November 2018

ত্রিপুরায় ‘আমরা বাঙালী’র প্রতিবাদ মিছিলে বিজেপির হামলা

অসমে নিরীহ ৫ জন বাঙালী গণহত্যা, এন.আর .সির নামে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীকে বিদেশী ঘোষিত চক্রান্ত ও ডিটেনশন ক্যাম্পে বাঙালীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে সারা ত্রিপুরা জুড়ে বিক্ষোভ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ২রা নবেম্বর অসমে বাঙালী গণহত্যার পরের দিনই ত্রিপুরার খোয়াইতে অসমের বাঙালী গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রঞ্জু দেবনাথের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়৷ এই বিক্ষোভ মিছিলের ওপর আই.পি.এফ.টি ও বিজেপির কর্মীরা হামলা চালায়৷ তাতে রঞ্জু দেবনাথ আহত হন৷ রঞ্জু দেবনাথ খোয়াই হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন৷

গোলমরিচ

গোলমরিচকে প্রাচীনকালে কথ্য সংস্কৃতে ক্ষলা হত ‘‘কটূবীজম’’৷ গোলমরিচের আদিবাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া৷ উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া গোলমরিচের অতি প্রিয়৷ হাওয়াতে–মাটিতে–জলে একটু নোনতা ভাব থাকলে তো সোণায় সোহাগা৷ মোটামুটি বিচারে ধরে নেওয়া যেতে পারে নারকোল, পান, চৈ, গোলমরিচ কতকটা একই ধরনের আবহাওয়া চায়৷ এই জন্যে আমরা দেখতে পাই অনেক ক্ষেত্রে লোকে গোলমরিচের লতা নারকোল গাছের ওপর তুলে দেয়৷ গোলমরিচ ভারত তথা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি অন্যতম ফসল ও যথেষ্ট গুণযুক্ত একটি মশলা৷ গোলমরিচ একটি সংরক্ষণযোগ্য বীজ ঙ্শুকিয়ে রাখা যায় দীর্ঘদিন৷ দক্ষিণ বাংলা, পূর্ব বাংলা ও উত্তর বাংলার আবহাওয়া নারকোল, চৈ ও গোলমরিচ–তিনেরই উপযোগী৷ পূর

নারকোল

নারকোল পৃথিবীর বিষুবরেখীয়, কর্কটক্রান্তীয় ও মকরক্রান্তীয় এলাকায় জন্মায়৷ নারকোলের প্রজাতি আছে অনেক রকমের৷ তবে বয়স–সীমা ও উচ্চতার বিচারে ভারতীয় নারকোল মুখ্যতঃ দু’টি শাখায় বিভক্ত৷ কনিষ্ঠ প্রজাতির নারকোল আন্দাজ ৭ বছর বয়সে ফল দেয়, দেয়ও মাঝারি পরিমাণে বাঁচে আন্দাজ ৪০ বছর৷ গরিষ্ঠ প্রজাতির নারকোল ফল দেয় আন্দাজ ৯ বছর বয়সে বাঁচে আন্দাজ ৭৫ বছর, ফল দেয় যথেষ্ট পরিমাণে৷ আজকালকার অধিক ফলনশীল নারকোল* তিন বৎসর বয়সে ফল দিতে শুরু করে৷ নারকোল উৎপাদনে পৃথিবীর প্রধান পাঁচটি দেশ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারত৷ ভারতের নারকোল গাছ ও ফলের সকল অংশই কোন না কোন কাজে লাগে৷ সেজন্যে সংস্কৃত ভাষায়

গাছ/বৃক্ষ, খোয়া, কমলা/নারাঙ্গী প্রভৃতি প্রসঙ্গে

অনেকে মনে করে থাকেন যে, ‘গ্রৎস’ শব্দটি থেকে ‘গাছ’ কথাটি এসেছে আর ‘গ্রৎস’ মানে হচ্ছে, চলা যার স্বভাব৷ কিন্তু এ ধরনের মানে নেওয়া চলে না, কারণ গাছ কি কখনও চলাফেরা করে? এটি এক ধরনের বিপরীত অলঙ্কার হয়ে গেল৷ এ যেন সেই হাতে মল, পায়ে চুড়ি, কাণে নাকছাবি৷ এ প্রসঙ্গে কবীরের একটি উক্তির কথা মনে পড়ছে৷ সেখানে উল্টো কথা বলা হয়েছে৷ তবে তা’ আসলে উল্টো নয়–

‘‘চলতী কো সব গাড়ী কহে, জ্বলতী দুষকো খোয়া,

রঙ্গীকো নারঙ্গী কহে, যহ্ কবীর কা দোঁহা৷৷’’

ফোটো রে মন ফোটো

বিভাংশু মাইতি

ফোটো রে মন ফোটো

অনুধ্যানে সেই চরণে

কমল হয়ে ফোটো৷

অনুরাগে সিক্ত কর

শতদলের দলগুলি

কোরকে দাও ঢেলে দাও

ভালবাসার অঞ্জলি৷

গ্রীষ্মের দহন দাহে

সেই চরণ চিতচন্দন

বরষার বজ্রপাতে

সে যে দেয় অভয় শরণ৷

শরতের স্নিগ্দাকাশে

সে যে মোর বিভা বিধুর

হেমন্তে হিমেল রাতে

অনুপম পরাণ বঁধু৷

শীতেরই তুষার পাতে

পরশ তার মধু-উষ্ণ

বসন্তের বর্ণমেলায়

সে যে মোর রসকৃষ্ণ৷

ফোটো রে মন ফোটো

রাত্রিদিনে সে চরণে

কমল হয়ে ফোটো৷

ভক্তিযোগে

দেবল কুমার কর্মকার

সুখ পাখিটা ধরবি বলে

               গেলি দেশ বিদেশ

ঘুরলি কত শহর নগর,

               মিটলো কি তোর ক্লেশ?

তীর্থে তীর্থে গেলি কত

               কাশী হৃষিকেশ,

ঘুচলো কি তোর মনের কালি

               স্বার্থ ও বিদ্বেষ৷

হরি বলে কাঁদলি কত

               হরি মিলল কই,

তার চেয়ে আয় ভক্তিযোগে

               কর্মে মেতে রই৷

আদর্শের প্রবাহ

শিবরাম চক্রবত্তী

মানুষের জীবন হলে

আদর্শের এক প্রবাহ

সেই প্রবাহের দিব্যলোকে

মনের দূষণ করে দাহ৷

ভাবাদর্শের প্রণিপাতে

জীবনের যা চাওয়া

অস্তি ভাতি আনন্দেতে

সফলকামী হওয়া৷

অশুভ শক্তির বাধা এলে

শুভশক্তির দ্বারা

পূর্ণোদ্যমে লড়াই করে

তারে দমন করা৷

জীবনযুদ্ধে পরমপুরুষকে

লক্ষ্যবিন্দু করবে

সব অশুভ যাবে হটে

জীবন সফল হবে৷

দেশীয় ফুটবলে বাঙলার ফুটবলার প্রায় নেই, ফুটবলে  বাঙলার অতীত গৌরব ম্লান

ফুটবলের মানচিত্রে  বাংলার অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়৷  যে রাজ্যের একমাত্র গর্ব ও স্বপ্ণ হল ফুটবল আজ সেই বাংলা দেশীয় ফুটবল খেলা থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে৷ যেমন দেশের  সিনিয়র দলের জন্য প্রাথমিকভাবে ডাক পাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে মাত্র চারজন বাংলার৷ এই চার জন  হলেন নারায়ণ দাস, শুভাশিস বসু, প্রীতম কোটাল  ও  প্রণয় হালদার৷  ৪৩ জনে চার মানে  দশ শতাংশ  প্রতিনিধিত্বও নেই বাংলার৷ অথচ  এ রাজ্য  থেকে একটা সময়ে পঞ্চাশ বা ষাট শতাংশেরও  বেশি ফুটবলার  জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন৷

এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার সারিতে  এবার  সিডাক সিংহ

কর্ণেল সি. কে নাইডু অনূধর্ব ২৩ প্রতিযোগিতায় মণিপুরের বিরুদ্ধে  এক ইনিংসে  ৩১ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়ে  অনন্য রেকর্ড গড়লেন পুদুচেরির মাত্র ১৯ বছরের সিডাক সিংহ৷ যদিও এটা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ঘটনা নয়, তবুও অনিল কুম্বলে, জিম লেকারদের সঙ্গে এক ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়ার বোলার হিসেবে সিডাকের নাম উঠে এল৷ 

অসম ভবনের সামনে এন. আর সি-র প্রতিবাদে ও বাঙালীস্তানের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’র মশাল মিছিল

অসমে এন.আর.সি’র নামে প্রায় ৪০ লক্ষ বাঙালীকে ‘বিদেশী’ ঘোষণা করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ও সর্বশেষে অসমের তিনসুকিয়া জেলার ধলায় সম্প্রতি সশস্ত্র জঙ্গীদের হাতে ৫ জন নিরীহ বাঙালীর নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে গত ১১ই নবেম্বর বিকেলে কলকাতার অসম ভবনের সামনে প্রায় দেড় হাজার আমরা বাঙালীর কর্মী ও সমর্থক, সঙ্গে আরও দু-একটি সংস্থার কর্মী সমর্থকরা, মশাল হাতে নিয়ে প্রচণ্ড বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ এই বিক্ষোভে আর পি আই সংস্থাও সামিল হয়েছিল৷

মশাল হাতে বিক্ষোভকারীদের দাবী ছিল ঃ আমরা চাই বাঙালীদের নিজস্ব বাসভূমি ‘বাঙালীস্তান’৷