June 2020

সেই সুদিনের প্রত্যাশায়

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শ্রমজীবি মানুষেরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে যেতেন, সে খবর কমবেশি দেশের অধিকাংশ মানুষই জানতেন । কিন্তু সেই সংখ্যাটা যে কত তা সাধারণ মানুষ কেন, সরকারও জানত না, তা বোঝা গেল ।করোনা পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর এখন যে ছবি আমাদের চোখের সামনে টিভির মাধ্যমে ভেসে উঠছে,তা দেখে যেকোনো বিবেকবান মানুষ শিউরে উঠবেই । শিশু মহিলা সহ হাজার হাজার মানুষ যেভাবে জাতীয় সড়ক ধরে, কোথাও বা রেললাইন ধরে, কেউ সাইকেল চালিয়ে, আবার কেউ কেউ বাসে বা ট্রাকে গাদাগাদি করে  নিজ বাড়িতে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সেই কষ্ট চোখে দেখা যায় না । আজো ট্রেনে করে নিজ রাজ্যে ফেরার স্রোত অব্যাহত । কবে এই ফেরা

সমাজতান্ত্রিক ভাবনা

এইচ, এন, মাহাতো

পৃথিবীতে অধ্যাত্মবাদের মাতৃভূমি ভারতবর্ষ। এখানে বর্ষ মানে দেশ। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদুরদৃষ্টির ফলে বর্ষটা পিছনে ফেলে আজ শুধুমাত্র ভারত ভূমি রয়েছে। সেই প্রাচীনকাল থেকে এই দেশটি ছিল সমাজতন্ত্রের প্রতীক। সমাজতন্ত্র ভারতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আছে। এপ্রসঙ্গে দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন -- " মুনি - ঋষিদের দিব্যজীবনের স্মৃতিচারণও জনগণকে এক সূত্রে গেঁথে দেয়। যখন লোক অতীতের মহান নেতাদের ও পুণ্যাত্মা সাধু-সন্তদের কথা নিজেদের হৃদয়ে লালন করে, তখন সেটা সমষ্টিগত ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তোলে । " অর্থাৎ সুদূর অতীতের  মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় ও ঋক্ বেদের বাণীতেও সংগচ্ছধ্বং সংবোদধ্বং----- দে

বাঙালী কবে মানুষ হবে

মন্ত্র আনন্দ

প্রধানমন্ত্রীর ষোলআনা গুজরাটি প্রেম। তাই কংগ্রেস বিদ্বেষী হলেও গান্ধী-পটেল ভক্ত। দুজনেই গুজরাটি কিনা!কংগ্রেসী গুজরাটি পটেলের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মূর্তি, সকালে ঘুম থেকে উঠেই গান্ধীর চরণে প্রণতি।

আনন্দ নগরের খবর

২২শে মেঃ গতকাল বাইশে মে আনন্দ নগরের চিতমু গ্রামে  কেন্দ্রীয় ধর্ম প্রচার  সচিব নির্দেশিত বিশেষ ধর্মচক্র অনুষ্ঠান যথাবিহিত পালন করা হলো।

সকালে পাঞ্চজন্যের সাথে অনুষ্ঠান শুরু হয় । তারপর   আবর্ত কীর্তন আর মিলিত সাধনা হয়।

সন্ধ্যায় কীর্ত্তন শেষে  মিলিত সাধনার পর আনন্দ নগরের রেক্টর মাস্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত সংক্ষিপ্ত ও মনোগ্রাহী বক্তব্য রাখেন।  বিষয় ছিল অহংকার ও নিষ্ঠাবান।  উনি  ব্যষ্টিগত কিছু অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বিষয়ের গভীরতা সহজ ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। স্থানীয় ভক্ত বৃন্দ বিষয়ের গুরুত্ব ও প্রাঞ্জলতা অনুধাবন করে আরো উজ্জীবিত হবেন আশা  রাখি।

 

আম্ফানে বিদ্ধস্ত দঃ ২৪ পরগণায় আনন্দমার্গ ইউনিভবার্সাল রিলিফ টীম এর ত্রাণকার্য  

২৫শে মে তারিখে এ্যামার্ট এর উদ্যোগে  পার্শামারী, ন্যাজাট গ্রামে ২০০ জন মানুষকে চিড়া, গুড়, দুধ ও বিস্কুট দিয়ে সাহায্য করা হয়। এই ত্রাণকার্য পরিচালনায় ছিলেন আচার্য বোধিসত্বানন্দ অবধূত।ত্রাণ কার্যের জন্যে এখানেও এ্যামার্ট জনগন কর্তৃক প্রশংসিত হয়।

"!সংকেত "

আঃ প্রবুদ্ধlনন্দ অবধূত

মাভৈঃ মাভৈঃ তালে

প্রকৃতি এগিয়ে চলে,

মানুষের কেরামতবি শেষ।

 

বুঝেও বোঝেনা সে

পাপ কাজে লিপ্ত যে সে,

করোনা, আমফানের সংকেত।

 

এখনও সময় আছে,

পরমপুরুষেরে ভালবেসে,

কর তাঁর নাম গান আজ।

 

লতা, বৃক্ষ, পশু-পাখিরেও

ভালবাসো,

পশু-বৃত্তি কে দম, নাশো।

গড়ে তোল আদর্শ সমাজ।

 

মধুর মিলন

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বকুল বেলার গেঁথেছিনু মালা
তোমায় পরাব বলে
হাসির ঝলক পলকেতে আসি যায় কোথা ফির চলে?

মনো মন্দিরে বসিয়া ভেবেছি
এই বুঝি তুমি এলে
জ্বালিয়েছি দীপ প্রীতি ভ'রে সবই
খুশিতে হেলে দুলে।

স্বপন বিভোর কাটিলে ঘোর
দেখি চেয়ে আছো দাড়িয়ে
তোমারই ভাবনায় দিন চলে যায়
তোমাতেই যাবো হারিয়ে।

আসিয়া নিজেই প'রে নিলে গলে
প্রীতি মালা খানি মোর
ভরিলে পরাণ মধু মুর্ছণায়
বাজিলো অলকার সুর।

হেরিনু তোমায় অপলক নয়নে জুড়ালে তুমি প্রাণ
সরালে বেদন মধু রণনে
আমি যে তোমারই দান।

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ ব্যারাকপুর ইউনিটে ত্রাণ কার্য

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ বারাকপুর ইউনিটের পক্ষ থেকে গত ২৩শে মে থেকে ২৯শে মে পর্যন্ত ব্যারাকপুর ষ্টেশনে অসংখ্য দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরন করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। সংঘটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই ত্রাণকার্য আপাতত চলতেই থাকবে। স্থানীয় আনন্দমর্গের ব্যারাকপুর ইউনিটের সদস্য বৃন্দের অকুন্ঠ সহযোগিতায় এই ত্রাণকার্য পরিচালনা করছেন আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত।

দুই ২৪ পরগণায় আনন্দমার্গ ইউনিবার্সাল রিলীফ টীমের সেবাকার্য

সম্প্রতি আম্ফান ঝড়ের জন্যে দুই ২৪ পরগণাতেই প্রায় এক কোটি মানুষ  বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় । ক্ষতিগ্রস্থ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পগণার বিভিন্ন গ্রামে আনন্দমার্গ ইউনিভার্সাল রিলীফ টীমের পক্ষ থেকে ১৫ জন সন্ন্যাসী আর ৩৫ জন সেচ্ছাসেবী গত কয়েকদিন ধরে চিড়ে, গুড়, চাল, ডাল, আলু, সয়াবীন, তেল ও লবন ইত্যাদি বিতরণ করছেন । উঃ ২৪ পগণার সন্দেশখালি, ঠাকুরনগর, ব্যারাকপুর, মেটেখালি, হযরত এবং দঃ ২৪ পরগণায় সোনারপুর, গড়িয়া, সুভাষগ্রাম, নামখানা ও গোসাবা প্রভৃতি জায়গায় সেবাকার্য করে চলেছেন । আচার্য বোধিসত্তানন্দ অবধূত, আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত ও আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত এদের নেতৃত্বে এই কাজ হচ্ছে ।

আর্থিক মন্দা - করোনাই কারণ নয়

২রা জুন, বণিক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন—করোনা আর্থিক বৃদ্ধির হারকে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে৷ বাস্তব চিত্র অবশ্য অন্য কথা বলছে৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা গত এক বছরের বেশী সময় ধরে ভারতে আর্থিক অধঃগতির কথা বলে আসছে৷ করোনা তখন বহুদূরে৷

আসলে নোটবন্দি জি.এস.টির  মত কিছু হটকারী সিদ্ধান্ত ও ধনকুবেরদের লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুবে সরকারের ভাঁড়ারেই টান ধরেছে৷ এইসব কারণে আর্থিক অধঃগতি মহামন্দার রূপ নিতে পারে৷ যা সরকারের আর্থিক নীতির ব্যর্থতার পরিণাম৷ করোনা বরং সরকারের মুখ লুকোবার উপায় করে দিয়েছে৷