November 2018

‘‘স্যু-কি’ কে দেওয়া মানবাধিকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হ’ল

গৃহবন্দী থাকা অবস্থাতেই মানবাধিকারের জন্যে তাঁর ভূমিকায় বিশ্ববিখ্যাত সংস্থা ‘এ্যামনেষ্টি ইণ্টার ন্যাশনাল’ তাঁকে মানবাধিকার রক্ষার সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘এ্যাম্বাসেডর অব্ কনসিয়েন্স’ উপাধি প্রদান করেছিল৷ এই পুরস্কার প্রাপক ছিলেন মায়ানমারের ‘আন সাং স্যু কি’৷

ডগ্মা বনাম সুপ্রিম কোর্ট

কেরালায় শবরীমালার মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত মামলাটির পুনর্বিবেচনায় সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট৷ আগামী ২২শে জানুয়ারী প্রকাশ্য এজলাসে শুনামি গ্রহণ করা হবে বলে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে৷

গত ২৮ শে সেপ্ঢেম্বর সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল, শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মেয়েরা প্রবেশাধিকার পাবে৷ কিন্তু আইয়াপ্পা ভক্তরা তাদের পরম্পরা হিসেবে এই রায়কে মেনে নিতে পারে নি৷ তারা ঋতুমতী মহিলাদের কোনোমতেই মন্দিরে প্রবেশাধিকার দিতে নারাজ৷ তারা রাজ্যজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন গড়ে তোলে৷

কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার তৎপরতা

কেন্দ্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার তৎপরতা এখন তুঙ্গে৷ এ ব্যাপারে দিল্লীতে আগামী ২২শে নবেম্বর বিরোধী দলগুলির এক বৈঠক ডেকেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু৷ তার আগে আগামী ১৯শে নবেম্বর কলকাতায় তিনি মমতার সঙ্গে দেখা করবেন৷ ২২শে নবেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত বিরোধী জোটের বৈঠকে মমতাকে যোগ দেওয়ার জন্যে তিনি বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ ওই বৈঠকে মমতা নিজে না গিয়ে প্রতিনিধি পাঠাবেন বলে জানা যাচ্ছে৷ তথাভিজ্ঞ মহলের অনুমান বিরোধী জোটের নেতা বা বিরোধী জোট জিতলে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার ব্যাপারে মমতার আপত্তি রয়েছে৷ কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব

সব দায় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেই হয় না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের অসংযমী আচরণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যার স্বীকার হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধা সব বয়সের মেয়েরা৷ স্বাভাবিকভাবে সব দায় প্রশাসনের ঘাড়ে এসে পড়ে ও প্রশাসনের মাথায় যেহেতু রাজনীতিবিদরাই বসে তাদেরকেই দায় নিতে হয়৷ প্রশাসনের অযোগ্যতা, রাজনীতিবিদদের অস্বচ্ছতা সবকিছু মেনে নিয়েও বলতে হচ্ছে এদের বাহিরে আর একটা গোষ্ঠী আছে সমাজের নক্কারজনক অবস্থার জন্য তারাও কম দায়ী নন৷ এরা হলেন শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের লোকজন ও বর্তমান খেলার জগৎও৷ এদের সুবিধা হচ্ছে এদের কোন দায়-দায়িত্ব নেই, কিন্তু জ্ঞান-গর্ভ বাচালতার অবাধ স্বাধীনতা আছে৷ রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লবের পিছনে এদের বিরাট অবদান৷ এদে

মন ও চিতিশক্তি

‘জাগ্রৎ–স্বপ্ণ–সুষুপ্ চৈতন্যং যদ্ প্রকাশতে৷

তদ্ ব্রহ্মামিতি জ্ঞাত্বা সর্বক্ষন্ধৈঃ প্রমুচ্যতে৷৷’

মানুষের মনের চারটে স্তর–জাগ্রৎ, স্বপ্ণ, সুষুপ্তি ও তুরীয়৷ যখন চেতন মন পুরোপুরি সচেতন ও সক্রিয় সেটা মনের জাগ্রৎ অবস্থা৷ আমরা সবাই এই জাগ্রৎ অবস্থায় বেশীর ভাগ সময় কাটাই৷ যখন চেতন মান সচেতন ও সক্রিয় নয়, কিন্তু অবচেতন মন সজাগ ও কোন কিছুর দ্রষ্টা তাকে বলি স্বপ্ণ বা dream৷ যেখানে চেতন ও অবচেতন দুই–ই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় চলে যায় তাকে বলে সুষুপ্তির অবস্থা৷ আর যেখানে চেতন, অবচেতন ও অচেতন–মনের এই তিন অবস্থাই নিষ্ক্রিয় থাকে ও চিতিশক্তিতে সমাহিত থাকে সেখানে তাকে মনের তুরীয়াবস্থা বলা হয়৷

সামাজিক মূল্য ও মানবিক মৌল নীতি

সুদুর অতীত থেকে একে একে বিবর্তনের ধাপ পেরিয়ে নামুষ আজকের এই পরিবেশে এসে পৌঁছেছে৷ তার এই অবিরল যাত্রা কিন্তু একক নিঃসঙ্গ যাত্রা নয়৷ সে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে তার সমাজকেও৷ অতীতের সেই অবিকশিত অনুন্নত অবস্থাতেও মানুষ বাস করত বিভিন্ন গোষ্ঠীতে দলবদ্ধ  হয়ে৷ এর কারণ, মানুষ পারে না একা বাস করতে পারে না তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খোরাক সংগ্রহ করতে৷ সমষ্টি ব্যতিরেকে ব্যষ্টির অস্তিত্ব রক্ষা করা অসম্ভব কারণ মানুষ এক সামাজিক জীব৷ মানুষের কথা ভাবতে গেলে স্বভাবতই তার সমাজও এসে পড়ে, তাই মানুষের অস্তিত্বের দু’টি দিক---একটা সে নিজে তার ব্যষ্টির অস্তিত্ব আর দ্বিতীয়টি হ’ল সে সমাজের সদস্য---তার সমষ্টিগত অস্তিত্ব৷ এই

ঐক্যের ভাবনা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৩১শে অক্টোবর ২০১৮ গুজরাতের নর্মদা জেলায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মভিটেতে প্রতিষ্ঠিত হ’ল সর্দার প্যাটেলের ৫৯৭ ফুট উচ্চতার বিশাল মূর্ত্তি৷ এ মূর্ত্তি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৯৮৯ কোটি টাকা ও মূর্ত্তিটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ৷ এই মূর্ত্তির নামকরণ হয়েছে ‘ঐক্যের মূর্ত্তি’ বা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’---যার উদ্দেশ্য হিসেবে প্রচারিত হয়েছে, দেশবাসীর মনে ঐক্যের ভাবনা জাগ্রত করা৷ ৩১শে অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয়েছে ‘ঐক্যের জন্যে দৌড়’ বা ‘রান ফর ইউনিটি’---সব মিলিয়ে সমগ্র দেশকে এক অটুট বন্ধনে সংগ্রথিত করার সুচিন্তিত শুভ প্রয়াস৷ এই শুভ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশবিদেশের বহু গণ্যমান্য

বিভিন্ন মতবাদ বনাম মানবধর্ম

আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত

এই ধরাপৃষ্ঠে মানুষের আবির্র্ভব দশ লক্ষ বছর পূর্বে হলেও মানবসভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল আজ থেকে মাত্র পনের হাজার বছর পূর্বে ঋগ্বেদের আমলে৷ তার পূর্বে মানুষকে একটা বন্য ও প্রকৃতির প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ অসহায় জীবন কাটাতে হয়েছিল৷ সভ্যতার সূত্রপাত তখন হলেও, বিধিবদ্ধ দাম্পত্য জীবন বা পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়েছিল আজ থেকে সাত হাজার বছর পূর্বে তারকব্রহ্ম সদাশিবের আবির্ভাবের পরে৷ তার পূর্বে সুসংবদ্ধ কোন পারিবারিক জীবন ছিল না৷ সমাজে সন্তানের মায়ের পরিচয় থাকলে জন্মদাতা পিতার কোন পরিচয় ছিল না৷ সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব একা মাকেই বহন করতে হতো৷ এই বিশ্বে শিবই প্রথম বিবাহিত পুরুষ ছিলেন৷ তিনি এইভাবে পরি

কীর্ণাহারে  শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ  দিবস পালন 

গত  ৮ই নবেম্বর  বীরভূম  জেলার  নানুর  ব্লকের  কীর্ণাহারে  মহাসমারোহে জগদ্গুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী  পদার্পণ  দিবস পালিত হ’ল৷  ১৯৫৯ সালের  ৮ই নবেম্বর  কোজাগরী পূর্ণিমার  দিন  ‘বাবা’ কীর্ণাহারে  ‘ধর্ম মহাচক্র’ অনুষ্ঠান  করেছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে  তিনি এখানে  প্রথম পদার্পণ  করেছিলেন৷

আনন্দমার্গের  মহিলা কল্যাণ  বিভাগে  ভ্রাতৃদ্বিতীয়া  অনুষ্ঠান

গত ৯ই নভেম্বর ভ্রাতৃদ্বিতীয়া তিথিতে  আনন্দমার্গের  মহিলা কল্যাণ বিভাগের  পক্ষ থেকে  আনন্দমার্গীয়  বিধিতে  ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উৎসব  পালন করা হয়৷

এই উপলক্ষ্যে  ভি.আই.পি  নগরস্থিত আনন্দমার্গের  মহিলা কল্যাণ বিভাগের কেন্দ্রীয় আশ্রম  ‘শুচিতা ভবনে’  আনন্দমার্গের  বহু সন্ন্যাসী, কর্মী  ও গৃহী আনন্দমার্গী ভাই-বোন মিলিত হন৷