কৌশিকী নৃত্য শেখানো হয়৷

শালবনীতে আনন্দমার্গের আলোচনা সভা

গত ৩০শে সেপ্ঢেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শালবনি আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমূর্ত্তিজী প্রবর্তিত শিক্ষাদর্শন ও আদর্শ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধূত৷ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান অভিভাবকবৃন্দ এই আলোচনা সভা যোগদান করেন৷

পুরুলিয়ার মানবাজার ব্লকে আনন্দমার্গের অখণ্ড কীর্ত্তন, সিম্পোসিয়াম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পরিচালনায় পুরুলিয়ার মানবাজার ব্লকের গোপালনগর গ্রামে আনন্দমার্গের কীর্ত্তন, সিম্পোজিয়াম ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানটি হয় স্থানীয় আনন্দমার্গ স্কুলে৷ প্রথমে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনান্তে সাধনা ও কীর্ত্তনের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত ও আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷ এরপর উপস্থিত ভক্তবৃন্দকে ও গ্রামবাসীদের নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷

বেড়ি গোপালপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন, বিভিন্ন সেবা কর্ম ও নারায়ণ সেবা

গত ৮ই অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বেড়ি গোপালপুরে কীর্ত্তন দিবস উপলক্ষ্যে অষ্টাক্ষরীয় মহামন্ত্র ‘বাবানাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১২-৩০ পর্যন্ত৷ কীর্ত্তন শেষে আনন্দমার্গ দর্শন ও কীর্ত্তন মহিমা সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য কৃষ্ণস্বরূপানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ এই উপলক্ষ্যে প্রায় ৪০ জন দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্রদান করা হয় ও শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়৷ সবশেষে উপস্থিত সকলকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীকুমুদ দাস৷

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যের আঁশ

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় Dietary fibre বা খাদ্যের আঁশের ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে৷ কারণ বহু সমীক্ষার পর দেখা গেছে, খাদ্যের আঁশ দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, পাকস্থলীতে বেশীক্ষণ থাকে, কোলেষ্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডের মাত্রা কমায়, ওজন ও রক্তচাপের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ এই কারণে প্রাচীন সমাজে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিক পরিমাণে আঁশ ও স্বল্প পরিমাণে সহজ শর্করা দিয়ে চিকিৎসা করা হতো৷

পাণ্ডেয়/পণ্ডা, দ্বিবেদী, ত্রিবেদী, চতুর্বেদী, .... হিন্দু প্রভৃতি

অনেক দিন ধরে কোন একটা কাজ করে চললে অথবা কোন কাজ না করলে মানুষের মনে কুসংস্কার দানা বাঁধে৷ তাই দেখা যায় যখন অক্ষর আবিষ্কৃত হয়েছিল তার পরেও মানুষ বেদ ও অন্যান্য শাস্ত্রাদিকে অক্ষরবদ্ধ বা লিপিবদ্ধ করেনি৷ কেননা তারা মনে করত যে, যেহেতু পূর্বপুরুষেরা লেখেননি সেহেতু বেদকে অক্ষরের মধ্যে আবদ্ধ করা অন্যায় ও অবাঞ্ছনীয়৷ আসলে তখন যে অক্ষরই আবিষ্কৃত হয়নি এ কথাটা তাঁরা বেমালুম ভুলে থেকেছিলেন৷ অনেক পরবর্ত্তীকালে উত্তর–পশ্চিম ভারতে কশ্মীরের পণ্ডিতেরা যখন সারদা লিপিতে লেখা শুরু করেন তখন তাঁরা দেখলেন চারটে বেদকে একসঙ্গে মুখস্থ রাখা অসম্ভব৷ শুধু তাই নয় ততদিন বেদের ১০৮ অংশের মধ্যে ৫২টাই লুপ্ত হয়ে গেছে৷ তাই তাঁর

ডাকে ওই

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ওই শোন কে ডাকে মেঘমন্দ্রে দূরগগনে

কার আহ্বান সদা ভাসে মাতাল পবনে৷

বিদ্যুৎ শিখায় কার হাতের লক লকে বেত

অমোঘ পরাক্রমে অন্যায়-অবিচারে টানে ছেদ৷

বঞ্চিতা ধরিত্রীর শূন্য কোল ভরে দিতে

কার আশিস প্রবহমান কল্লোলিনী-স্রোতে

সৃষ্টির ধমনীশিরায় উষ্ণ শোণিত কম্পন

কোন্ যতিহীন সংগীত জাগায় অনুরণন

উদ্বেল বিশ্ববীণার ঝঙ্কৃত প্রতি তারে

ভাঙ্গ্, ভাঙ্গ্ স্বর ওঠে কার ভৈরব হুঙ্কারে

মানুষ হয়ে জন্মেছি সকলে গড়তে সুন্দর মানবসমাজ

জাত-ইজম-বর্ণ ভুলে করব কেবল নোতুন পৃথিবীর কাজ৷