April 2021

বৈশাখে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ওই ডাকে     বৈশাখে

ঝাঁকে ঝাঁকে   শাখে শাখে

কত পাখি    ডাকাডাকি

রোদ্দুরে ঘুরে ঘুরে

খায় ফল     খায় জল

বনতল কোলাহল৷

নীড় ভুলে    লেজ তুলে

বেঁধে জোট    খুলে ঠোট

গায় গান     আসমান

শিহরিত পুলকিত৷

একে একে    বন থেকে

পশুযত অবিরত

এক মনে     গান শোণে

মশগুল বিলকুল৷

বায়ুবয় বনময়

ডাল নড়ে    পাতা ঝরে৷

রোদ ধাধা    কাঠফাটা

গরমেতে চাষীক্ষেতে

রবিকরে ঘেমে মরে,

আসে চলে    গাছ তলে

খালি গায়ে    বসে ছায়ে৷

খায় জল     সুশীতল,

ওরা দু’পায়ে দলে, মরণ শঙ্কারে,

পথিকবর

১৮ই এপ্রিল ১৯৩০-বাঙলার সশস্ত্র বিপ্লবের ইতিহাসে রক্তের অক্ষরে লেখা একটি দিন৷ না, সভা-সমিতিতে জ্বালাময়ী বত্তৃণতা দিয়ে নেতা হওয়ার জন্যে নয়, মাতৃভূমির মুক্তির জন্যে আত্মত্যাগের এক দুর্লভ ইতিহাস৷ সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসককে যোগ্য জবাব দিতে বাঙলার ঘরে ঘরে তখন নবজীবনের সাড়া৷ একতরফা মার খাওয়ার দিন শেষ৷ সাম্রাজ্যবাদী বিদেশী শাসককে এবার যোগ্য জবাব দিতে হবে৷ পরাধীনতার যন্ত্রণা জাগিয়ে তোলে বাঙলার সুপ্ত যৌবনকে৷ নেতৃত্বের লোভে নয়, দেশের জন্যে স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগের, জীবন উৎসর্গের প্রতিদ্বন্দ্বিতা---‘আগে কে বা প্রাণ করিবেক দান, তারই লাগি কাড়াকাড়ি৷’ পরাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসের পাতায় ওই সময়

পরিবেশ

কণিকা দেবনাথ

পরম শ্রদ্ধেয় দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর রচিত একটি গানের মধ্যে বলেছেন--- ‘মানুষ যেন  মানুষের তরে সব কিছু করে যায়, একথাও যেন মনে  রাখে৷ পশু পাখী তার পর নয়, তরুও বাঁচিতে চায়৷’

মানুষ পশু পাখী তরুলতা,জলবায়ু মাটি সব নিয়েই আমাদের পরিবেশ৷ এই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে৷ এই সহজ সত্যটা জানা সত্ত্বেও মানুষের সীমাহীন লোভ দিন দিন পরিবেশকে বিষময় করে তুলছে৷ বিশেষ করে যন্ত্র শিল্পের  বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ দূষণও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে৷

আজ বলব শুধু বায়ু দূষণের কথা---

টেৰীর খোঁপা

‘ক্রম্’ ধাতু  ড + কস্ + অচ্ = ক্রকষ৷ ‘ক্রকষ’ শব্দের অর্থ হ’ল– কোন কিছুকে সাজিয়ে গুজিয়ে আসর মাত করে দেওয়া, কোন অসুন্দর জিনিসকে সাজানোর গুণে সুন্দর ক’রে দেওয়া, অভিনয়ের সময় গ্রীণরুমে অভিনেতা–ভিনেত্রীদের নানান্ বস্তুর সাহায্যে অনুপম করে সাজিয়ে দেওয়া৷ যে কালো কুচ্ছিৎ ভুতুম–প্যাঁচার মত দেখতে তাকেও রজতোজ্জ্বল শিবতুল্য করে তোলা, পেত্নী–শাঁকচুন্নীকে তিলোত্তমা করে গড়ে তোলা৷ আলো–ছায়ার খেলা দেখিয়ে কচুরিপানায় ভরা এঁদোপুকুরকে নীল মহোদধিতে পরিণত করে তোলা৷ এ সবই ক্রকষ৷ ক্রকষের খেলা প্রসঙ্গে একটি গল্প মনে পড়ল৷

অলিপিক্সের হকি প্রতিযোগিতায় ভারতের জয়

প্রায় একবছর পর ভারত প্রো লিগ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল৷ ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে দুই দলেরই এক পয়েন্ট পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু ভারত এর পরে বোনাস পয়েন্টও পায়৷ যার কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন ভারতের গোলকিপার পি আর সৃজেশ৷ প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী শুট আউটে যে দল জিতবে তারাই বোনাস পয়েন্ট পাবে৷ লুকাস ভিয়া,মার্টিন ফেরেইরো ও ইগনাসিয়ো অরটিজের প্রয়াস বাঁচান সৃজেশ৷ এর পরে দিলপ্রীত সিংহ ৩-২ জয় নিশ্চিত করেন অভিজ্ঞ আর্জেন্টি নার গোলকিপার খুয়ান ভিভাল্ডির বিরুদ্ধে গোল করেন৷

অলিম্পিক্সে কুস্তিতে যোগ্যতা অর্জন করলেন সোনম মালিক ও অংশু মালিক

কাজাখস্তানের আলমাটিতে  এশীয় অলিম্পিক্স যোগ্যতা অর্জনের প্রতিযোগিতায় চমকে দিয়েছেন সোনাম মালিক৷ তিনি লড়েন ৬২ কেজি বিভাগে৷ এই বিভাগে বিশেষজ্ঞেরা এগিয়ে রেখেছিলেন কাজাখস্তানেরই আয়ালিম কাসিমোভাকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে  নির্ণায়ক লড়াইয়ে  শুরুতেই ০-৬ পিছিয়ে পড়েন সোনম৷ কিন্তু তার পরেও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ৯-৬ ফলে ম্যাচ জিতে নেন৷ সাম্প্রতিক  চারটি ট্রায়ালে সোনম তাঁর অসাধারণ আবির্ভাব ঘোষণা করেন সাক্ষীকে  হারিয়ে৷ যার ফলে রিয়োয় সফল কুস্তিগির আলমাটিতে নামার সুযোগ হারান৷ তবু অনেকেই ভাবতে পারেনি এশীয় প্রতিযোগিতা থেকে সোনমই টোকিয়োর  টিকিট নিশ্চিত করবেন৷ যা সাক্ষীর  এ বারের অলিম্পিক্সে যাওয়ার দরজা পুরোপুরি