April 2022

ফ্যাসিষ্ট শোষণের ভয়াবহ রূপ এই উন্মত্ত বর্বরতা

আর একটি দানবীয় নিষ্ঠুরতা প্রত্যক্ষ করলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ৷ না, এই দানবীয় হত্যাকাণ্ড রামপুরহাটের বগটুইয়ে প্রথম নয়৷ হয়তো বা শেষও নয়৷ ঘটনার পর যা হয়ে থাকে রাজনৈতিক দলগুলোর তরজা পরস্পর দোষারোপ সবই চলছে৷ কিছু দিন পরে এও ঠাণ্ডা হয়ে যাবে৷ রাজনীতির কারবারিরা অপেক্ষা করতে থাকবে আর একটা বগটুই-এর জন্যে৷ শুধু এই হত্যালীলার,এই অমানবিক নিষ্ঠুরতার আসল গড ফাদার পর্দার অন্তরালেই থেকে যাবে৷

রামপুরহাটে দানবীয় হত্যাকাণ্ড : দায়ী বিকৃত ধর্ম সংস্কৃতি ও মূল্যবোধহীন রাজনীতি

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---ধর্মের ধবজাধারী, সংস্কৃতি জগতের কুশীলব ও রাজনীতির ধারক-বাহকরা কেউই এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না৷ ধর্মের নামে ব্যাভিচার, হিংসা ও যৌনতা মার্র্ক চলচিত্র-নাটক ও মূল্যবোধহীন রাজনীতি মানুষকে মানব আধারে দানব করে তুলছে৷ তারই ভয়ঙ্কর  দানবীয় এক টুকরো ঘটনা রামপুরহাটের বগটুই৷ পশ্চিমবঙ্গে  এই ধরণের ঘটনা এই প্রথম নয়৷ বাম আমলে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল কলিকাতার বুকে প্রকাশ্য দিবালোকে আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তৎকালীন শাসকদলের প্রত্যক্ষ মদতে৷

বাঙালীকে বিদেশী বানানোর কুচক্রান্ত ব্যর্থ করবো---‘আমরা বাঙালী’

আমরা বাঙালী অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ মুম্বাই সফরকালে মীরারোড স্টেশনের পাশে আম আদমি পার্টির আয়োজিত দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রাণ বিসর্জনকারী রাজগুরু, ভগৎ সিংহ সুখদেবের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মুম্বাইয়ের দুই বিশিষ্ট সমাজসেবী চয়ণ পুরকায়স্থ, বিমল ভট্টাচার্য৷

আধ্যাত্মিক চেতনার অভাব যুব সমাজকে বিপথগামী করছে

সম্প্রতি রাজ্যে রাজনৈতিক খুনের পাশাপাশি নানা ধরণের অসামাজিক কাজ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী হরনাথ মাহাত এই প্রসঙ্গে বলেন---যুব সমাজের মধ্যে আধ্যাত্মিক চেতনার অভাব ও আর্থিক বৈষম্যের সুযোগ কাজে লাগিয়ে চতুর ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতারা যুব সমাজকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে৷ একদিকে বেকারত্বের জ্বালা ও মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের বৈভব সমাজে যেমন আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি করছে তেমনি সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করছে, হতাশ ছাত্র যুব সমাজকে উশৃঙ্খল করে তুলছে৷ শ্রী মাহাত বলেন হিংসা প্রতিহিংসার ঘটনায় অপরাধীর সাজা হওয়া অবশ্যই দরকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য৷ কিন্তু তাতে সমাজ রোগমুক্ত হবে না৷ সমাজকে রো

শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চাই  অর্থনৈতিক কাঠামোয় আমূল পরিবর্ত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অর্থনীতির অর্থ---ধনের বা সম্পদের ব্যবহারিক নিয়ম৷ সেই নিয়ম  এমন হওয়া উচিত যাতে বিশ্বের সকল মানুষ তথা সকল জীবের অস্তিত্ব সুরক্ষিত হয়৷ মহান দার্শনিক প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের ভাষায় ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের  তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত হতে হবে৷’’

সাধনা ও সিদ্ধি

জ্ঞান সাধনা

প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে পরমাত্মাকে দর্শন করার মানুষের যে প্রয়াস সেটা তার জ্ঞানসাধনা তাহলে জ্ঞানসাধনার সিদ্ধি কী? সকল বস্তুকে পরমাত্মা–রূপে দেখা৷ যদি কেউ তা করতে পারে তাহলে জ্ঞানসাধনায় সিদ্ধিলাভ হ’ল কি না বা তার ফল কী হ’ল, তা ৰোঝবার জন্যে কাউকে জিজ্ঞাসা করারও প্রয়োজন পড়বে না৷ যখন সবকিছুর মধ্যে পরমাত্মার স্বরূপ দেখবে তখন নিজেই ৰুঝে নেবে যে জ্ঞানসাধনায় সিদ্ধিলাভ হয়ে গেছে৷

আত্মস্থীকরণ

জড়তার মুক্তি

গত পরশু সন্ধ্যায় রেণেশাঁ ক্লাবের সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল ‘‘বুদ্ধির মুক্তি’’৷ কারো কারো মনে প্রশ্ণ জাগতে পারে---মুক্তি তো মানুষের জন্যে প্রয়োজন৷ দ্ধির মুক্তি আবার কী রকম কথা৷ বুদ্ধি জিনিসটা হ’ল অমূর্ত বা ভাববাচক৷ যা অমূর্ত যা ভাববাচক তার আবার মুক্তি কী!

মানব আধারে দানব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ঘটনাস্থল রামপুরহাটের একটি অখ্যাত গ্রাম বগটুই৷ একটি মানুষ খুন হন, তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান৷ ওই খুনের পাল্টা হিসাবে সংঘবদ্ধ নির্মমতার, নিষ্ঠুরতার প্রতিচ্ছবি দেখলো দেশবাসী৷ নারী শিশু সহ আটজন মানুষকে নির্মমভাবে ঘরে বন্ধ করে পুড়িয়ে মারা হল৷

ধর্ম ও ধর্মমত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা  মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার (যিনি ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন---ধর্ম ও রিলিজিয়ন সমার্থক নয়৷ রিলিজিয়নের আরবিক প্রতিশব্দ মজহব৷ কিন্তু ধর্মের প্রতিশব্দ ইমান৷ ধর্ম মানুষকে যুগে যুগে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করার বাণী প্রচার করেছে৷ ধর্মমত (রিলিজিয়ন) যেখানে সংখ্যায় অনেক, ধর্ম সেখানে মাত্র একটি---মানুষের অসীমকে পাওয়ার এষণা৷ ধর্ম বৈবহারিক জ্ঞান ও যুক্তিসিদ্ধ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত৷ এতে রয়েছে পারমার্থিক সত্যোপলব্ধির যুক্তিসঙ্গত প্রচেষ্টা৷ তথাকথিত ধর্মমত বা রিলিজিয়নগত সঙ্কীর্ণতা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস তথা ডগমা বর্তমানে রাজনীতির ক

পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের  বিরুদ্ধে যাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের প্রতি  ভারতবাসীগণ কৃতজ্ঞ

নিরপেক্ষ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র জনসংখ্যাতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক বৃহত্তম রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীনতার পর এই সমস্যা সংকুল পৃথিবী গ্রহে কতটুকু ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্য করতে পেরেছে?