October 2020

প্রাউটের অনলাইন সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ প্রাউটিষ্ট  ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সচিব আচার্য রবীশানন্দ অবধূত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান আগামী ২৭শে সেপ্ঢেম্বর রবিবার প্রাউটের অনলাইন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ সকাল ৯টা থেকে ১২টা ও অপরাহ্ণ ২টা থেকে ৫টা দুইপর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের সমস্ত বিভাগের সকল সদস্যদের  এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রার ব্যয়

গত ২২সেপ্ঢেম্বর রাজ্যসভায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি.মুরলীধরন জানান ২০১৫ থেকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ৫৮টি দেশ সফর করেছেন, এরজন্যে ব্যয় হয়েছে ৫১৭ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ৷ মুরলীধরন বলেন---প্রধানমন্ত্রী পাঁচবার করে চীন, রাশিয়া ও আমেরিকা গেছেন৷ এছাড়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, আমিরশাহি, ফ্রান্স, জার্র্মন প্রভৃতি দেশ একাধিকবার সফর করেছেন৷

 

চাই  সুংহত  সামঞ্জস্যপূর্ণ কৃষি-শিল্প পরিকল্পনা - কৃষি বিল পুঁজি পতি শোষকের হাত শক্ত করবে

চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে অগণতান্ত্রিক পথে আইনসভার উচ্চকক্ষে কৃষিবিল পাশ করানো হলো৷ নিম্নকক্ষে সংখ্যাধিক্যের জোরে বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে কৃষিবিল পাশ হলেও আইনসভার উচ্চকক্ষে সে সম্ভাবনা খুব একটা ছিল না৷ বিরোধীরা তো বিলের বিরুদ্ধে  অনড় ছিলই, শাসক জোটের শরিকদলও বিলের বিরুদ্ধে ছিল৷ একমন্ত্রী বিলের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন৷  এই অবস্থায় রাজ্যসভায় ভোটাভুটি হলে শাসকদলের পরাজয়ের সম্ভাবনা ছিল৷ তাই ভোটাভুটিতে না গিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে রাজ্যসভায় কৃষিবিল পাশ করানো হলো৷ এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের৷

আবার বাঙ লা ভাগের চক্রান্ত   -  প্রতিবাদে মুখর ‘আমরা বাঙালী’

বাঙলা ভাগের প্রস্তাব উঠল সংসদে৷ দার্জিলিংএ অবাঙালী বিজেপি সাংসদ রাজু বিষ্ঠ দার্জিলিংকে পশ্চিম বাঙলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক গোর্র্খল্যাণ্ডের দাবী সংসদে উত্থাপন করেন৷ বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ টেবিল চাপড়ে তা সমর্থন করেন৷

ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে একটি কালো দিন

মনোজ দেব

 ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, এ বড়াই দেশের নেতা মন্ত্রীরা করেই থাকেন৷ আম জনতার এসব চিন্তা করার সময় নেই৷ তাদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই দিন ফুরিয়ে যায়৷ যাদের জন্যে এই বিল তাদেরও বিশেষ মাথা ব্যাথা নেই৷ তবে এই বিলকে কেন্দ্র করে ভারতীয় আইনসভার উচ্চ কক্ষে যা হয়ে গেল তা গণতন্ত্রের প্রহসন বলা চলে৷ সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী মতকে উপেক্ষা না করে সম্মান জানানই গণতান্ত্রিক রীতি৷ কিন্তু যেভাবে বিরোধী মতকে উপেক্ষা করে রাজ্যসভায় কৃষিবিল পাশ করানো হ’ল তাতে সেই রীতি মানার বালাই তো নেই বরং প্রধানমন্ত্রীর গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে জনগণের সন্দেহ আরও প্রকোট হল৷ মনে হতেই পারে মুষ্টিমেয় কয়েকজন গোষ্ঠীস্বার

মানুষের কর্তব্য

এই যে শরীর, এই যে মন, এ সবের জন্যে তো অর্থের, অন্ন–বস্ত্রের আবশ্যকতা আছে ঠিক কথা৷ মানুষ অর্থোপার্জনের চেষ্টা করবে, ঘরবাড়ী, জমি–জায়গার জন্যে চেষ্টা করবে৷ এ সবই ঠিক৷ কিন্তু যখন এই চেষ্টা করবে, চেষ্টা করার সময় মনে এই ভাবনা রাখতে হবে যে, ‘‘আমি এই সব পাওয়ার জন্যে চেষ্টা করছি এইজন্যে যে এ সব আমার আধ্যাত্মিক সাধনার সহায়ক হবে৷ এই সব জাগতিক বস্তুর লাভের উদ্দেশ্যে এ সবের সাধনা করছি না৷’’ মানুষ যখন নিজের স্থূল ভাবকে সূক্ষ্মভাবে রূপান্তরিত করতে থাকবে, তখন ক্রমশঃ সে বৈয়ষ্টিক ভাবনার দ্বারা পরিচালিত না হয়ে সামূহিক ভাবনার দ্বারা পরিচালিত হতে থাকবে৷

নব্যমানবতাবাদের ৩ সোপান

মানুষ চলতে শুরু করেছে যখন, নিজের কথাটা যতটা ভেবেছে, অন্যের কথাটা ততটা ভাবেনি৷ অন্য মানুষের কথাও ভাবেনি, আর মনুষ্যেতর জীব জন্তুর কথাও ভাবেনি,গাছপালার কথাও ভাবেনি৷ অথচ একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে দেখা যাবে যে, নিজের কাছে নিজের অস্তিত্ব যতটা প্রিয়, প্রত্যেকের কাছে তাদের নিজের নিজের অস্তিত্ব ততটাই প্রিয়৷ আর সব জীবের এই নিজ অস্তিত্বপ্রিয়তাকে যথাযোগ্য মূল্য না দিলে সামগ্রিক ভাবে মানবিকতার বিকাশ অসম্ভব৷ মানুষ যদি ব্যষ্টি বা পরিবার,জাত বা গোষ্ঠীর কথা ভাবলো, সামগ্রিক ভাবে মানুষের কথা না ভাবলো–সেটা অবশ্যই ক্ষতিকর৷ কিন্তু মানুষ যদি সামগ্রিকভাবে জীবজগৎ, উদ্ভিদ জগতের কথা না ভাবলো সেটা কি ক্ষতিকর নয় মানবিকতা

কৃষিক্ষেত্রে পঁু জি পতিদের অবাধ মুনাফা লুণ্ঠনের সুযোগ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

কৃষিবিল নিয়ে সংসদ তোলপাড়৷ বিজেপি সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিরোধীদের সমবেত বিরোধিতা সত্ত্বেও সহজেই লোকসভায় এই বিল পাশ করে নেয়৷ রাজ্যসভায় কিন্তু এত সহজে এই বিল পাশ করা সম্ভব নয়৷ রাজ্যসভায় বিরোধীরা এই বিলের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে৷

এই পরিস্থিতিতে ৮জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

সরকারী নির্দেশ বা আইন উপেক্ষা করাতেই  বোধহয় একশ্রেণীর মানুষ বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন৷ হয়তো তাদের মনে হয় ‘‘আমরা কেমন বাহাদুর দেখো’’---কিভাবে সরকারী নির্দেশকে লঙ্ঘন করলাম৷ এই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়৷ এদের যদি আপনি কিছু বলতে যান, আপনাকে উদ্দেশ্যে করে এমন কিছু মন্তব্য করবে যা আপনার  আত্মসম্মানে লাগবে! কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো নিগৃহীত ও হতে পারেন৷ একারণে বলার  ইচ্ছে থাকলেও অনেক সজ্জন ব্যক্তি নীরবে সরে যান৷ যারা আইন বা সরকারী নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের বাহাদুর মনে করে তারা নিজেরাও যে মাঝে মাঝে বিপদে পড়েন না এমন নয়, তখন ও চেষ্টা করে বেআইনী পথে বাঁচার৷

মানবতার কলঙ্ক পররাষ্ট্র  আক্রমণকারী চীন সরকারের সঙ্গে সকল সম্পর্ক  ছিন্ন করা উচিত

প্রভাত খাঁ

চীন বর্তমানে এশিয়ার বুকে এক সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বুকে তার লক্ষ্যই হলো ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে কব্জা করা, আর তাদের  অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ছলবল কৌশলে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে তাদের উপর অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের স্বাতন্ত্রকে ধবংস করা৷ এইভাবে মানবিকমূল্যবোধকে খর্ব করে স্বৈরাচারী  কম্যুনিষ্ট  কায়দায় নির্মমভাবে শোষণ চালানো৷ ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা যা করে তার চেয়ে কম বিপদজনক নয় এটা৷