October 2018

আনন্দনগরে গুরুকুল দিবস উদযাপন

গত ৭ই সেপ্টেম্বর গুরুকুল দিবসে আনন্দমার্গ হাইসুকল প্রাইমারী স্কুলে ও ভেটেনারী কলেজে আলাদা আলাদা ভাবে ছাত্র শিক্ষক সকলে মিলিত হন৷ সেখানে গুরুকুলের প্রবক্তা তথা প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রা ও শিক্ষকবৃন্দ বাবার প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ আজকের এ অবক্ষয়ের দিনে গুরুকূলের শিক্ষা ব্যবস্থার মহত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন৷ আনন্দনগর হাইস্কুলে বক্তব্য রাখেন আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত প্রাইমারী স্কুলে বক্তব্য রাখেন আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত ভেটেনারী কলেজে বক্তব্য রাখেন আচার্য দীপাঞ

বহরমপুর, নিমতলা গ্রীণফার্ম আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বহরমপুর, গ্রীনফার্ম ঃ স্থানীয় অক্ষয় সমিতির ক্রীড়াঙ্গনে সুদৃশ্য মঞ্চে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দপূর্ণজ্যোতি আচার্যার উদ্যোগে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দের অকুণ্ঠ সহযোগিতায় বহরমপুর গ্রীণফার্ম আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হ’ল৷ শুরুতেই ‘মহর্ষি প্রণাম তোমায়.....’ একটি আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে নৃত্য সহযোগে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত৷ প্রধান অতিথি ছিলেন বহরমপুর গার্লস্ কলেজের অধ্যাপক কাজল কুমার সাহা৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন অবধূতিকা আনন্দসংশুদ্ধা আচার্যা, এডুকেশন ইন চার্জ, ওমেন ও

আনন্দনগরে বাবা স্মৃতি সৌধে’ অখন্ড কীর্ত্তন

গত ১৬ই সেপ্টেম্বর আনন্দনগরে বাবার স্মৃতি সৌধে প্রতিমাসের মত এমাসেও অখন্ড কীর্ত্তনের অনুষ্ঠান হয় এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গের বিভিন্ন সুকল, কলেজের ছাত্র-ছাত্র রা, আশ্রমবাসীবৃন্দ ও চতুষ্পার্শের গ্রামবাসীরা যোগদান করেন৷ এছাড়া কীর্ত্তন শেষে চিতমুর বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দীপু গড়াঞ এর পুত্রের অন্নপ্রাশন আনন্দমার্গীয় সমাজ শাস্ত্রানুসারে অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে পৌরোহিত্য করেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷

নদীয়ায় ব্লক লেবেল সেমিনার

গত ৩০শে সেপ্টেম্বর নদীয়া জেলার মদনপুর ও পাটিকাবাড়ী আনন্দমার্গ স্কুলে ব্লক লেবেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ মদনপুরে এই ব্লক লেবেল সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীবৃন্দাবন বিশ্বাস, পাটিকাবাড়ী আনন্দমার্গ স্কুলের সেমিনারে মুখ্য প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোরাচাঁদ দত্ত ও মনোরঞ্জন বিশ্বাস৷ সেমিনারে প্রায় শতাধিক স্থানীয় আনন্দমার্গীরা উপস্থিত ছিলেন৷

আনন্দমার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

পুরুলিয়া ঃ গত ১৮ই সেপ্টেম্বর পুরুলিয়া জেলার আনন্দমার্গের ভুক্তিপ্রধান শ্রী প্রফুল্ল কুমার মাহাতোর বাসভবনে আনন্দমার্গের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনার পর শ্রী প্রফুল্ল মাহাতোর পৌত্রী ও শ্রী প্রভাতাংশু মাহাত ও মৌসুমী মাহাতর কন্যার অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে পৌরোহিত্য করেন অবধূতিকা আনন্দ সুমিতা আচার্যা৷

পটোল ও  ডালিমের উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ পটোল উত্তর–পূর্ব ভারতের একটি মুখ্য সব্জী৷ কারণ এর আদি বাস পূর্ব ভারতে–বিশেষ করে গঙ্গা অববাহিকার সাহেবগঞ্জ, মালদা, নদীয়া ও রাজমহল এলাকায়৷ এছাড়াও পটোল বেশী পাওয়া যায় রাঢ়, সমতট, মিথিলা (বিহার) ও উৎকলে (ওড়িষ্যা)৷ পটোল একটি ইন্ডিকা বর্গীয় গাছ৷ বাংলায় একে পটোল বলে, সংস্কৃতেও ‘পটোল’৷ মগহীতে শাদা রঙের পটোলকে বলা হয় পটোল কিন্তু সবুজ রঙের পটোলকে বলা হয় ‘পরবল’৷ ভোজপুরীতে বলা হয় ‘পরুরা’ বা ‘পরোরা’৷ মৈথিলীতে ‘পরোর’, হিন্দীতেও ‘পরবল’, আর ইংরেজীতে বলা হয় wax gourd õ± squart gourd । মোটামুটি বিচারে পটোলের চারটি প্রজাতি আছে৷ তার তিনটি প্রজাতিই বাংলার৷ মাত্র একটি প্রজাতি বি

ফিট বা তড়কা

 ছন্দা বসু

আজকাল বেশীর ভাগ বাচ্চাদের জ্বর হলেই তড়কা বা কনভাল্শন হচ্ছে৷ এতে স্বাভাবিকভাবেই বাবা–মায়েরা ভয় পান, নার্ভাস হয়ে পড়েন৷ বেশ কিছুদিন আগেও এ বিষয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন৷ তখন তড়কা বা ফিট হলেই লোকে ভাবত ভূতে পেয়েছে৷ মানুষ ছুটত ওঝার কাছে৷ তখন ওঝাই ছিল এই রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক৷ যে পদ্ধতিতে এর চিকিৎসা করা হত সেটাও ছিল বীভৎস, কষ্টদায়ক ও অমানুষিক৷ ক্রমশঃ মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল৷ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এল পরিবর্তন৷ চিকিৎসা পদ্ধতিও হ’ল আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত৷ সাধারণতঃ বেশী জ্বর, শরীরে জল কমে যাওয়া, মৃগী আর মেনিনজাইটিস থেকে এই তড়কা বা ফিট হয়৷ ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস থেকেও ফিট

ক্রমবর্ধমান নারী–নিগ্রহ ঃ সমস্যার সমাধান কোথায়

অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা

‘রাজ্যে রাজ্যে নারী–নিঃগ্রহ, বধূহত্যা, নারী ধর্ষণ প্রভৃতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে৷ এই সমস্ত রোধের জন্যে দেশে অনেক আইন রয়েছে, নূতন নূতন আইন তৈরীও হচ্ছে৷ কিন্তু সমস্যা আগের মতই রয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ দিল্লির গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রসঙ্গ আনা যায়৷ এই ঘটনার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠল৷ কঠোর আইন–প্রণয়ণের দাবী উঠল৷ সংসদেও সর্বসম্মতিক্রমে নারী নির্যাতন রুখতে কঠোর আইন আনার দাবী উঠল৷ কঠোর আইন পাশ করাও হ’ল৷ কিন্তু পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তনই পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ তাহলে এ সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে?

নোতুন প্রভাত

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

হাহাকার-আর্তনাদ- লাঞ্ছনা

সর্বনাশা নষ্টামির  কুটিল  আবর্ত্তে

জীবনের প্রবাহ  দিশাহারা৷

সংকীর্ণতার তূণ হ’তে  নিরন্তর

ছোটে ভেদ-বিভেদের  তীক্ষ্ম শর

সমস্যা জর্জর  সমাজের বুকে,

দেহে তার  গলিত কুষ্ঠের ক্ষত---

 মুক্তি-পথ  রুধেছে শোষণের লোমশ হস্ত৷

 *      *      *       

হে যুগ-চেতনা, জাগ্রত বিবেক!

 আঘাত হানো  ভাবজড়তার  বন্ধ দ্বারে

 হে শাশ্বত, উষ্ণ  জীবন !

 ধবনি তোল হিমায়িত শব-ঘরে৷

অমানিশার  দুর্ভেদ্য জাল  ছিঁড়ে

উঠুক দিগন্ত-রাঙ্গা নবীন সূর্য্য৷

উদ্বোধিত  হোক  মানুষের জয়গান

প্রার্থনা

অরুণিমা

পরমপুরুষ তোমার কাছে

    প্রার্থনা করি,  

লেখাপড়া শিখে যেন

    ‘মানুষ’ হতে পারি৷

সমাজসেবা করি যেন

    ঢেলে মন-প্রাণ,

উঁচু-নীচু, ছোট-বড়,

    সবার সমান৷

মানুষ পশু-পাখী আর

    তৃণ তরুলতা

সবার সাথে থাকে যেন

    ভাব সমতা৷

বাবার প্রতি শ্রদ্ধা যেন

    থাকে আমার মনে,

মায়ের প্রতি ভক্তি যেন

    থাকে সর্বক্ষণে৷

এই আশিস দাও গো আমায়

    আমার পরম গুরু

(তব) চরণরেণু মাথায় নিয়েই

    কর্মজীবন শুরু৷